ETV Bharat / state

দুর্নীতির অভিযোগেই কি ইস্তফা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের ?

2012 সালে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিসহ জেলা পরিষদের গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি পদে নিয়োগপত্র পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দলের একাংশ নেতা-কর্মীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে । এবার ফের একবার আমফানের ত্রাণ বণ্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে ।

সোমনাথ বেরা
সোমনাথ বেরা
author img

By

Published : Jun 23, 2020, 12:33 AM IST

তমলুক, 23 জুন : ইস্তফা দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহন স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা । গতকাল দুপুরে জেলাশাসক পার্থ ঘোষের কাছে তিনি ইস্তফাপত্র জমা দেন ।

একের পর এক অভিযোগ । লকডাউনের আগে মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ । আর লকডাউনের মধ্যে আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ । আর এতেই ক্ষোভের আঁচ পড়েছিল দলের অন্দরে। সেই রেশ কাটাতেই কি ইস্তফা দিলেন পূর্ত ও পরিবহন স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ? উঠছে প্রশ্ন ।

এবিষয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাননি জেলাশাসক পার্থ ঘোষ । মন্তব্য এড়িয়েছেন জেলা সভাধিপতি দেবব্রত দাসও । তবে দলীয় নির্দেশেই এই ইস্তফা বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিশির অধিকারী । সোমনাথ বেরার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, "আমরা দলের তরফে তাঁকে বারবার শোধরানোর কথা বলেছি । কিন্তু লাভ হয়নি । আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে । তাই কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে তাঁকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । দলীয় নির্দেশেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন ।"

যদিও দলীয় নির্দেশের কথা এড়িয়ে গেছেন সোমনাথ বেরা । তিনি বলেন, "ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিয়েছি । দলীয় নির্দেশের কথা জানা নেই।"

সোমনাথ বেরাকে নিয়ে রীতিমত বিড়ম্বনায় দল । তাঁর উপর কর্মাধ্যক্ষ পদে ইস্তফার খবরে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের মধ্যে শোরগোল পড়েছে । এর আগে সোমনাথ বেরার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন তমলুক ব্লক তৃণমূলের একাংশ নেতা-কর্মী। 2012 সালে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিসহ জেলা পরিষদের গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি পদে নিয়োগপত্র পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে । গতবছর জেলার ময়না, তমলুকসহ একাধিক ব্লকের দলীয় নেতা সাংবাদিক বৈঠক করে সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন । এনিয়ে শিশির অধিকারীর কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল । এরপরও টাকা ফেরত না পাওয়ায় প্রতারিতরা সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন । পরে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আস্তে শুরু করায় গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস ।

জানা গেছে, দলীয় স্তরে তাঁকে বারবার সতর্ক করা হলেও তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি। ফের আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে‌ তমলুক ব্লকে একাধিক দো-তলা ও তিন তলা বাড়ির মালিককে কুড়ি হাজার টাকা করে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে । সূত্রের খবর, এনিয়ে দলীয় নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল । তারপরই শিশির অধিকারী জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে তাঁকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন । এবিষয়ে শিশির অধিকারী জানিয়েছেন, "সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে দল যে তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল তাতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগের সত্যতা উঠে এসেছে । একাধিকবার তাঁকে সংশোধনের বার্তা দেওয়া হয়েছিল । তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি । তাই পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।"

তমলুক, 23 জুন : ইস্তফা দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহন স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা । গতকাল দুপুরে জেলাশাসক পার্থ ঘোষের কাছে তিনি ইস্তফাপত্র জমা দেন ।

একের পর এক অভিযোগ । লকডাউনের আগে মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ । আর লকডাউনের মধ্যে আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ । আর এতেই ক্ষোভের আঁচ পড়েছিল দলের অন্দরে। সেই রেশ কাটাতেই কি ইস্তফা দিলেন পূর্ত ও পরিবহন স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ? উঠছে প্রশ্ন ।

এবিষয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাননি জেলাশাসক পার্থ ঘোষ । মন্তব্য এড়িয়েছেন জেলা সভাধিপতি দেবব্রত দাসও । তবে দলীয় নির্দেশেই এই ইস্তফা বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিশির অধিকারী । সোমনাথ বেরার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, "আমরা দলের তরফে তাঁকে বারবার শোধরানোর কথা বলেছি । কিন্তু লাভ হয়নি । আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে । তাই কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে তাঁকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । দলীয় নির্দেশেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন ।"

যদিও দলীয় নির্দেশের কথা এড়িয়ে গেছেন সোমনাথ বেরা । তিনি বলেন, "ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিয়েছি । দলীয় নির্দেশের কথা জানা নেই।"

সোমনাথ বেরাকে নিয়ে রীতিমত বিড়ম্বনায় দল । তাঁর উপর কর্মাধ্যক্ষ পদে ইস্তফার খবরে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের মধ্যে শোরগোল পড়েছে । এর আগে সোমনাথ বেরার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন তমলুক ব্লক তৃণমূলের একাংশ নেতা-কর্মী। 2012 সালে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিসহ জেলা পরিষদের গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি পদে নিয়োগপত্র পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে । গতবছর জেলার ময়না, তমলুকসহ একাধিক ব্লকের দলীয় নেতা সাংবাদিক বৈঠক করে সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন । এনিয়ে শিশির অধিকারীর কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল । এরপরও টাকা ফেরত না পাওয়ায় প্রতারিতরা সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন । পরে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আস্তে শুরু করায় গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস ।

জানা গেছে, দলীয় স্তরে তাঁকে বারবার সতর্ক করা হলেও তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি। ফের আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে‌ তমলুক ব্লকে একাধিক দো-তলা ও তিন তলা বাড়ির মালিককে কুড়ি হাজার টাকা করে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে । সূত্রের খবর, এনিয়ে দলীয় নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল । তারপরই শিশির অধিকারী জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে তাঁকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন । এবিষয়ে শিশির অধিকারী জানিয়েছেন, "সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে দল যে তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল তাতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগের সত্যতা উঠে এসেছে । একাধিকবার তাঁকে সংশোধনের বার্তা দেওয়া হয়েছিল । তাতে তিনি কর্ণপাত করেননি । তাই পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.