ETV Bharat / state

'দিদিকে বলো'-তে নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে না, বলছেন তৃণমূল বিধায়ক - Though no one can complain about the problem mentioned in the "Didike Balo" project

"দিদিকে বলো" প্রকল্পে সমস্যার কথা জানানো গেলেও কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জানানো যাবে না । সাফ জানালেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি ।

'দিদিকে বলো'
author img

By

Published : Jul 30, 2019, 10:00 PM IST

তমলুক, 30 জুলাই : গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন 'দিদিকে বলো' প্রকল্প । কথা ছিল যেখানে মানুষজন তাদের অভাব অভিযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে টোল ফ্রি নম্বর ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানাতে পারবেন । কিন্তু ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বিতর্ক তৈরি হল জেলা স্তরে এই প্রকল্পের প্রচার কর্মসূচিতে । আজ তমলুকের মানিকতলায় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি জানান এলাকার সমস্যার কথা জানানো যাবে, কিন্তু 'দিদিকে বলো' প্রকল্পে কোন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে না ।

উল্লেখ্য, মাস দুয়েক যাবৎকাটমানি ফেরতের আন্দোলন রাজ্যের দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে BJP৷ বাদ যায়নি পূর্ব মেদিনীপুরও । একের পর তৃণমূল নেতার নামে প্রকাশ্যে পোস্টার পড়েছে জেলাজুড়ে । এমন পরিস্থিতিতে কোণঠাসা দলকে ফের পুনরুজ্জীবিত করতে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দিকে দিকে কালোটাকা ফেরতের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান করেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ বেশকিছু দিন কেটে গেলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে সেই আন্দোলন । তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নয়া দাওয়াই 'দিদিকে বলো'। যার প্রথম প্রচারেই আতঙ্কিত জেলা নেতৃত্ব ৷

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টোল ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ফোন করার সুযোগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের নানাবিধ সমস্যা, অভাব অভিযোগ ও মতামত সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন । মুশকিল আসান হয়ে পাশে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তবে গোটা প্রক্রিয়ার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত, জেলাপরিষদ সদস্য, বিধায়কদেরও যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ।

এই কর্মসূচির সফল রূপায়ণের ক্ষেত্রে ১০০দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় । একেবারে বুথস্তরে মানুষের সমস্যা শুনে তা সমাধানে উদ্যোগ নেবেন জনপ্রতিনিধিরা । পক্ষ বিপক্ষ সকলকে নিয়েই সভার আয়োজন করা হবে । এই সভায় উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় বিধায়ক, জেলাপরিষদের সদস্য, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব । আর তাদের সামনেই হবে খোলামেলা আলোচনা হবে । মিলবে সমস্যার সমাধান । নথিভুক্ত করা হবে সকল সমস্যারগুলিও। কিন্তু মানুষের অভিযোগ শুনতে নারাজ বলেইসাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেন অর্ধেন্দু মাইতি ।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি বলেন, "সকলকে নিয়েই অভিনব এই সভা হতেই পারে । কিন্তু সেখানে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ জানানো যাবে না । কারণ, অভিযোগ জানানোর বহু পথ খোলা রয়েছে । তাছাড়া সমস্যা ও অভিযোগের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে । এখানে সমস্যার কথা জানানো যাবে, কিন্তু 'দিদিকে বলো' এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোন অভিযোগ জানানো যাবে না । তাই যার বক্তব্য থাকবে তা লিখিত জানাতে হবে । সমস্ত কিছুই নথিভুক্ত করে পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। "

এদিকে তৃণমূলের এই প্রকল্পকে কটাক্ষ করেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব । BJPর তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, " তৃণমূল নেত্রীর পায়ের তলার মাটি অনেকদিন আগেই সরে গেছে । নতুন করে প্রচারে আসতে তৃণমূলের এই 'দিদিকে বলো' ৷ জনভিত্তি হারিয়ে মানুষকে ভাওতা দিয়ে ছলনা শুরু করেছেন মমতা ব্যানার্জি । এর পরিবর্তে দিদি বরং কাটমানি ফেরৎ ডটকম নামে পোর্টাল চালু করুন । সেখানে অভিষেক বন্দোপাধ্যয়কে অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব দিন । সেখানে সাধারণ মানুষ ফোন করে তাদের টাকা ফেরত চাইবেন । টাকা ফেরত পেলে সকলেরই সুবিধা হবে । "

তমলুক, 30 জুলাই : গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন 'দিদিকে বলো' প্রকল্প । কথা ছিল যেখানে মানুষজন তাদের অভাব অভিযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে টোল ফ্রি নম্বর ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানাতে পারবেন । কিন্তু ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বিতর্ক তৈরি হল জেলা স্তরে এই প্রকল্পের প্রচার কর্মসূচিতে । আজ তমলুকের মানিকতলায় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি জানান এলাকার সমস্যার কথা জানানো যাবে, কিন্তু 'দিদিকে বলো' প্রকল্পে কোন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে না ।

উল্লেখ্য, মাস দুয়েক যাবৎকাটমানি ফেরতের আন্দোলন রাজ্যের দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে BJP৷ বাদ যায়নি পূর্ব মেদিনীপুরও । একের পর তৃণমূল নেতার নামে প্রকাশ্যে পোস্টার পড়েছে জেলাজুড়ে । এমন পরিস্থিতিতে কোণঠাসা দলকে ফের পুনরুজ্জীবিত করতে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দিকে দিকে কালোটাকা ফেরতের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান করেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ বেশকিছু দিন কেটে গেলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে সেই আন্দোলন । তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নয়া দাওয়াই 'দিদিকে বলো'। যার প্রথম প্রচারেই আতঙ্কিত জেলা নেতৃত্ব ৷

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টোল ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ফোন করার সুযোগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের নানাবিধ সমস্যা, অভাব অভিযোগ ও মতামত সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন । মুশকিল আসান হয়ে পাশে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তবে গোটা প্রক্রিয়ার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত, জেলাপরিষদ সদস্য, বিধায়কদেরও যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ।

এই কর্মসূচির সফল রূপায়ণের ক্ষেত্রে ১০০দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় । একেবারে বুথস্তরে মানুষের সমস্যা শুনে তা সমাধানে উদ্যোগ নেবেন জনপ্রতিনিধিরা । পক্ষ বিপক্ষ সকলকে নিয়েই সভার আয়োজন করা হবে । এই সভায় উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় বিধায়ক, জেলাপরিষদের সদস্য, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব । আর তাদের সামনেই হবে খোলামেলা আলোচনা হবে । মিলবে সমস্যার সমাধান । নথিভুক্ত করা হবে সকল সমস্যারগুলিও। কিন্তু মানুষের অভিযোগ শুনতে নারাজ বলেইসাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেন অর্ধেন্দু মাইতি ।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি বলেন, "সকলকে নিয়েই অভিনব এই সভা হতেই পারে । কিন্তু সেখানে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ জানানো যাবে না । কারণ, অভিযোগ জানানোর বহু পথ খোলা রয়েছে । তাছাড়া সমস্যা ও অভিযোগের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে । এখানে সমস্যার কথা জানানো যাবে, কিন্তু 'দিদিকে বলো' এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোন অভিযোগ জানানো যাবে না । তাই যার বক্তব্য থাকবে তা লিখিত জানাতে হবে । সমস্ত কিছুই নথিভুক্ত করে পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। "

এদিকে তৃণমূলের এই প্রকল্পকে কটাক্ষ করেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব । BJPর তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, " তৃণমূল নেত্রীর পায়ের তলার মাটি অনেকদিন আগেই সরে গেছে । নতুন করে প্রচারে আসতে তৃণমূলের এই 'দিদিকে বলো' ৷ জনভিত্তি হারিয়ে মানুষকে ভাওতা দিয়ে ছলনা শুরু করেছেন মমতা ব্যানার্জি । এর পরিবর্তে দিদি বরং কাটমানি ফেরৎ ডটকম নামে পোর্টাল চালু করুন । সেখানে অভিষেক বন্দোপাধ্যয়কে অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব দিন । সেখানে সাধারণ মানুষ ফোন করে তাদের টাকা ফেরত চাইবেন । টাকা ফেরত পেলে সকলেরই সুবিধা হবে । "

Intro:তমলুক,৩০জুলাই : গতকালই কলকাতার নজরুল মঞ্চে ঘটা করে ঘোষনা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যের "দিদিকে বলো" প্রকল্প। কথাছিল যেখানে মানুষজন তাদের অভাব অভিযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে টোল ফ্রি নম্বর ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানাতে পারবেন। কিন্তু তার ২৪ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বিতর্ক তৈরি হল জেলা স্তরে এই প্রকল্পের প্রচার কর্মসূচীতে। এদিন তমলুকের মানিকতলায় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকল্পের পরিষেবা জানাতে গিয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন এলাকার সমস্যার কথা জানানো যাবে, কিন্তু দিদিকে বলো প্রকল্পে কোন নেতার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই জানানো যাবে না। আর যা ঘিরে ফের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।Body:

উল্লেখ্য, মাস দুয়েক যাবৎ কাটমানি ফেরতের আন্দোলন রাজ্যের দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। বাদ যায়নি পূর্ব মেদিনীপুরও। একের পর তৃণমূল নেতার নামের প্রকাশ্যে পোষ্টার পড়েছে নানান স্থানে। যা তৃণমূলকে অনেকটাই বিড়াম্বনায় ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনঠাসা দলকে ফের পুনরুজ্জীবিত করতে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দিকেদিকে কালোটাকা ফেরতের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন দলীয় নেতৃত্বদের। তা বেশকিছু দিন কেটে গেলেও মুখ থুবড়ে পড়ে। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নয়া দাওয়াই" দিদিকে বলো"। যার কার্যত জেলার প্রথম প্রচারেই বেশকিছুটা আতঙ্কিত দেখা গেল জেলা নেতৃত্বকে। 
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টোল ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ফোন করার সুযোগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে মানুষজন তাদের নানাবিধ সমস্যা, অভাব অভিযোগ ও মতামত সরাসরি নির্দিধায় জানাতে পারবেন। মুশকিল আসান হয়ে পাশে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তবে গোটা প্রক্রিয়ার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত, জেলাপরিষদ সদস্য, বিধায়কদের যুক্ত হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আর এই কর্মসূচীর সফল রূপায়নের ক্ষেত্রে ১০০দিনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। একেবারে বুথ স্তরে মানুষের সমস্যা শুনে তা সমাধানে উদ্যোগ নেবেন জনপ্রতিনিধিরা। পক্ষ বিপক্ষ সকলকে নিয়েই সভা বৈঠকের আয়োজন করা হবে। সেখানে প্রায় তিনঘন্টা যাবৎ এই সভা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এলাকার বিধায়ক, জেলাপরিষদের সদস্য, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব। আর তাদের সামনেই হবে খোলামেলা আলোচনা। মিলবে সমস্যার সমাধান। নথিভুক্ত করা হবে সকল সমস্যার বিষয়গুলিও। কিন্তু এই সব করতে গিয়ে মানুষের অভিযোগ শুনতে নারাজ বলেই এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেন বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সভাপতি অর্ধেন্দু মাইতি।Conclusion:তিনি বলেন, বিরোধী পক্ষ বিপক্ষ সকলকে নিয়েই অভিনব এই বৈঠক সভা হতেই পারে। কিন্তু সেখানে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোন অভিযোগ জানানো যাবে না। কারণ, অভিযোগ জানানোর বহু পথ খোলা রয়েছে। তাছাড়া সমস্যা ও অভিযোগের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। এখানে সমস্যার কথা জানানো যাবে, কিন্তু দিদিকে বলো এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোন অভিযোগ জানানো যাবে না। তাই যার বক্তব্য থাকবে তা লিখিত জানাতে হবে। তবে এই প্রকল্পে এলাকার সার্বিক উন্নয়নকেই জোর দেওয়া হবে। তাছাড়া ব্যক্তির কোন নিজস্ব মতামত থাকলেও তা তারা জানাতে পারেন। আর সমস্ত কিছুই নথিভুক্ত করে পরবর্তী সময়ে রাজ্য তথা দিদিকে জানানো হবে।
এদিকে তৃণমূলের দিদিকে বলোর এই প্রচারকে ঘিরে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, তৃণমূল নেত্রীর পায়ের তলার মাটি বহু আগেই সরে গিয়েছে। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষামাত্র। তাই নতুন করে প্রচারে আসতে তৃণমূলের এই দিদিকে বলো প্রচার। কিন্তু দিদিকে কি বা বলবে মানুষ। কারণ যদি মানুষ তার নিজের সমস্যা সহকারে অভিযোগই না জানাতে পারে তাতে কি বা সমাধান হবে। কারণ, যেভাবে দিদির ভাইয়েরা প্রান্তিক মানুষজের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে তা তৃণমূলের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। তাই এখন জনভিত্তি হারিয়ে মানুষকে ভাওতা দিয়ে ছলনা শুরু করেছেন। জনসংযোগ হারিয়ে এসব শুরু করেছেন। কিন্তু এসব করে কিছু লাভ হবে। তার পরিবর্তে দিদি বরং কাটমানি ফেরৎ ডটকম নামে পোর্টাল চালু করুন। সেখানে অভিষেক বন্দোপাধ্যয়কে অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব দিন। তাতেই সাধারণ মানুষ ফোন করে তাদের টাকা ফেরত চাইবেন। ফেরত পেলেই সকলেরই সুবিধা হবে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.