ETV Bharat / state

ইতিহাস আঁকড়ে আজও অবহেলায় ভারতের প্রথম ডাকঘর - খেজুরিতে দেশের সর্বপ্রথম ডাকঘর গড়ে ওঠে

1772 সালে দেশের প্রথম ডাকঘর গড়ে উঠেছিল তৎকালীন বন্দর এলাকা খেজুরিতে । এখান থেকেই প্রথম টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা চালু হয় । কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে সবকিছু । এখন শুধু ধ্বংসাবশেষ । সরকারের তরফেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি । তাই ইতিহাস আজ অবহেলায় ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Jan 17, 2020, 8:54 PM IST

Updated : Jan 28, 2020, 3:21 PM IST

খেজুরি, 17 জানুয়ারি : সালটা 1757 । পলাশির প্রান্তরে ভারতের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয় । শুরু ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির শাসন । ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির পাশাপাশি বাংলার একাধিক জায়গায় তখন ডাচ-ওলন্দাজরাও ব্যবসা করছিল। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, তৎকালীন সময়ে জলপথে খেজুরি, ডায়মন্ড হারবারেও চলত বাণিজ্য । আর সেই সূত্রেই দেশের প্রথম ডাকঘর গড়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে । পেরিয়েছে 250 বছর । গজিয়ে ওঠা অশ্বত্থ- খেজুর আর ভগ্নপ্রায় ইটের ভরসায় আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস । সরকারের তরফে এসেছে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি । তবে উদাসীনতায় সে কাজও আর এগোয়নি ।

1750 সাল । ভারত তথা বাংলার বাজারে তখন ডাচ-ওলন্দাজ বণিকদের আধিপত্য । খেজুরি, ডায়মন্ড হারবার, কুঁকড়াহাটি একাধিক বন্দর থেকে লবণ, মশলা, নীল একাধিক জিনিস জলপথে রপ্তানি হত । ব্যবসার খাতিরেই প্রয়োজন অনুভূত হয় যোগাযোগ ব্যবস্থার । আর সেই তাগিদেই 1772 সালে খেজুরিতে দেশের সর্বপ্রথম ডাকঘর গড়ে ওঠে । যদিও এনিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে । একাংশের মতে, জেনেরাল পোস্ট অফিস বা GPO হল প্রথম ডাকঘর । যা 1868 সালে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের একাংশে স্থাপিত হয় । একাংশের মতে, 1764 সালে তৎকালীন বোম্বেতে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির তরফে গড়ে উঠেছিল ভারতের প্রথম ডাকঘর । কিন্তু ইতিহাসের পাতা ওলটালে, তথ্য প্রমাণ ঘাঁটলে দেখা যায়, তারও বহু আগে খেজুরির ডাকঘরটি গড়ে উঠেছিল ।

কেডগিরি । ইংরেজরা এই নামেই ডাকতেন বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিকে । তৎকালীন কিছু বই ও পত্র-পত্রিকায় এই নামের উল্লেখও পাওয়া যায় । কলকাতা বন্দরের পত্তন হয়নি তখনও । খেজুরির এই ডাক অফিস থেকেই চিঠির আদান-প্রদান হত । জাহাজ খেজুরি বন্দরে এসে পৌঁছালে সেখান থেকে চিঠিগুলি ও খবর ডাকঘর হয়ে কলকাতায় পৌঁছাত । পরে এই ডাকঘর ও বন্দরকে ঘিরেই ইংরেজ ও পর্তুগিজ কলোনিও গড়ে উঠেছিল ।

image
এখান থেকেই প্রথম টেলিগ্রাফ পরিষেবা চালু হয়

1851 সালে খেজুরির এই ডাকঘর থেকেই টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা শুরু করেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডব্লু বি ও সাউগণেশ । 1852 সালে টেলিগ্রাফে যোগাযোগ শুরু হয় । 1855 নাগাদ এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রায় সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যায় । যথাযথ পদক্ষেপ ও উদাসীনতার কালগর্ভে একসময় হারিয়ে গেছে সবকিছু । দু'একবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি এসেছিল । ইন্দিরা গান্ধির আমলে তৎকালীন বিধায়ক সুনির্মল পাইকের অনেক প্রচেষ্টায় সংস্কারের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার । কিন্তু তা কাগজ-কলমে থেকে যায় । আর এগোয়নি সংস্কারের কাজ ।

image
একনজরে ইতিহাস

কালের নিয়মে বন্দর হারিয়েছে । হারিয়েছে ডাকঘর । ইতিহাস আঁকড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভগ্নাবশেষ। । খেজুরির বাসিন্দা ও ইতিহাস গবেষক অরবিন্দ বেরা জানান, এশিয়াটিক সোসাইটি ও ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রচুর বইপত্রে উল্লেখ পাওয়া যায় এই ডাকঘরের । অরিবন্দ বেরা বলেন, "ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির তথ্য আদান প্রদান করার জন্য 1772 সালে ভারতের প্রথম ডাকঘর তৈরি করা হয়েছিল । পাশেই ছিল বন্দর । 1830 সালের 19 নভেম্বর রাজা রামমোহন রায় এই ডাকঘরে রাত্রিযাপন করেছিলেন । বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় নেমে আমি এবং তৎকালীন বিধায়ক সুনির্মল পাইক চিফ পোস্ট মাস্টার জেনেরালের কাছে যাই । 17 বছরের চেষ্টায় বিষয়টি স্পষ্ট হয় । এমনকী চিফ পোস্ট মাস্টার জেনেরালের লেখা একটি বইতেও এই ডাকঘরের কথা বলা হয়েছে । সাংসদ শিশির অধিকারী, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও জানিয়েছি । তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন । জেলা কর্মাধ্যক্ষ মৃণালকান্তি মাইতি ও সহ জেলাশাসকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এই বিষয়ে । এখনও তেমন কিছু হয়নি । খেজুরি-নন্দীগ্রাম কোথাও যেন রাজনৈতিক লড়াই, হিংসা এসবের মাঝেই থেকে গেছে । আর ভিড়ে হারিয়ে গেছে ইতিহাস । চাই এই জায়গাটার সংস্কার হোক । সংরক্ষণ হোক ।"

ভগ্নপ্রায় দেশের প্রথম ডাকঘর

স্থানীয়দের একাংশের তরফে জানা গেছে, ডাকঘরটি নিয়ে স্থানীয় বা জেলা প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি । সংস্কারের আশ্বাস এসেছে কিন্তু কাজ এগোয়নি । আপাতত লতাপাতার জঙ্গলে জীর্ণ শরীরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের প্রথম ডাকঘর।

খেজুরি, 17 জানুয়ারি : সালটা 1757 । পলাশির প্রান্তরে ভারতের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয় । শুরু ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির শাসন । ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির পাশাপাশি বাংলার একাধিক জায়গায় তখন ডাচ-ওলন্দাজরাও ব্যবসা করছিল। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, তৎকালীন সময়ে জলপথে খেজুরি, ডায়মন্ড হারবারেও চলত বাণিজ্য । আর সেই সূত্রেই দেশের প্রথম ডাকঘর গড়ে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে । পেরিয়েছে 250 বছর । গজিয়ে ওঠা অশ্বত্থ- খেজুর আর ভগ্নপ্রায় ইটের ভরসায় আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস । সরকারের তরফে এসেছে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি । তবে উদাসীনতায় সে কাজও আর এগোয়নি ।

1750 সাল । ভারত তথা বাংলার বাজারে তখন ডাচ-ওলন্দাজ বণিকদের আধিপত্য । খেজুরি, ডায়মন্ড হারবার, কুঁকড়াহাটি একাধিক বন্দর থেকে লবণ, মশলা, নীল একাধিক জিনিস জলপথে রপ্তানি হত । ব্যবসার খাতিরেই প্রয়োজন অনুভূত হয় যোগাযোগ ব্যবস্থার । আর সেই তাগিদেই 1772 সালে খেজুরিতে দেশের সর্বপ্রথম ডাকঘর গড়ে ওঠে । যদিও এনিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে । একাংশের মতে, জেনেরাল পোস্ট অফিস বা GPO হল প্রথম ডাকঘর । যা 1868 সালে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের একাংশে স্থাপিত হয় । একাংশের মতে, 1764 সালে তৎকালীন বোম্বেতে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির তরফে গড়ে উঠেছিল ভারতের প্রথম ডাকঘর । কিন্তু ইতিহাসের পাতা ওলটালে, তথ্য প্রমাণ ঘাঁটলে দেখা যায়, তারও বহু আগে খেজুরির ডাকঘরটি গড়ে উঠেছিল ।

কেডগিরি । ইংরেজরা এই নামেই ডাকতেন বর্তমান পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিকে । তৎকালীন কিছু বই ও পত্র-পত্রিকায় এই নামের উল্লেখও পাওয়া যায় । কলকাতা বন্দরের পত্তন হয়নি তখনও । খেজুরির এই ডাক অফিস থেকেই চিঠির আদান-প্রদান হত । জাহাজ খেজুরি বন্দরে এসে পৌঁছালে সেখান থেকে চিঠিগুলি ও খবর ডাকঘর হয়ে কলকাতায় পৌঁছাত । পরে এই ডাকঘর ও বন্দরকে ঘিরেই ইংরেজ ও পর্তুগিজ কলোনিও গড়ে উঠেছিল ।

image
এখান থেকেই প্রথম টেলিগ্রাফ পরিষেবা চালু হয়

1851 সালে খেজুরির এই ডাকঘর থেকেই টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা শুরু করেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডব্লু বি ও সাউগণেশ । 1852 সালে টেলিগ্রাফে যোগাযোগ শুরু হয় । 1855 নাগাদ এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রায় সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যায় । যথাযথ পদক্ষেপ ও উদাসীনতার কালগর্ভে একসময় হারিয়ে গেছে সবকিছু । দু'একবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি এসেছিল । ইন্দিরা গান্ধির আমলে তৎকালীন বিধায়ক সুনির্মল পাইকের অনেক প্রচেষ্টায় সংস্কারের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার । কিন্তু তা কাগজ-কলমে থেকে যায় । আর এগোয়নি সংস্কারের কাজ ।

image
একনজরে ইতিহাস

কালের নিয়মে বন্দর হারিয়েছে । হারিয়েছে ডাকঘর । ইতিহাস আঁকড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভগ্নাবশেষ। । খেজুরির বাসিন্দা ও ইতিহাস গবেষক অরবিন্দ বেরা জানান, এশিয়াটিক সোসাইটি ও ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রচুর বইপত্রে উল্লেখ পাওয়া যায় এই ডাকঘরের । অরিবন্দ বেরা বলেন, "ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির তথ্য আদান প্রদান করার জন্য 1772 সালে ভারতের প্রথম ডাকঘর তৈরি করা হয়েছিল । পাশেই ছিল বন্দর । 1830 সালের 19 নভেম্বর রাজা রামমোহন রায় এই ডাকঘরে রাত্রিযাপন করেছিলেন । বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় নেমে আমি এবং তৎকালীন বিধায়ক সুনির্মল পাইক চিফ পোস্ট মাস্টার জেনেরালের কাছে যাই । 17 বছরের চেষ্টায় বিষয়টি স্পষ্ট হয় । এমনকী চিফ পোস্ট মাস্টার জেনেরালের লেখা একটি বইতেও এই ডাকঘরের কথা বলা হয়েছে । সাংসদ শিশির অধিকারী, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও জানিয়েছি । তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন । জেলা কর্মাধ্যক্ষ মৃণালকান্তি মাইতি ও সহ জেলাশাসকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এই বিষয়ে । এখনও তেমন কিছু হয়নি । খেজুরি-নন্দীগ্রাম কোথাও যেন রাজনৈতিক লড়াই, হিংসা এসবের মাঝেই থেকে গেছে । আর ভিড়ে হারিয়ে গেছে ইতিহাস । চাই এই জায়গাটার সংস্কার হোক । সংরক্ষণ হোক ।"

ভগ্নপ্রায় দেশের প্রথম ডাকঘর

স্থানীয়দের একাংশের তরফে জানা গেছে, ডাকঘরটি নিয়ে স্থানীয় বা জেলা প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি । সংস্কারের আশ্বাস এসেছে কিন্তু কাজ এগোয়নি । আপাতত লতাপাতার জঙ্গলে জীর্ণ শরীরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের প্রথম ডাকঘর।

Intro:ভারতের প্রথম ডাকঘর আজ হারিয়ে যেতে বসেছে ।

১৭৭২ সালে ভারতের প্রথম ডাকঘর ও টেলিগ্রাফ অফিস তৈরি হয়ে ছিল মেদিনীপুরের kedgeree তে , যার নাম এখন হয়েছে খেজুরি । কোলকাতা বন্দরের পত্তনের আগে খেজুরির এই ডাক ও তার অফিসের মাধ্যমে চিঠিপত্রের আদানপ্রদান হতো । বড়বড় জাহাজ খেজুরি বন্দরে এসে পৌঁচালে সেখান থেকে চাঠিও খবর ডাকঘর হয়ে কোলকাতা পৌচাতো । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তথ্য আদান প্রদান করার জন্য এই ডাকঘরটি তৈরি হয়ে ছিল । আর সে কারণে এই ডাকঘর বন্দরের পাশে জড়ে উঠেছিল। শুধু ডাকঘর নয় এই বন্দকে ঘিরে ইংরেজ ও পূর্তূগিজ কলোনি ও গড়ে উঠেছিল সেই সময় । কালের নিয়মে বন্দর হারিয়ে গিয়েছে । শুদু অতীতের স্মৃতি হয়ে ভগ্ন ডাক ঘরের কিছু অংশ এখনো দাড়িয়ে আছে । এই খেজুরি এলাকায় এক গবেষক, যিনি খালি খেজুরি নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন । এমনকি নিজে খেজুরির সম্পর্কে বই লিখেছেন, অরবিন্দ বেরা তিনি বলেন, বহু লাইব্রেরিতে ঘুরে ঘুরে আমি অনেক তথ্য পেয়েছি , এবং বইও লিখেছি খেজুরি নিয়ে । প্রথমে এই এলাকার নাম ছিল kedgeree , যা এখন খেজুরি নামে পরিচিত হয়েছে । ১৭৭২ সালে ভারতের প্রথম ডাকঘর তৈরি করা হয়ে ছিল, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তথ্য আদান প্রদান করার জন্য । আর পাশেই ছিল জাহাজ বন্দর, আর এখানে রাজা রামমোহন রায় ১৮৩০সালের ১৯শা নভেম্বর এই ডাকঘরে রাত্রি যাপন করে পরের দিন ২০ নভেম্বর পালতোলা জাহাজে বিলেত যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন । কিন্তু এই জায়গার এত কিছু ইতিহাস আজ হারিয়ে গেছে, এখন খেজুরি পরিচিত হয়েছে এলাকা দখল কে নিয়ে মারপিট, রাহাজানি । খালি রাজনীতির লড়াই । আর এলাকাবাসী চায় খেজুরি পরিচিত হোক্ রাজনৈতিক হিংসা ও মারামারিতে নয় । পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হোক্ । আর সরকার যদি এই এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা করতো , তাহলে ভালো হতো । হয়তো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে রাজনৈতিক হিংসা, মারামারি ও কাটাকাটি বন্ধ হতো ! সরকার কি এই খেজুরিকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা করবে ? না ,রাজনীতির লড়াই, এলাকা দখল চালিয়ে যাবে ? প্রশ্ন থেকেই গেলো !

বাইট 1a অরবিন্দ বেরা, সাহিত্যিক ও ইতিহাস বিষয়ক ।
সঙ্গে আমার পিটিসি ।Body:ভারতের প্রথম ডাকঘর আজ হারিয়ে যেতে বসেছে ।

১৭৭২ সালে ভারতের প্রথম ডাকঘর ও টেলিগ্রাফ অফিস তৈরি হয়ে ছিল মেদিনীপুরের kedgeree তে , যার নাম এখন হয়েছে খেজুরি । কোলকাতা বন্দরের পত্তনের আগে খেজুরির এই ডাক ও তার অফিসের মাধ্যমে চিঠিপত্রের আদানপ্রদান হতো । বড়বড় জাহাজ খেজুরি বন্দরে এসে পৌঁচালে সেখান থেকে চাঠিও খবর ডাকঘর হয়ে কোলকাতা পৌচাতো । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তথ্য আদান প্রদান করার জন্য এই ডাকঘরটি তৈরি হয়ে ছিল । আর সে কারণে এই ডাকঘর বন্দরের পাশে জড়ে উঠেছিল। শুধু ডাকঘর নয় এই বন্দকে ঘিরে ইংরেজ ও পূর্তূগিজ কলোনি ও গড়ে উঠেছিল সেই সময় । কালের নিয়মে বন্দর হারিয়ে গিয়েছে । শুদু অতীতের স্মৃতি হয়ে ভগ্ন ডাক ঘরের কিছু অংশ এখনো দাড়িয়ে আছে । এই খেজুরি এলাকায় এক গবেষক, যিনি খালি খেজুরি নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন । এমনকি নিজে খেজুরির সম্পর্কে বই লিখেছেন, অরবিন্দ বেরা তিনি বলেন, বহু লাইব্রেরিতে ঘুরে ঘুরে আমি অনেক তথ্য পেয়েছি , এবং বইও লিখেছি খেজুরি নিয়ে । প্রথমে এই এলাকার নাম ছিল kedgeree , যা এখন খেজুরি নামে পরিচিত হয়েছে । ১৭৭২ সালে ভারতের প্রথম ডাকঘর তৈরি করা হয়ে ছিল, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তথ্য আদান প্রদান করার জন্য । আর পাশেই ছিল জাহাজ বন্দর, আর এখানে রাজা রামমোহন রায় ১৮৩০সালের ১৯শা নভেম্বর এই ডাকঘরে রাত্রি যাপন করে পরের দিন ২০ নভেম্বর পালতোলা জাহাজে বিলেত যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন । কিন্তু এই জায়গার এত কিছু ইতিহাস আজ হারিয়ে গেছে, এখন খেজুরি পরিচিত হয়েছে এলাকা দখল কে নিয়ে মারপিট, রাহাজানি । খালি রাজনীতির লড়াই । আর এলাকাবাসী চায় খেজুরি পরিচিত হোক্ রাজনৈতিক হিংসা ও মারামারিতে নয় । পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হোক্ । আর সরকার যদি এই এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা করতো , তাহলে ভালো হতো । হয়তো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে রাজনৈতিক হিংসা, মারামারি ও কাটাকাটি বন্ধ হতো ! সরকার কি এই খেজুরিকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা করবে ? না ,রাজনীতির লড়াই, এলাকা দখল চালিয়ে যাবে ? প্রশ্ন থেকেই গেলো !

বাইট 1a অরবিন্দ বেরা, সাহিত্যিক ও ইতিহাস বিষয়ক ।
সঙ্গে আমার পিটিসি ।Conclusion:ভারতের প্রথম ডাকঘর আজ হারিয়ে যেতে বসেছে ।

১৭৭২ সালে ভারতের প্রথম ডাকঘর ও টেলিগ্রাফ অফিস তৈরি হয়ে ছিল মেদিনীপুরের kedgeree তে , যার নাম এখন হয়েছে খেজুরি । কোলকাতা বন্দরের পত্তনের আগে খেজুরির এই ডাক ও তার অফিসের মাধ্যমে চিঠিপত্রের আদানপ্রদান হতো । বড়বড় জাহাজ খেজুরি বন্দরে এসে পৌঁচালে সেখান থেকে চাঠিও খবর ডাকঘর হয়ে কোলকাতা পৌচাতো । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তথ্য আদান প্রদান করার জন্য এই ডাকঘরটি তৈরি হয়ে ছিল । আর সে কারণে এই ডাকঘর বন্দরের পাশে জড়ে উঠেছিল। শুধু ডাকঘর নয় এই বন্দকে ঘিরে ইংরেজ ও পূর্তূগিজ কলোনি ও গড়ে উঠেছিল সেই সময় । কালের নিয়মে বন্দর হারিয়ে গিয়েছে । শুদু অতীতের স্মৃতি হয়ে ভগ্ন ডাক ঘরের কিছু অংশ এখনো দাড়িয়ে আছে । এই খেজুরি এলাকায় এক গবেষক, যিনি খালি খেজুরি নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন । এমনকি নিজে খেজুরির সম্পর্কে বই লিখেছেন, অরবিন্দ বেরা তিনি বলেন, বহু লাইব্রেরিতে ঘুরে ঘুরে আমি অনেক তথ্য পেয়েছি , এবং বইও লিখেছি খেজুরি নিয়ে । প্রথমে এই এলাকার নাম ছিল kedgeree , যা এখন খেজুরি নামে পরিচিত হয়েছে । ১৭৭২ সালে ভারতের প্রথম ডাকঘর তৈরি করা হয়ে ছিল, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তথ্য আদান প্রদান করার জন্য । আর পাশেই ছিল জাহাজ বন্দর, আর এখানে রাজা রামমোহন রায় ১৮৩০সালের ১৯শা নভেম্বর এই ডাকঘরে রাত্রি যাপন করে পরের দিন ২০ নভেম্বর পালতোলা জাহাজে বিলেত যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন । কিন্তু এই জায়গার এত কিছু ইতিহাস আজ হারিয়ে গেছে, এখন খেজুরি পরিচিত হয়েছে এলাকা দখল কে নিয়ে মারপিট, রাহাজানি । খালি রাজনীতির লড়াই । আর এলাকাবাসী চায় খেজুরি পরিচিত হোক্ রাজনৈতিক হিংসা ও মারামারিতে নয় । পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হোক্ । আর সরকার যদি এই এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা করতো , তাহলে ভালো হতো । হয়তো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুললে রাজনৈতিক হিংসা, মারামারি ও কাটাকাটি বন্ধ হতো ! সরকার কি এই খেজুরিকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা করবে ? না ,রাজনীতির লড়াই, এলাকা দখল চালিয়ে যাবে ? প্রশ্ন থেকেই গেলো !

বাইট 1a অরবিন্দ বেরা, সাহিত্যিক ও ইতিহাস বিষয়ক ।
সঙ্গে আমার পিটিসি ।
Last Updated : Jan 28, 2020, 3:21 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.