পাঁশকুড়া, 19 জুন : রাজ্যে বর্ষা এখনও পুরোপুরি ঢোকেনি । প্যাচপ্যাচে গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত । এরই মধ্যে গতকালকের ঘণ্টা খানেক বৃষ্টি । ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি দিয়েছে জেলাবাসীকে । তারই মধ্যে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পাঁশকুড়া থানার হাউর গ্ৰামে । আতঙ্কের নাম ট্যারান্টুলা । ক্ষিরাই নদী সংলগ্ন এই গ্রামে প্রতিবছরই বর্ষার সময় ট্যারান্টুলার আতঙ্ক ছড়ায় । যদিও জেলা বন আধিকারিকের তরফে মাকড়সাটি ট্যারান্টুলা নয়, লোমশ মাকড়সা বলেই জানানো হয়েছে ।
গতকাল বিকেলে বৃষ্টির পর রাতে এলাকার বেশকিছু বাড়িতে দেখা যায় ওই মাকড়সা । রাত দশটা নাগাদ পীযূষ ঘোষ নামে এক গৃহশিক্ষকের বাড়িতে দেখা যায় ওই মাকড়সা । পীযূষবাবু তাঁর ছেলে প্রান্তিককে নিয়ে সেই সময় খেতে বসেছিলেন । তখনই মাকড়সাটি প্রান্তিকের খুব কাছে চলে আসে । মাকড়সাটি দেখেই ভয়ে প্রান্তিক চিৎকার শুরু করলে পীযূষবাবু কোনও রকমে মাকড়সাটিকে একটি ঝাঁটা দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যান । আর তাতেই মারা যায় ওই মাকড়সাটি । দিন কয়েক আগেও এলাকার বাসিন্দা নির্মল পাল ও মানস রায়ের বাড়িতে দেখা মেলে ওই একই ধরনের মাকড়সা । বর্ষা শুরু হতেই গ্রামে ফের মাকড়সার দেখা মেলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা ।
পীযূষবাবু বলেন, "প্রতিবছরই বর্ষা এলে গ্রামের মানুষ ট্যারান্টুলা আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন । এবছর তেমনভাবে বর্ষা এখনও শুরু হয়নি । গতকাল কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ার পরই বাড়ির মধ্যেই আমরা মাকড়সাটিকে দেখতে পাই । বন দপ্তরের কর্মীদের হাতে মাকড়সাটিকে তুলে দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও নিজে আতঙ্কিত হয়ে পড়ায় ঝাঁটা দিয়ে সেটিকে বাড়ি থেকে বের করার সময় আঘাত লেগে মারা যায় ।"
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বন আধিকারিক স্বাগতা দাস জানিয়েছেন, প্রতিবছরই বর্ষার সময় স্যাঁতসেতে আবহাওয়ার কারণে নদী সংলগ্ন এলাকাগুলিতে এই মাকড়সার প্রাদুর্ভাব ঘটে । তবে সাধারণ মানুষ ট্যারান্টুলা আতঙ্কে আতঙ্কিত হলেও এটি আসলে লোমশ মাকড়সা । লোমশ মাকড়সার কামড়ে বড় কোনও বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই । চিকিৎসা করালেই বিপদ মুক্ত হওয়া যায় । তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই ।