ETV Bharat / state

লাখ টাকা জরিমানার নিদান সালিশি সভায়, এগরায় আত্মঘাতী পান চাষি

সালিশি সভার নিদান, দিতে হবে লাখ টাকা জরিমানা ৷ সেই সঙ্গে নিজের নামের সম্পত্তি করে দিতে হবে বাবার নামে ৷ যা মেনে নিতে না পেরে আত্মঘাতী হন এগরার পান চাষি বৃন্দাবন প্রধান ৷ অভিযোগ পরিবারের ৷

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jul 28, 2019, 11:43 PM IST

এগরা, 28 জুলাই : জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে পারিবারিক অশান্তি ৷ অশান্তি মেটাতে গ্রামের মাতব্বরদের সালিশি সভা ৷ সেখানে নিদান দেওয়া হয় এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে ৷ সেইসঙ্গে নানাভাবে অপমান করা হয় ৷ যা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন এক পান চাষি ৷ অভিযোগ পরিবারের ৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার কামারডিহা গ্রামের ঘটনা ৷ পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ না জানানো হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

বাড়ির বড় ছেলে বৃন্দাবন প্রধান । তাঁর ঠাকুরদা তাঁকে একটি জমি দান করেছিলেন । ঠাকুরদা জমি দেওয়ায় বৃন্দাবনের বাবা রমানাথ প্রধান তাঁকে আর চাষের জন্য জমি দেননি । তিনি তাঁর সব জমি বাকি দু'ছেলেকে দান করেন ৷ অভিযোগ, ঠাকুরদার দেওয়া ওই জমি গ্রামের মাতব্বরদের সাহায্য নিয়ে বলপূর্বক দখল করে রেখেছিলেন তাঁর দুই ভাই বীরেন ও বরেন প্রধান ৷ নানাভাবে তাঁদের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করলেও বীরেন ও বরেন রাজি হননি ৷ ছোট্ট একটি জমিতে কোনও রকমে পান চাষ করে সংসার চালাতেন বৃন্দাবন ৷ সংসার চালাতে ইদানিং ধার দেনাও হয়েছিল তাঁর । শেষমেষ উপায় না দেখে নিজের জমির বলপূর্বক দখল নিয়েছিলেন । এরপরেই দু'ভাই ও বাবা এর বিচার চান ৷ সেই মর্মে সালিশি সভা বসে ৷

অভিযোগ, দিন সাতেক আগে সালিশি সভা বসে ৷ নলিনী গিরি (গ্রাম্য কমিটির সম্পাদক), গোবিন্দ দুয়ারি (গ্রাম্য কমিটির সভাপতি) ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন আরও কয়েকজন 'মাতব্বর' ৷ সেখানে বলা হয়, ভাইদের একলাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে । আর সম্পত্তি লিখে দিতে হবে বাবা রামনাথ প্রধানের । সভায় তাঁকে অপমানও করা হয় । পরিবারের অভিযোগ, অপমান সহ্য করতে না পেরে 20 জুলাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বৃন্দাবন । তড়িঘড়ি এগরা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । দু'দিন আগে অবস্থার অবনতি হয় । স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার SSKM হাসপাতালে । আজ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় ।

সালিশি সভা বসানোর কথা স্বীকার করলেও গ্রাম্য কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন, কোনও নিদান দেওয়া হয়নি । দু'পক্ষের সমঝোতার কথাই বলা হয়েছিল ।

এবিষয়ে এগরা থানার OC রবি গ্রাহিকার বলেন, "পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আসেনি । পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ৷"

এগরা, 28 জুলাই : জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে পারিবারিক অশান্তি ৷ অশান্তি মেটাতে গ্রামের মাতব্বরদের সালিশি সভা ৷ সেখানে নিদান দেওয়া হয় এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে ৷ সেইসঙ্গে নানাভাবে অপমান করা হয় ৷ যা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন এক পান চাষি ৷ অভিযোগ পরিবারের ৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার কামারডিহা গ্রামের ঘটনা ৷ পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ না জানানো হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

বাড়ির বড় ছেলে বৃন্দাবন প্রধান । তাঁর ঠাকুরদা তাঁকে একটি জমি দান করেছিলেন । ঠাকুরদা জমি দেওয়ায় বৃন্দাবনের বাবা রমানাথ প্রধান তাঁকে আর চাষের জন্য জমি দেননি । তিনি তাঁর সব জমি বাকি দু'ছেলেকে দান করেন ৷ অভিযোগ, ঠাকুরদার দেওয়া ওই জমি গ্রামের মাতব্বরদের সাহায্য নিয়ে বলপূর্বক দখল করে রেখেছিলেন তাঁর দুই ভাই বীরেন ও বরেন প্রধান ৷ নানাভাবে তাঁদের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করলেও বীরেন ও বরেন রাজি হননি ৷ ছোট্ট একটি জমিতে কোনও রকমে পান চাষ করে সংসার চালাতেন বৃন্দাবন ৷ সংসার চালাতে ইদানিং ধার দেনাও হয়েছিল তাঁর । শেষমেষ উপায় না দেখে নিজের জমির বলপূর্বক দখল নিয়েছিলেন । এরপরেই দু'ভাই ও বাবা এর বিচার চান ৷ সেই মর্মে সালিশি সভা বসে ৷

অভিযোগ, দিন সাতেক আগে সালিশি সভা বসে ৷ নলিনী গিরি (গ্রাম্য কমিটির সম্পাদক), গোবিন্দ দুয়ারি (গ্রাম্য কমিটির সভাপতি) ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন আরও কয়েকজন 'মাতব্বর' ৷ সেখানে বলা হয়, ভাইদের একলাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে । আর সম্পত্তি লিখে দিতে হবে বাবা রামনাথ প্রধানের । সভায় তাঁকে অপমানও করা হয় । পরিবারের অভিযোগ, অপমান সহ্য করতে না পেরে 20 জুলাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বৃন্দাবন । তড়িঘড়ি এগরা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । দু'দিন আগে অবস্থার অবনতি হয় । স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার SSKM হাসপাতালে । আজ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় ।

সালিশি সভা বসানোর কথা স্বীকার করলেও গ্রাম্য কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন, কোনও নিদান দেওয়া হয়নি । দু'পক্ষের সমঝোতার কথাই বলা হয়েছিল ।

এবিষয়ে এগরা থানার OC রবি গ্রাহিকার বলেন, "পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আসেনি । পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ৷"

Intro:পারিবারিক জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে গ্রামের মাতব্বর দের শালিশি সভা, একলক্ষ টাকা জরিমানা সহ মানষিক অত্যাচার শয্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলো পান চাষী। এমনই অভিযোগ মৃত পান চাষির পরিবারের ।

বাড়ীর বড়ছেলে বৃন্দাবন প্রধান ।বৃন্দাবন কে তার ঠাকুরদা একটি জমি দান করে গেছিল। সেই জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিল বৃন্দাবনের দুই ভাই বীরেন ও বরেন প্রধান। বাড়ীর বড়ছেলেকে যেহেতুতাঁর ঠাকুদা জমি দিয়ে গেছে সেকারণে বৃন্দাবনের বাবা রমানাথ প্রধান বড়ছেলেকে আর চাষ জমি দেয়নি । তার সমুহ জমি বাকি দুই ছেলেকে দান করেছিলেন বাবা রমানাথ ।এবার বৃন্দাবন এর ছোট দুই ভাই বীরেন ও বরেন গ্রামের মাতব্বর দের প্রভাব খাটিয়ে বাবার সমুহ সম্পত্তি সহ দাদুর দান করা দাদা বৃন্দাবনের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিল । এরপর বাড়ীর বড়ছেলে হিসেবে সমুহ চাষজতি থেকে বঞ্চিত ছিল।ভায়েদের সাথে নানা ভাবে বোঝাপড়া করার চেষ্টা করেছিল দাদা বৃন্দাবন ।কিন্তু ভায়েরা কোনকথা শোনেনি বলে অভিযোগ। ছোট্ট একটি জমিতে কোনরকমে পান চাষ করে সংসার আর চালাতে পারছিলনা বৃন্দাবন।সংসার চালাতে ইদানিং ধার দেনা ও হয়েছিল। শেষমেষ ভায়েরা জমি না ছাড়লে বৃন্দাবন তার জমি জোর পূর্বক দখল নিয়ে ছিল । তার পর দুইভাই ও বাবা মিলে গ্রামে বিচার দেয়। সেই মর্মে শালিশি সভা বসানো হয় ।সেই সভায় দিদান দেওয়া হয় বৃন্দাবন তার নিজের জমি দখল নেওয়ার জন্য ও তার ভায়েদের একটি পান বোরজ ছিল ঐ জমিতে। সেই বরোজ ভাঙার জন্য এক লক্ষ টাকা জরিমানা সহ তার নামিত থাকা সম্পত্তি সব তার বাবা রমানাথ কে লিখেদিতে হবে। শুধু তাই নয় মানসিক অত্যাচার সহ নানা ভাবে বৃন্দাবন কে ভৎসনা ,অপমান করা হয় বলে অভিযোগ ।সেই অপমান শয্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পান চাষী বৃন্দাবন এর পরিবারের ।এমন ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে এসেছে।যদিও মাতব্বররা শালিশি সভা বসানোর বিষয়ে স্বীকার করলেও এ ধরনের বিচারের নিদান দেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করেছে।
Body:
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানা এলাকার কামার ডিহা গ্রামের ঘটনা।মৃত পান চাষীর নাম বৃন্দাবন প্রধান(55)।গ্রামের মাতব্বর দের নাম নলিনী গিরি (গ্রাম্য কমিটির সম্পাদক),গোবিন্দ দুয়ারী(গ্রাম্য কমিটির সভাপতি)।অভিযোগ এই দুই মাতব্বর দের সাথে আরো বেশ কিছু সহযোগী দ্বারা শালিশী সভা বসানো হয় গত সাতদিন আগে। বিষখেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় মাঠে দেখতে পায় পরিবারের লোকেরা । তড়িঘড়ি এগরা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার পিজিতে ভর্তি করা হয় দুদিন আগে, আজ মৃত্যু হয় পান চাষীর।
Conclusion:
এগরা থানার ওসি রবি গ্রাহিকার বলেন পরিবারের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি । পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।

বাইট -রমেশ চন্দ্র প্রধান ,গ্রামের আমিন ও প্রতিবেশী ।
বাইট 1a -মাতব্বর গোবিন্দ দুয়ারি ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.