ETV Bharat / state

ক্ষুদিরামের জন্মদিবসে তমলুকে শুভেন্দু, বললেন "আমি বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান"

ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে আজ তমলুকে একটি পদযাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ অনেকেই ভেবেছিলেন, নীরবতা ভেঙে আজ এই অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই কোনও রাজনৈতিক বার্তা দিতে পারেন তিনি ৷ কিন্তু আজও সেরকম কিছু শোনা গেল না তাঁর মুখে ।

Subhendu Adhikari
শুভেন্দু অধিকারী
author img

By

Published : Dec 3, 2020, 2:31 PM IST

Updated : Dec 3, 2020, 2:45 PM IST

তমলুক, 3 ডিসেম্বর : মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর নন্দীগ্রাম ও মহিষাদলের অরাজনৈতিক সভায় তাঁর মুখ থেকে কোনও রাজনৈতিক বার্তা শোনা যায়নি । তবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাস্তায় থাকবেন । মানুষের পাশে থাকবেন । আর আজও ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে তমলুকের অনুষ্ঠান থেকে কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য শোনা গেল না শুভেন্দু অধিকারীর মুখে । শুধু বললেন, "আমার পরিচয় বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান ৷"

আজ তমলুকে একটি পদযাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দুবাবু ৷ অনেকেই ভেবেছিলেন, নীরবতা ভেঙে আজ এই অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই কোনও রাজনৈতিক বার্তা দিতে পারেন তিনি ৷ কিন্তু আজও সেরকম কিছু শোনা গেল না তাঁর মুখে ।

আরও পড়ুন : পি কে'র ভুলেই কি তাল কাটল শুভেন্দু পর্বের? উত্তর খুঁজছে কালীঘাট

কয়েকদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছিল । এই পরিস্থিতিতে তাঁর মান ভাঙাতে একাধিকবার বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় । কিন্তু, তার মাঝেই মন্ত্রিত্ব ছাড়েন শুভেন্দু । আর মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর । ছিলেন সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর । সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে বলে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন সৌগত রায় । আর তারপরই তাল কাটে ৷ ক্ষোভপ্রকাশ করে সৌগতবাবুকে মেসেজ করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷

"আমার পরিচয় বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান", বললেন শুভেন্দু অধিকারী

এই পরিস্থিতিতে তাঁকে নিয়ে নানা মহলে একাধিক জল্পনা তৈরি হলেও শুভেন্দু নীরবই ছিলেন । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বজবজের সভা থেকে তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন সেই সময় নন্দীগ্রামের সভাতে তিনি চুপ ছিলেন । কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেননি । অবশ্য অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি যে কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেবেন না তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন অনেকে ।

আরও পড়ুন : শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন মিহির গোস্বামীর, শুরু জল্পনা

আজও তমলুকে তাঁর পদযাত্রার উপর নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের । সেখানেও রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি বলেন, "আজকের দিনটা প্রত্যেক বছর মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয় । 1908 সালের 11 অগাস্ট ক্ষুদিরাম বসু অত্যাচারী ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন । আমরা নত মস্তকে, বিনম্র চিত্তে তাঁকে শ্রদ্ধা করি ও স্মরণ করি । সর্বস্তরে আজকে এই কর্মসূচি পালন হচ্ছে । এই তাম্রলিপ্ত নগরে 1942 সালের 17 ডিসেম্বর জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । এই নগরের সঙ্গে শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান জড়িয়ে আছে, বিপ্লবী বীর ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতিও জড়িয়ে রয়েছে ৷ "

আরও পড়ুন : সাড়ে তিন ঘণ্টা একান্তে শুভেন্দু-অভিষেক, বরফ কি গলল? চুপ অধিকারী পরিবার

তবে ফের একবার মানুষের পাশে থাকার কথা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে । সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "আমার লোকসভা কেন্দ্র সব সময় মানুষের কথা বলে । যেখানে জনগণের দ্বারা ও জনগণের জন্য কাজই শেষ কথা ।" কিন্তু এখন মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন । এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে কীভাবে থাকবেন ? তার উত্তরে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি । বলেন, "নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ও মানুষের পাশে ছিলাম । জঙ্গলমহল ও নেতাইয়ের গণহত্যার সময়ও মানুষের ছিলাম । আমার পরিচয় বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান ।"

তমলুক, 3 ডিসেম্বর : মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর নন্দীগ্রাম ও মহিষাদলের অরাজনৈতিক সভায় তাঁর মুখ থেকে কোনও রাজনৈতিক বার্তা শোনা যায়নি । তবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাস্তায় থাকবেন । মানুষের পাশে থাকবেন । আর আজও ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে তমলুকের অনুষ্ঠান থেকে কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য শোনা গেল না শুভেন্দু অধিকারীর মুখে । শুধু বললেন, "আমার পরিচয় বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান ৷"

আজ তমলুকে একটি পদযাত্রায় অংশ নেন শুভেন্দুবাবু ৷ অনেকেই ভেবেছিলেন, নীরবতা ভেঙে আজ এই অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই কোনও রাজনৈতিক বার্তা দিতে পারেন তিনি ৷ কিন্তু আজও সেরকম কিছু শোনা গেল না তাঁর মুখে ।

আরও পড়ুন : পি কে'র ভুলেই কি তাল কাটল শুভেন্দু পর্বের? উত্তর খুঁজছে কালীঘাট

কয়েকদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছিল । এই পরিস্থিতিতে তাঁর মান ভাঙাতে একাধিকবার বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় । কিন্তু, তার মাঝেই মন্ত্রিত্ব ছাড়েন শুভেন্দু । আর মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর । ছিলেন সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর । সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে বলে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন সৌগত রায় । আর তারপরই তাল কাটে ৷ ক্ষোভপ্রকাশ করে সৌগতবাবুকে মেসেজ করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷

"আমার পরিচয় বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান", বললেন শুভেন্দু অধিকারী

এই পরিস্থিতিতে তাঁকে নিয়ে নানা মহলে একাধিক জল্পনা তৈরি হলেও শুভেন্দু নীরবই ছিলেন । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বজবজের সভা থেকে তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন সেই সময় নন্দীগ্রামের সভাতে তিনি চুপ ছিলেন । কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেননি । অবশ্য অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি যে কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেবেন না তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন অনেকে ।

আরও পড়ুন : শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন মিহির গোস্বামীর, শুরু জল্পনা

আজও তমলুকে তাঁর পদযাত্রার উপর নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের । সেখানেও রাজনৈতিক প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি বলেন, "আজকের দিনটা প্রত্যেক বছর মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয় । 1908 সালের 11 অগাস্ট ক্ষুদিরাম বসু অত্যাচারী ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন । আমরা নত মস্তকে, বিনম্র চিত্তে তাঁকে শ্রদ্ধা করি ও স্মরণ করি । সর্বস্তরে আজকে এই কর্মসূচি পালন হচ্ছে । এই তাম্রলিপ্ত নগরে 1942 সালের 17 ডিসেম্বর জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । এই নগরের সঙ্গে শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান জড়িয়ে আছে, বিপ্লবী বীর ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতিও জড়িয়ে রয়েছে ৷ "

আরও পড়ুন : সাড়ে তিন ঘণ্টা একান্তে শুভেন্দু-অভিষেক, বরফ কি গলল? চুপ অধিকারী পরিবার

তবে ফের একবার মানুষের পাশে থাকার কথা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে । সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "আমার লোকসভা কেন্দ্র সব সময় মানুষের কথা বলে । যেখানে জনগণের দ্বারা ও জনগণের জন্য কাজই শেষ কথা ।" কিন্তু এখন মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন । এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে কীভাবে থাকবেন ? তার উত্তরে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি । বলেন, "নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ও মানুষের পাশে ছিলাম । জঙ্গলমহল ও নেতাইয়ের গণহত্যার সময়ও মানুষের ছিলাম । আমার পরিচয় বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান ।"

Last Updated : Dec 3, 2020, 2:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.