এগরা, 4 জানুয়ারি : দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একই মঞ্চে থাকার কারণে শোকজ তৃণমূল নেতা সমরেশ দাস ৷ শুক্রবার ছিল 34তম এগরা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ৷ অনুষ্ঠানে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাসকে ৷ তারপরই তাঁকে দলের তরফে শোকজ করেন পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী ৷
NRC, CAA নিয়ে তৃণমূল-BJP-র সংঘাত চরমে । এমতাঅবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা মেলার উদ্বোধন মঞ্চে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস ও মেদিনীপুরের BJP সাংসদ দিলীপ ঘোষকে । কিন্তু সেই ঘটনার তিন ঘণ্টা না কাটতেই শোকজ করা হয় দলের বিধায়ক সমরেশ দাসকে ৷ সেই সঙ্গে এগরা 1 নম্বর ব্লকের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সিদ্ধেশ্বর বেরাকেও ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে দিলীপবাবু জানান , মেলা মানেই মিলনক্ষেত্র আর সেই মিলন ক্ষেত্রে ধর্ম বর্ণ রাজনীতি সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় । বক্তব্য অনুযায়ী মেলা জমে উঠেছিল ঠিক সেভাবেই । কিন্তু এই খবর রাজ্য নেতৃত্বদের কাছে পৌঁছাতেই বদলে যায় সবকিছু । রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকশির নির্দেশে শিশির অধিকারী দলীয় নেতা-কর্মীদের ভৎসনা ও শোকজ করেন । শিশির অধিকারীর সাঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ''BJP-কে আমাদের দলের কর্মী থেকে শুরু করে আত্মীয় বন্ধুবান্ধব সবাই ঘৃণার চোখে দেখে । পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা সংস্কৃতি সমস্ত কিছুই ধ্বংস করার জন্য BJP উঠে পড়ে লেগেছে । তাই সেই দলের নেতার সাথে আমাদের কোন নেতা একই মঞ্চ ভাগ করুক এটা আমরা চাই না । এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত । তাই দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকশির নির্দেশে আমরা এগরার বিধায়ক সমরেশ দাসকে শোকজ করেছি । সেইসঙ্গে এগরা ব্লকের সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বেরাকে অপসারণ করা হয়েছে ৷ পাশপাশি প্রাক্তন জেলা পরিষদের সদস্য তথা ব্লক কমিটির সদস্য বিজন সাহুকে সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এগরা পৌরসভার পৌর প্রধান শঙ্কর বেরা ও কাউন্সিলর নবকুমার ঘোড়াইকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে ।"
যদিও এই বিষয়ে সমরেশ দাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আমার জানা নেই, এটা পাবলিক অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান । আমি ওই এলাকার বিধায়ক আর সে ওই এলাকার সাংসদ আসতেই পারে, এতে কী রাজনীতির মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে? কোনও গোপন বৈঠকে তো যাইনি, BJP-র সঙ্গে । আর আমি এইসব বিষয়ে কোন কেয়ার করি না । আর অন্য কোনও দলে যাওয়ার প্রোগ্রাম আমার নেই । এদিন মেলার উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এগরার তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা ।''