মেদিনীপুর, 11 জুন : শুক্রবার নন্দীগ্রাম থেকে পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরে আসার পথেই মাছ সমুদ্রের একটি ট্রলার । ওই ট্রলারের মধ্যেই বারো জন মৎসজীবী ছিল । গতকালই 5 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে । তিনজনকে বাঁচানো গেলেও দু'জনের মৃত্যু হয় । 24 ঘন্টার পরও নিখোঁজ সেই 7 জন মৎস্যজীবীর এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান নেই (Troller Capsized)। নিখোঁজ মৎস্যজীবিদের ফিরে পথ চেয়ে মৎস্যবন্দরে বসে তাদের পরিবার ।
শুক্রবার পেটুয়া ঘাট মৎস্য বন্দরে ঢোকার মুখে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি ট্রলার । 24 ঘন্টার বেশী কেটে গেলেও এখনও নিখোঁজ ট্রলারের মাঝি-সহ সাত মৎস্যজীবী । উলটে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে শুক্রবারের পর শনিবার দুপুর গড়াতে শুরু হয়েছে । কিন্তু কোনও হাদিস নেই ওই উলটে যাওয়া ট্রলারের । এনডিআরএফ ও ইণ্ডিয়ান কোস্ট গার্ডে প্রতিনিধিরা শুক্রবার থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন । সময় যত কাটছে নিখোঁজদের বেঁচে থাকার সম্ভবনা ততই কমে আসছে ।
যদিও শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় তল্লাশি চালালেও ট্রলারের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি । এদিন এনডিআরএফ আধিকারীকরা তল্লাশি চালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন । শনিবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে রয়েছেন কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম মোহন ইরানি, মহাকুমা পুলিশ আধিকারীক সোমনাথ সাহা, কাঁথি 2 নম্বর ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানা-সহ অন্যান্য দফতরের আধিকারীরাও । আবার হলদিয়া কোষ্ট গার্ড জলপথে ও আকাশপথে কপ্টার দিয়ে তল্লাশি চালানো হয় । কোনও নিখোঁজ হওয়ার ট্রলারের কোথাও সন্ধান পাওয়া যায়নি ।
আরও পড়ুন : ট্রলার ডুবিতে মৃত দুই ! নিখোঁজ সাত
নিখোঁজ 7 মৎস্যজীবীদের নাম শুকদেব করন, রামপদ হাজরা, কৌস্তুভ মণ্ডল, পঞ্চানন মণ্ডল । বাকি তিন জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি । নিখোঁজ মৎস্যজীবী শুকদেব করণের দিদি ভবানী দাস বলেন, কী হবে কিছু বুঝে উঠতে পারছি না । ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক ।" কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য মোহন বিক্রম ইরানি বলেন, "আবারও আজকে সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে । এখনও পর্ষন্ত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে উলটে ট্রলারটি সেখানে সরে অন্যএ চলে গিয়েছে । তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে । ট্রলারের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি ৷"