কোলাঘাট, 2 মে: সংক্রমিত হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুরকে কেন্দ্রীয় সরকার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরপর থেকেই জেলায় লকডাউন সফল করতে আরও কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলায় ঢোকার সড়কপথগুলিতে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। এবার ড্রোনের ব্যবহারেও শুরু হল বিশেষ নজরদারি। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সংযোগস্থল কোলাঘাটে শুরু হল ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার। গতকাল থেকেই কোলাঘাট ব্লকের BDO-র উদ্যোগে আমলহান্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হয় এই নজরদারির কাজ।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর দুই জেলাই ঘোষিত রেড জোন। এদিকে পাশাপাশি দুই জেলা হওয়ায় ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে সহজেই দুই জেলার মানুষ একে অপরের এলাকায় ঢুকে পড়তে পারে। ফলে বাড়তে পারে সংক্রমণ। সেই কারণেই জেলা পুলিশের তরফে কোলাঘাটের ছয় নম্বর জাতীয় সড়কের শরৎ সেতুর ওপর পুলিশের চেকপোস্ট বসিয়ে দিন-রাত নজরদারি চালানো হচ্ছে। এর বাইরে দুই জেলা সংযোগকারী অন্য স্থানগুলি দিয়ে মানুষ লুকিয়ে জেলায় প্রবেশ করছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে ড্রোন-নজরদারি শুরু করল প্রশাসন। পাশাপাশি এলাকার বাজার ও রাস্তার ভিড় খতিয়ে দেখতেও ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার শুরু হয়েছে। ক্যামেরায় কোথাও ভিড় ধরা পড়লেই পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে ভিড় হটিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে, কোলাঘাট ব্লকের যে সমস্ত মানুষ খাদ্য সামগ্রীর অভাবের কথা ব্লক প্রশাসনকে ফোনে জানাচ্ছেন, প্রশাসনের উদ্যোগে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ন্যায্যমূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
শনিবার কোলাঘাট ব্লকের BDO মদন মণ্ডল জানান, ব্লকের মেচেদা RPF থানার এক জাওয়ান কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি দুই জেলা হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর রেড জোনে রয়েছে। কোলাঘাট ব্লক হল এই দুই জেলার সংযোগস্থল। তাই লকডাউনের উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ রাখতেই ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে লাগাতার নজরদারি চালানো হচ্ছে।