ETV Bharat / state

স্কুলে কোয়ারানটিন সেন্টার, প্রতিবাদে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ তমলুকে - Migrant workers

পরিযায়ী শ্রমিকদের স্কুলে কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা নিয়ে বিক্ষোভ তমলুকের পায়রাচালী গ্রামে ৷ পরিস্থিতি আনতে পুলিশ ঘটনাস্থানে যায় ৷ পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা ৷

তমলুকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ
তমলুকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ
author img

By

Published : Jun 6, 2020, 5:13 PM IST

তমলুক, 6 জুন : স্কুলে কোয়ারানটিন সেন্টার করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন তমলুকের পায়রাচালী গ্রামের বাসিন্দারা ৷ পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে স্কুলে ঢুকতে না পারে, তাই গোটা স্কুল চত্বর বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেন তাঁরা ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ ৷ পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা ৷ পরে থানা থেকে আরও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক থানার পিপুলবাড়িয়া গ্রাম 1 নম্বর পঞ্চায়েতের পায়ারাচালী ফি প্রাথমকি বিদ্যালয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা নিয়ে গতকাল থেকেই মতবিরোধ চলছিল গ্রামবাসী ও পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের মধ্যে ৷ যে কারণে দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের গাজ়িয়াবাদ থেকে বাড়ি ফেরেন দীপক ধাড়া ও গোবিন্দ ধাড়া ৷ বাড়ির পাশেই ত্রিপলের তাঁবু বানিয়ে থাকতে শুরু করেন তাঁরা ৷ গতকাল সেই তাঁবুতেই রাত কাটে দুই শ্রমিকের ৷

ঝড়-বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা করে স্থানীয় স্কুলে থাকার অনুরোধ জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ওই দুই শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা । আর তা জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দারা তড়িঘড়ি স্কুল চত্বরে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেন । বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুলে ঢোকার রাস্তাও । পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাঁবু ছেড়ে বেরিয়ে গোটা গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর হুমকি দেন ভিনরাজ্য থেকে ফেরা দুই শ্রমিক । খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে তাঁদের স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করে । সে সময় গ্রামবাসী ও শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বচসা শুরু হয় । স্কুল খুলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ । অভিযোগ, পুলিশকর্মীদের ধাক্কাধাক্কিও করে গ্রামবাসীদের একাংশ । পরে তমলুক থানা থেকে আরও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ওই দুই শ্রমিককে পায়রাচালী ফি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকার ব্যবস্থা করে ।

তমলুকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, "স্কুলটি ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে । ফলে স্কুলে কোয়ারানটিন সেন্টার করা হলে বহু পরিযায়ী শ্রমিককে এখানে রাখা হবে । আমাদের বাড়ির বাচ্চারা খেলতে খেলতে স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়ে ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে । তাই আমরা চাই ওদের লোকালয় ছেড়ে দূরে কোথাও থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক ।"

অন্যদিকে, ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের পরিবারের সদস্য সোনালী ধাড়া অভিযোগ করে বলেন, "আমাদের বাড়ির দুই সদস্য ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফেরায় গ্রামবাসীরা আমাদেরকেও বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছিল না । এমন কী, গ্রামের কল থেকে খাওয়ার জল পর্যন্ত নিতে দেয়নি । স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে বারবার দ্বারস্থ হলে তিনি প্রাথমিক আশ্বাস দিলেও এলাকায় বিশৃঙ্খলা হওয়ার ভয়ে স্কুল খোলার কোনও ব্যবস্থা করে দেননি । পরে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ায় আজ ওরা মাথার উপর একটু ছাদ পেল । এই দুর্যোগের দিনে ত্রিপল টাঙিয়ে কি কখনও থাকা যায়?"

এই বিষয়ে তমলুক থানার OC জলেশ্বর তিওয়ারি জানান, "ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের স্কুলে থাকা নিয়ে গ্রামবাসী ও শ্রমিকদের পরিবারের মধ্যে একটু সমস্যা তৈরি হয়েছিল । বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে । ওরা তাঁবুতে না থেকে এলাকায় ঘুরে বেড়ালে সমস্যা আরও বাড়ত । তাই এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে স্কুলে ওদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে ।"

তমলুক, 6 জুন : স্কুলে কোয়ারানটিন সেন্টার করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন তমলুকের পায়রাচালী গ্রামের বাসিন্দারা ৷ পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে স্কুলে ঢুকতে না পারে, তাই গোটা স্কুল চত্বর বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেন তাঁরা ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ ৷ পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা ৷ পরে থানা থেকে আরও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক থানার পিপুলবাড়িয়া গ্রাম 1 নম্বর পঞ্চায়েতের পায়ারাচালী ফি প্রাথমকি বিদ্যালয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা নিয়ে গতকাল থেকেই মতবিরোধ চলছিল গ্রামবাসী ও পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের মধ্যে ৷ যে কারণে দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের গাজ়িয়াবাদ থেকে বাড়ি ফেরেন দীপক ধাড়া ও গোবিন্দ ধাড়া ৷ বাড়ির পাশেই ত্রিপলের তাঁবু বানিয়ে থাকতে শুরু করেন তাঁরা ৷ গতকাল সেই তাঁবুতেই রাত কাটে দুই শ্রমিকের ৷

ঝড়-বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা করে স্থানীয় স্কুলে থাকার অনুরোধ জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ওই দুই শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা । আর তা জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দারা তড়িঘড়ি স্কুল চত্বরে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেন । বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুলে ঢোকার রাস্তাও । পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাঁবু ছেড়ে বেরিয়ে গোটা গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর হুমকি দেন ভিনরাজ্য থেকে ফেরা দুই শ্রমিক । খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে তাঁদের স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করে । সে সময় গ্রামবাসী ও শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বচসা শুরু হয় । স্কুল খুলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ । অভিযোগ, পুলিশকর্মীদের ধাক্কাধাক্কিও করে গ্রামবাসীদের একাংশ । পরে তমলুক থানা থেকে আরও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ওই দুই শ্রমিককে পায়রাচালী ফি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকার ব্যবস্থা করে ।

তমলুকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, "স্কুলটি ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে । ফলে স্কুলে কোয়ারানটিন সেন্টার করা হলে বহু পরিযায়ী শ্রমিককে এখানে রাখা হবে । আমাদের বাড়ির বাচ্চারা খেলতে খেলতে স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়ে ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে । তাই আমরা চাই ওদের লোকালয় ছেড়ে দূরে কোথাও থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক ।"

অন্যদিকে, ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের পরিবারের সদস্য সোনালী ধাড়া অভিযোগ করে বলেন, "আমাদের বাড়ির দুই সদস্য ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফেরায় গ্রামবাসীরা আমাদেরকেও বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছিল না । এমন কী, গ্রামের কল থেকে খাওয়ার জল পর্যন্ত নিতে দেয়নি । স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে বারবার দ্বারস্থ হলে তিনি প্রাথমিক আশ্বাস দিলেও এলাকায় বিশৃঙ্খলা হওয়ার ভয়ে স্কুল খোলার কোনও ব্যবস্থা করে দেননি । পরে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ায় আজ ওরা মাথার উপর একটু ছাদ পেল । এই দুর্যোগের দিনে ত্রিপল টাঙিয়ে কি কখনও থাকা যায়?"

এই বিষয়ে তমলুক থানার OC জলেশ্বর তিওয়ারি জানান, "ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের স্কুলে থাকা নিয়ে গ্রামবাসী ও শ্রমিকদের পরিবারের মধ্যে একটু সমস্যা তৈরি হয়েছিল । বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে । ওরা তাঁবুতে না থেকে এলাকায় ঘুরে বেড়ালে সমস্যা আরও বাড়ত । তাই এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে স্কুলে ওদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.