তমলুক, 19 মে : প্রয়াত হলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস (Purba Medinipur zilla parishad sabhadhipati Debabrata Das passes away) । দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যানসার রোগে আক্রান্ত ছিলেন । বুধবার বিকেল 5 টা 3 মিনিটে তমলুক জেলা হাসপাতালে ওঁর মৃত্যু হয় । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 59 বছর ।
এদিন দুপুরে জোড়া বৈঠক শেষ করে তাঁর কোয়ার্টারে খেতে গিয়েছিলেন । সেখানেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় । কেয়ারটেকারের মারফৎ খবর পেয়ে জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষ ও আধিকারিকরা এসে পৌঁছন কোয়ার্টারে । বিকেল 4.07 মিনিট নাগাদ তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে তাঁকে নিয়ে আসা হয় । ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে । সেখানে চিকিৎসকরা সবরকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন । ঘণ্টাখানেক বাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ।
দেবব্রতবাবুর জীবনাবসানের মধ্য দিয়ে শেষ হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজনীতির এক অধ্যায়ের । জেলা রাজনীতিতে যেকটি নাম প্রথম সারিতে রয়েছে তার মধ্যে একজন অবশ্যই দেবব্রতবাবু । তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে আসেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী ৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে হাজির হতে থাকেন অন্যান্য তৃণমূল নেতারাও । দেবব্রতবাবুর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন সকলেই ।
আরও পড়ুন : তৃণমূলের শিশিরকে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় কি পাঠাবে বিজেপি ?
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়, মন্ত্রী অখিল গিরির হাত ধরে 1990 সাল থেকে কাঁথি মহকুমায় দেবব্রতবাবু কংগ্রেস করতেন । পরবর্তীতে 1998 সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাতার তলায় অখিল গিরির নেতৃত্বে লড়াই করে এসেছেন । রামনগর-1 নম্বর ব্লকের দিঘার পদিমা গ্রামের বাসিন্দা দেবব্রতবাবু, তাঁর রয়েছেন স্ত্রী ও এক ছেলে । কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি ৷ রামনগর 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েছেন তিনবার ৷ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে সমিতিকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পাইয়েছেন ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাঁথি-1 নম্বর ব্লক থেকে তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের আসনে জিতে জেলা সভাধিপতি হয়েছিলেন দেবব্রতবাবু । তাঁর প্রয়াণে শোকাহত সমগ্র জেলা ।