কাঁথি, 7 ফেব্রুয়ারি : পৌরনির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি । তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকা নিয়ে দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ ৷ বিজেপির তালিকা ঘোষণা না হলেও হাওয়া গরম হতে শুরু হয়েছে ৷
পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুক, এগরা ও কাঁথি পৌরসভার নির্বাচন রয়েছে ৷ তমলুক ও এগরাতে তৃণমূল প্রার্থীরা প্রচারে নেমে পড়লেও কাঁথিতে প্রতিনিয়ত চলছে ক্ষোভ-বিক্ষোভের পালা । এরই মধ্যে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর নামে পোস্টার ঘিরে সরগরম কাঁথি (Poster against Sisir Adhikari at kanthi) ৷ দিনকয়েক আগেই শোনা যাচ্ছিল, এবার কাঁথিতে চেয়ারম্যানের মুখ হতে পারেন অধিকারী বাড়ির কর্তা ৷ তারপরেই বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে পোস্টার পড়ল প্রবীণ এই রাজনৈতিক নেতার নামে ৷ তাতে সরাসরি পৌরভোটের প্রসঙ্গ না থাকলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৌরভোটের আগে হাওয়া গরম করতেই এই ধরনের পোস্টার ৷
দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন প্রশাসক সুজন দত্তের বয়ানে ওই পোস্টারে লেখা, ‘শিশির অধিকারী দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সেখানকার হোটেলগুলি থেকে প্রতি মাসে 1.5 কোটি টাকা নিয়েছেন ৷ বিভিন্নভাবে চাপে ফেলেছেন প্রাক্তন প্রশাসককেও ৷’ ঘটনার পরই ইটিভি ভারতের পক্ষ থেকে সুজন দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি ৷ ঘটনায় মন্তব্য করতে নারাজ শিশির অধিকারীও ৷
আরও পড়ুন : "বক্সী-পার্থর দেওয়া তালিকাই ফাইনাল", প্রার্থী বিতর্কে জল ঢেলে মন্তব্য মমতার
কে বা কারা এই পোস্টার মেরেছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উপকূল শহরে ৷ এলাকার অনেকেরই অভিযোগ, সুজন দত্তের বয়ানে এই পোস্টার মেরেছে রাজ্যের শাসকদল ৷ যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক ৷ তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল এমন ব্যক্তিগত আক্রমণ করে না । এমন নিম্নরুচি আমাদের নেই । শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যাওয়ার পর কাঁথির সাংসদ নিজের বাড়িতে বসে গেলেন । রেলস্টেশন সংলগ্ন মাঠে নরেন্দ্র মোদির সভায় তাঁকে বিজেপির মঞ্চে দেখা গিয়েছিল । তা হলে উনি কোথায় এখন ? তা কিন্তু এখনও পরিষ্কার নয় ।’’