কাঁথি, 5 নভেম্বর: শ্মশানের জন্য বরাদ্দ জায়গায় বেআইনি ভাবে দোকান তৈরি করা হয়েছিল ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের রাঙামাটি শ্মশানে অস্থায়ী দোকান বা স্টল নির্মাণের সময় রামচন্দ্র পণ্ডা ঠিকাদার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন । এ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল কাঁথি থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা । এবার অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ঠিকাদার রামচন্দ্র পণ্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ । শনিবার তাঁকে কাঁথি মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে (Purba Medinipur Contai Municipality) ।
প্রসঙ্গত, কাঁথি পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান সুবল মান্না শ্মশানের জমি অবৈধ ব্যবহার করা নিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন ৷ তার মধ্যে একজন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া সৌমেন্দু অধিকারী ৷ সুবল মান্নার অভিযোগ, কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন শ্মশানের জমিতে বেআইনি ভাবে অস্থায়ী দোকান বা স্টল তৈরিতে মদত জুগিয়েছেন সৌমেন্দু ৷
এই নিয়ে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টেও ৷ কলকাতা হাইকোর্ট 11 অগস্ট সৌমেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা না করার নির্দেশে দেয় ৷ পরে কাঁথি থানা তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় ৷ পুলিশের পাঠানো নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি ফের আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ 29 সেপ্টেম্বর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, দশমীর পরে তাঁকে ডাকতে পারে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: শ্মশান দুর্নীতি মামলায় রক্ষাকবচ সৌমেন্দুর, 31 অগস্ট পর্যন্ত গ্রেফতারিতে 'না' হাইকোর্টের
ওই দিন আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, 29 জুন কাঁথি থানায় বেআইনি দোকান নির্মাণ নিয়ে এফআইআর দায়ের করা হয় ৷ তিনি দাবি করেন, সৌন্দর্যায়নের জন্য় সরকার যে অর্থ অনুমোদন করেছিল সেই টাকা ব্যবহার করে শ্মশানের জমিতে অস্থায়ী দোকান বা স্টল নির্মাণ করা হয় ৷ এর জন্য কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি ৷ নিয়ম না মেনে একজন ঠিকাদারকে দোকান তৈরির বরাত দেওয়া হয় ৷ পরে 14 টি দোকান ওই ব্যক্তিকেই কম দামে বিক্রি করা হয় ৷ তিনি ওই দোকানগুলি মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন ৷ অথচ সেই টাকা কাঁথি পৌরসভার তহবিলে জমা পড়েনি ৷ উল্টে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী ৷
সুবল মান্নার অভিযোগ, সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে এই কাজকর্ম করা হয় ৷ সরকারি জমি কখনও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা যায় না ৷ কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাই করেছেন ৷ তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে জমি ব্যবহার করে মোটা টাকা পকেটে পুরেছেন ! 14 অক্টোবর পুলিশ তাঁকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ, সৌমেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের