হলদিয়া, 16 মে : হলদিয়া বন্দরে একটি সংস্থার সামগ্রী অন্য একটি সংস্থা চুরি করেছে বলে অভিযোগ ওঠে । সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক হন তিনটি সংস্থার তিনজন কর্মী । তাঁদের মুক্তির দাবিতে গতকাল দুপুর তিনটে থেকে বন্দরের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দেয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন । বন্ধ সমস্ত বার্থের পণ্য ওঠানামার কাজ । বন্দরের গেটে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক পণ্যবাহী জাহাজ । যার জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হতে চলেছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ ।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে বন্দরের কোল ইয়ার্ডে থাকা ইলেক্ট্রো স্টিল কাস্টিং (ECL) সংস্থার কয়লা সারেঙ্গি উদ্যোগ নামে অপর একটি সংস্থা দশটি ট্র্যাকে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । এদিকে, রিপ্লে অ্যান্ড কম্পানি নামক অন্য একটি সংস্থা ECL-এর কয়লা গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ় নামক সংস্থার ট্র্যাকে বোঝাই করেছিল । ঘটনায় ECL-এর নিযুক্ত সুপারভাইজ়ার জানতে পেরেই CISF-এর কাছে তাদের মাল চুরির অভিযোগ জানায় ।
অভিযোগ পেয়ে CISF অভিযুক্ত তিন সংস্থার অপারেটর, ড্রাইভার সহ তিনজনকে ঘটনাস্থান থেকে আটক করে । পরে হলদিয়া থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় । CISF-এর অভিযোগের ভিত্তিতে হলদিয়া থানার পুলিশ ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে । ঘটনা জানাজানি হতেই বন্দরের মধ্যে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয় । ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেয় । শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত আটক রয়েছে ওই তিন সংস্থার তিন কর্মী ।
তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই চুরির ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে । তাদের দাবি নিছক ভুল করেই ঘটনাটি ঘটেছে । কোনটি কার প্লেট সে বিষয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে । তাদের আরও দাবি, CISF-কে ঘটনাটি জানানোর পরও তারা কোনও কথাই শুনতে চায়নি । ওই তিন কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় ।
ঘটনায় CISF দাবি করেছে, তারা জাতীয় স্বার্থে এই কাজ করেছে । বন্দর কর্তৃপক্ষকে ঘটনা জানানোর কোনও নিয়ম নেই । অপরদিকে হলদিয়া বন্দরের জেনেরাল ম্যানেজার (শিপিং) স্বপন সাহা রায় বলেন, "সব পক্ষকে নিয়ে বর্তমানে বৈঠক চলছে । খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে । আশা করা যায় কাজকর্ম পুনরায় শুরু করা যাবে ।"