ETV Bharat / state

হলদিয়ায় চুরির অভিযোগে আটক তিনজনের মুক্তির দাবি তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের

গতকাল দুপুরে বন্দরের কোল ইয়ার্ডে থাকা ইলেক্ট্রো স্টিল কাস্টিং (ECL) সংস্থার কয়লা চুরির ঘটনায় আটক করা হয়েছে তিনজনকে । তাঁদের মুক্তির দাবিতে গতকাল দুপুর তিনটে থেকে বন্দরের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দেয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন । বন্ধ সমস্ত বার্থের পণ্য ওঠানামার কাজ ।

http://10.10.50.85:6060//finalout4/west-bengal-nle/thumbnail/16-May-2019/3295291_472_3295291_1557983267961.png
author img

By

Published : May 16, 2019, 10:41 AM IST

Updated : May 16, 2019, 11:03 AM IST

হলদিয়া, 16 মে : হলদিয়া বন্দরে একটি সংস্থার সামগ্রী অন্য একটি সংস্থা চুরি করেছে বলে অভিযোগ ওঠে । সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক হন তিনটি সংস্থার তিনজন কর্মী । তাঁদের মুক্তির দাবিতে গতকাল দুপুর তিনটে থেকে বন্দরের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দেয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন । বন্ধ সমস্ত বার্থের পণ্য ওঠানামার কাজ । বন্দরের গেটে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক পণ্যবাহী জাহাজ । যার জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হতে চলেছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ ।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে বন্দরের কোল ইয়ার্ডে থাকা ইলেক্ট্রো স্টিল কাস্টিং (ECL) সংস্থার কয়লা সারেঙ্গি উদ্যোগ নামে অপর একটি সংস্থা দশটি ট্র্যাকে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । এদিকে, রিপ্লে অ্যান্ড কম্পানি নামক অন্য একটি সংস্থা ECL-এর কয়লা গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ় নামক সংস্থার ট্র্যাকে বোঝাই করেছিল । ঘটনায় ECL-এর নিযুক্ত সুপারভাইজ়ার জানতে পেরেই CISF-এর কাছে তাদের মাল চুরির অভিযোগ জানায় ।

অভিযোগ পেয়ে CISF অভিযুক্ত তিন সংস্থার অপারেটর, ড্রাইভার সহ তিনজনকে ঘটনাস্থান থেকে আটক করে । পরে হলদিয়া থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় । CISF-এর অভিযোগের ভিত্তিতে হলদিয়া থানার পুলিশ ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে । ঘটনা জানাজানি হতেই বন্দরের মধ্যে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয় । ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেয় । শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত আটক রয়েছে ওই তিন সংস্থার তিন কর্মী ।

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই চুরির ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে । তাদের দাবি নিছক ভুল করেই ঘটনাটি ঘটেছে । কোনটি কার প্লেট সে বিষয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে । তাদের আরও দাবি, CISF-কে ঘটনাটি জানানোর পরও তারা কোনও কথাই শুনতে চায়নি । ওই তিন কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় ।

ঘটনায় CISF দাবি করেছে, তারা জাতীয় স্বার্থে এই কাজ করেছে । বন্দর কর্তৃপক্ষকে ঘটনা জানানোর কোনও নিয়ম নেই । অপরদিকে হলদিয়া বন্দরের জেনেরাল ম্যানেজার (শিপিং) স্বপন সাহা রায় বলেন, "সব পক্ষকে নিয়ে বর্তমানে বৈঠক চলছে । খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে । আশা করা যায় কাজকর্ম পুনরায় শুরু করা যাবে ।"

হলদিয়া, 16 মে : হলদিয়া বন্দরে একটি সংস্থার সামগ্রী অন্য একটি সংস্থা চুরি করেছে বলে অভিযোগ ওঠে । সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক হন তিনটি সংস্থার তিনজন কর্মী । তাঁদের মুক্তির দাবিতে গতকাল দুপুর তিনটে থেকে বন্দরের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দেয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন । বন্ধ সমস্ত বার্থের পণ্য ওঠানামার কাজ । বন্দরের গেটে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক পণ্যবাহী জাহাজ । যার জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হতে চলেছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ ।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে বন্দরের কোল ইয়ার্ডে থাকা ইলেক্ট্রো স্টিল কাস্টিং (ECL) সংস্থার কয়লা সারেঙ্গি উদ্যোগ নামে অপর একটি সংস্থা দশটি ট্র্যাকে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । এদিকে, রিপ্লে অ্যান্ড কম্পানি নামক অন্য একটি সংস্থা ECL-এর কয়লা গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ় নামক সংস্থার ট্র্যাকে বোঝাই করেছিল । ঘটনায় ECL-এর নিযুক্ত সুপারভাইজ়ার জানতে পেরেই CISF-এর কাছে তাদের মাল চুরির অভিযোগ জানায় ।

অভিযোগ পেয়ে CISF অভিযুক্ত তিন সংস্থার অপারেটর, ড্রাইভার সহ তিনজনকে ঘটনাস্থান থেকে আটক করে । পরে হলদিয়া থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় । CISF-এর অভিযোগের ভিত্তিতে হলদিয়া থানার পুলিশ ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে । ঘটনা জানাজানি হতেই বন্দরের মধ্যে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয় । ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেয় । শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত আটক রয়েছে ওই তিন সংস্থার তিন কর্মী ।

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই চুরির ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে । তাদের দাবি নিছক ভুল করেই ঘটনাটি ঘটেছে । কোনটি কার প্লেট সে বিষয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে । তাদের আরও দাবি, CISF-কে ঘটনাটি জানানোর পরও তারা কোনও কথাই শুনতে চায়নি । ওই তিন কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় ।

ঘটনায় CISF দাবি করেছে, তারা জাতীয় স্বার্থে এই কাজ করেছে । বন্দর কর্তৃপক্ষকে ঘটনা জানানোর কোনও নিয়ম নেই । অপরদিকে হলদিয়া বন্দরের জেনেরাল ম্যানেজার (শিপিং) স্বপন সাহা রায় বলেন, "সব পক্ষকে নিয়ে বর্তমানে বৈঠক চলছে । খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে । আশা করা যায় কাজকর্ম পুনরায় শুরু করা যাবে ।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
Last Updated : May 16, 2019, 11:03 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.