ETV Bharat / state

ধার মেটাতে দোকানদারের চাপ ,শায়েস্তা করতে বিস্ফোরক তৈরি পাঁশকুড়ার মার্বেল মিস্ত্রির

গতকাল ইমারত সামগ্রীর একটি গোডাউনে মজুত দুটি ইলেকট্রনিক সার্কিটের জেরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাঁশকুড়ায় । সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আজ গ্রেপ্তার করল পাঁশকুড়া থানার পুলিশ ৷

Panshkura
Panshkura
author img

By

Published : Sep 18, 2020, 5:38 PM IST

পাঁশকুড়া , 18 সেপ্টেম্বর : দোকানে ধার বেড়ে গিয়েছিল । আর তা শোধ করার জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল দোকানদার । তাই তাঁকে শায়েস্তা করতেই অনলাইনে ভিডিয়ো দেখে জোড়া ID বিস্ফোরকের মতো বিস্ফোরক বানিয়ে ছিল অভিযুক্ত । দোকানে জিনিস কিনতে এসে সেগুলি সে অভিনব কৌশলে রেখে গিয়েছিল গুদাম ঘরে । তারপর দোকান মালিককে ফোনে জানিয়েছিল , গুদামে টাইমবোমা রাখা রয়েছে । পাঁশকুড়ার সেরহাটি বাজারের বোমাতঙ্কের তদন্তে নেমে ঘটনার কিনারা করল পুলিশ । ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পঁচিশ বছরের যুবক আসানুর আলি-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।

উল্লেখ্য , গতকাল ইমারত সামগ্রীর একটি গোডাউনে মজুত দুটি ইলেকট্রনিক সার্কিটের জেরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাঁশকুড়ায়। সেরহাটি বাজারে ওই ইমারত সামগ্রীর দোকানের মালিকের নাম কার্তিক গাঁতাইত ৷ গতকাল বিশ্বকর্মা পুজো থাকায় সকাল থেকে দোকানে তেমন ভিড় ছিল না ৷ তবে আজ ওই সময় দোকানে ছিলেন কার্তিকবাবুর ছেলে রজত গাঁতাইত ৷ তখনই পাশের গ্রামের এক যুবক দোকানে এসে অনেক টাকার দ্রব্য সামগ্রীর অর্ডার দেয় ৷ অর্ডার অনুযায়ী দ্রব্য দোকানে মজুত না থাকায় পাশেই গোডাউনে সেই দ্রব্য আনতে যায় ওই দোকানের কর্মী ৷ তারপর সেই দ্রব্য নিয়ে চলে যায় ওই যুবক ৷ এই ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা পরে ওই দোকানের মালিক কার্তিক গাঁতাইতের ফোনে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে । এবং তাঁকে জানানো হয় দোকানে বোমা লাগানো হয়েছে ৷ রজতকেও ফোন করে একই কথা জানানো হয় ৷ এরপরই পাঁশকুড়া থানায় বিষয়টি জানান তাঁরা ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে আজ ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব জানান , পাঁশকুড়ার বোমা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । আসানুর আলি নামের ওই যুবকের বাড়ি পাঁশকুড়ার রামগড়ে । হায়দরবাদে মার্বেল মিস্ত্রির কাজ করত সে । লকডাউনে বাড়ি ফিরেছিল । কার্তিক গাঁতাইতের দোকান থেকে সে ধারে ইমারত সামগ্রী কিনেছিল । ধার শোধের চাপ দিচ্ছিলেন দোকানদারের ছেলে রজত । তাই ভয় দেখানোর জন্যই এই কান্ড ঘটিয়েছিল সে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তের থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে ।

আরও পড়ুন , পাঁশকুড়ায় গোডাউনে বোমাতঙ্ক


তবে তদন্তকারীরা এই টুকুতে সন্তুষ্ট না । তাদের ধারণা , জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযুক্তের থেকে আরও নতুন তথ্য আদায় করা সম্ভব । সেইজন্য তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে তমলুক জেলা আদালতে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ । আজই আদালতে তোলা হবে ধৃত আসানুরকে । সে যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বৃহস্পতিবারই প্রায় নিশ্চিত হয়ে পুলিশকে জানিয়েছিলেন , রজতবাবুর বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক কার্তিক গাঁতাইত । তিনি জানিয়েছিলেন , বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দোকান প্রায় খালি ছিল ৷ খদ্দের হিসেবে একমাত্র দোকানে এসেছিল আসানুর । 11-12 হাজার টাকার জিনিসপত্র কিনেছিল । দোকানকর্মীর সঙ্গে দোকানের গুদামেও ঢুকেছিল সে । কার্তিকবাবু আরও জানিয়েছিলেন , দোকান থেকে আগে প্রায় তিরিশ হাজার টাকার জিনিস ধারে নিয়েছিল আসানুর । ধারের টাকা না মেটাতে পারার কারণেই সে এমন করতে পারে বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে দোকান থেকে বেরিয়ে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে দোকানি রজত গাঁতাইতকে ফোন ও মেসেজ পাঠিয়ে বোমা মজুতের কথা জানিয়েছিল আসানুর । সেই সিম ,বিস্ফোরক ,বিস্ফোরক তৈরির কিছু সরঞ্জাম ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ । সেগুলি পরীক্ষা করার জন্য ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে । পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিস্ফোরক কতটা ক্ষমতাশীল ছিল তা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ।

পাঁশকুড়া , 18 সেপ্টেম্বর : দোকানে ধার বেড়ে গিয়েছিল । আর তা শোধ করার জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল দোকানদার । তাই তাঁকে শায়েস্তা করতেই অনলাইনে ভিডিয়ো দেখে জোড়া ID বিস্ফোরকের মতো বিস্ফোরক বানিয়ে ছিল অভিযুক্ত । দোকানে জিনিস কিনতে এসে সেগুলি সে অভিনব কৌশলে রেখে গিয়েছিল গুদাম ঘরে । তারপর দোকান মালিককে ফোনে জানিয়েছিল , গুদামে টাইমবোমা রাখা রয়েছে । পাঁশকুড়ার সেরহাটি বাজারের বোমাতঙ্কের তদন্তে নেমে ঘটনার কিনারা করল পুলিশ । ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পঁচিশ বছরের যুবক আসানুর আলি-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।

উল্লেখ্য , গতকাল ইমারত সামগ্রীর একটি গোডাউনে মজুত দুটি ইলেকট্রনিক সার্কিটের জেরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাঁশকুড়ায়। সেরহাটি বাজারে ওই ইমারত সামগ্রীর দোকানের মালিকের নাম কার্তিক গাঁতাইত ৷ গতকাল বিশ্বকর্মা পুজো থাকায় সকাল থেকে দোকানে তেমন ভিড় ছিল না ৷ তবে আজ ওই সময় দোকানে ছিলেন কার্তিকবাবুর ছেলে রজত গাঁতাইত ৷ তখনই পাশের গ্রামের এক যুবক দোকানে এসে অনেক টাকার দ্রব্য সামগ্রীর অর্ডার দেয় ৷ অর্ডার অনুযায়ী দ্রব্য দোকানে মজুত না থাকায় পাশেই গোডাউনে সেই দ্রব্য আনতে যায় ওই দোকানের কর্মী ৷ তারপর সেই দ্রব্য নিয়ে চলে যায় ওই যুবক ৷ এই ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা পরে ওই দোকানের মালিক কার্তিক গাঁতাইতের ফোনে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে । এবং তাঁকে জানানো হয় দোকানে বোমা লাগানো হয়েছে ৷ রজতকেও ফোন করে একই কথা জানানো হয় ৷ এরপরই পাঁশকুড়া থানায় বিষয়টি জানান তাঁরা ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে আজ ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব জানান , পাঁশকুড়ার বোমা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । আসানুর আলি নামের ওই যুবকের বাড়ি পাঁশকুড়ার রামগড়ে । হায়দরবাদে মার্বেল মিস্ত্রির কাজ করত সে । লকডাউনে বাড়ি ফিরেছিল । কার্তিক গাঁতাইতের দোকান থেকে সে ধারে ইমারত সামগ্রী কিনেছিল । ধার শোধের চাপ দিচ্ছিলেন দোকানদারের ছেলে রজত । তাই ভয় দেখানোর জন্যই এই কান্ড ঘটিয়েছিল সে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তের থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে ।

আরও পড়ুন , পাঁশকুড়ায় গোডাউনে বোমাতঙ্ক


তবে তদন্তকারীরা এই টুকুতে সন্তুষ্ট না । তাদের ধারণা , জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযুক্তের থেকে আরও নতুন তথ্য আদায় করা সম্ভব । সেইজন্য তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে তমলুক জেলা আদালতে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ । আজই আদালতে তোলা হবে ধৃত আসানুরকে । সে যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বৃহস্পতিবারই প্রায় নিশ্চিত হয়ে পুলিশকে জানিয়েছিলেন , রজতবাবুর বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক কার্তিক গাঁতাইত । তিনি জানিয়েছিলেন , বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দোকান প্রায় খালি ছিল ৷ খদ্দের হিসেবে একমাত্র দোকানে এসেছিল আসানুর । 11-12 হাজার টাকার জিনিসপত্র কিনেছিল । দোকানকর্মীর সঙ্গে দোকানের গুদামেও ঢুকেছিল সে । কার্তিকবাবু আরও জানিয়েছিলেন , দোকান থেকে আগে প্রায় তিরিশ হাজার টাকার জিনিস ধারে নিয়েছিল আসানুর । ধারের টাকা না মেটাতে পারার কারণেই সে এমন করতে পারে বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে দোকান থেকে বেরিয়ে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে দোকানি রজত গাঁতাইতকে ফোন ও মেসেজ পাঠিয়ে বোমা মজুতের কথা জানিয়েছিল আসানুর । সেই সিম ,বিস্ফোরক ,বিস্ফোরক তৈরির কিছু সরঞ্জাম ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ । সেগুলি পরীক্ষা করার জন্য ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে । পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিস্ফোরক কতটা ক্ষমতাশীল ছিল তা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.