ETV Bharat / state

কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে তৃণমূল নেতার গাড়ি চেকিং, আধিকারিককে মারধর

author img

By

Published : Feb 6, 2020, 10:39 PM IST

Updated : Feb 7, 2020, 1:13 AM IST

কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়ির তল্লাশি নেওয়ার সময় তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তাঁর সঙ্গীদের বচসা হয় । তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিক থামাতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । এ ঘটনায় দলের দুই নেতাকে সাসপেন্ড ও শোকজ় করল তৃণমূল কংগ্রেস ।

image
আক্রান্ত আধিকারিক

কোলাঘাট , 6 ফেব্রুয়ারি : কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ । এ ঘটনায় মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা ও শান্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সেলিমেকে সাসপেন্ড ও শোকজ় করল তৃণমূল কংগ্রেস ।

এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, "কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্রোজেক্ট হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রোজেক্ট । রাজ্যে আজ বিদ্যুৎ উৎবৃত্ত কোলাঘাটের কারণে । সেখানে এ ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না । দিবাকর জানা ও শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে । ভিডিয়ো আমরা পেয়েছি । থার্মাল পাওয়ারের কর্মীদের এমনভাবে আহত করেছে যে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে হচ্ছে । আমরা সমস্তরকম সহযোগিতা করছি । অভিযোগটি পাওয়ার পরে দলের রাজ্য সভাপতির নির্দেশে দু'জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । সঙ্গে শোকজ়ও করা হয়েছে । সাতদিনের মধ্যে উওর দিতে বলা হয়েছে তাদের ।"

শিশির অধিকারীর বক্তব্য

প্রসঙ্গত ,তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানার সঙ্গে অস্থায়ী কর্মীদের একটি বৈঠক ছিল । সেই কারণে আজ দুপুর নাগাদ তিনি প্লান্টের ভিতরে ঢোকেন । দলীয় কর্মীরাও তাঁর সঙ্গে ছিল । অভিযোগ, সেই সময় প্লান্টের নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব অনুযায়ী নেতাদের গাড়িগুলি পরীক্ষা করতে যান । আর তারই প্রতিবাদ জানান তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা ও তাঁর অনুগামীরা । শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে বচসা । অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের কর্তব্যে অনড় থাকায় তৃণমূল নেতার অনুগামীরা নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করতে শুরু করে । প্লান্টের অফিস চত্বরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে দু'পক্ষকেই থামানোর জন্য ছুটে আসেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ ঘোষ । তখনই দিবাকর জানা ও তাঁর অনুগামীরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওই আধিকারিককে মারধর করেন বলে অভিযোগ । এরপরই অভিযুক্তরা ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যান । পরে সিদ্ধার্থবাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয় । অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্তমানে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । অপরদিকে এই ঘটনায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মী তথা তৃণমূলের শেখ সেলিম নামের এক সদস্য আহত হয়েছেন । তিনি বর্তমানে তমলুকের পাইকপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ।

যদিও তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা অভিযোগ অস্বীকার করেন । বলেন, "তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের নিয়ে আগামী 9 তারিখ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি মিছিল সংঘটিত করার কথা রয়েছে । আমরা তারই একটি প্রস্তুতি সভা করার জন্য প্লান্টের ভিতরে গেছিলাম । ঢোকার সময় একবার গাড়ি পরীক্ষা করা হয় । বেরোনোর সময় নিরাপত্তারক্ষীরা পুনরায় গাড়ি পরীক্ষা করতে এলে দলীয় কর্মীরা আপত্তি জানায় । তখনই নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের দলীয় কর্মীদের রুল দিয়ে মারধর করে । কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে এই ঘটনা ঘটে । আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে যাওয়া আসা করছিলাম । আগে এইভাবে আমাদের গাড়ি পরীক্ষা করা হয়নি ।"

BJP-র তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক এ বিষয়ে বলেন , "দীর্ঘদিন ধরেই কাঁথির( অধিকারী পরিবার) নেতারা তমলুকের এই নেতাকে মাথায় তুলে রেখেছিলেন । শুনেছি কিছুদিন ধরেই কাঁথিতে নৈবদ্য (টাকা) কম যাওয়ার কারণে তাঁকে মাথা থেকে নামিয়েছেন । নতুন G.M কড়া হওয়ায় কারণে প্রজেক্ট থেকে তেমনভাবে তোলাবাজি করতে না পারার কারণেই আধিকারিককে মারধর করেছে দিবাকর জানা । আমরা চাই জেলার নতুন পুলিশ সুপার কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ।"

কোলাঘাট , 6 ফেব্রুয়ারি : কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ । এ ঘটনায় মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা ও শান্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সেলিমেকে সাসপেন্ড ও শোকজ় করল তৃণমূল কংগ্রেস ।

এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, "কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্রোজেক্ট হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রোজেক্ট । রাজ্যে আজ বিদ্যুৎ উৎবৃত্ত কোলাঘাটের কারণে । সেখানে এ ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না । দিবাকর জানা ও শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে । ভিডিয়ো আমরা পেয়েছি । থার্মাল পাওয়ারের কর্মীদের এমনভাবে আহত করেছে যে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে হচ্ছে । আমরা সমস্তরকম সহযোগিতা করছি । অভিযোগটি পাওয়ার পরে দলের রাজ্য সভাপতির নির্দেশে দু'জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । সঙ্গে শোকজ়ও করা হয়েছে । সাতদিনের মধ্যে উওর দিতে বলা হয়েছে তাদের ।"

শিশির অধিকারীর বক্তব্য

প্রসঙ্গত ,তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানার সঙ্গে অস্থায়ী কর্মীদের একটি বৈঠক ছিল । সেই কারণে আজ দুপুর নাগাদ তিনি প্লান্টের ভিতরে ঢোকেন । দলীয় কর্মীরাও তাঁর সঙ্গে ছিল । অভিযোগ, সেই সময় প্লান্টের নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব অনুযায়ী নেতাদের গাড়িগুলি পরীক্ষা করতে যান । আর তারই প্রতিবাদ জানান তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা ও তাঁর অনুগামীরা । শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে বচসা । অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের কর্তব্যে অনড় থাকায় তৃণমূল নেতার অনুগামীরা নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করতে শুরু করে । প্লান্টের অফিস চত্বরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে দু'পক্ষকেই থামানোর জন্য ছুটে আসেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ ঘোষ । তখনই দিবাকর জানা ও তাঁর অনুগামীরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওই আধিকারিককে মারধর করেন বলে অভিযোগ । এরপরই অভিযুক্তরা ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যান । পরে সিদ্ধার্থবাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয় । অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্তমানে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । অপরদিকে এই ঘটনায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মী তথা তৃণমূলের শেখ সেলিম নামের এক সদস্য আহত হয়েছেন । তিনি বর্তমানে তমলুকের পাইকপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ।

যদিও তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা অভিযোগ অস্বীকার করেন । বলেন, "তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের নিয়ে আগামী 9 তারিখ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি মিছিল সংঘটিত করার কথা রয়েছে । আমরা তারই একটি প্রস্তুতি সভা করার জন্য প্লান্টের ভিতরে গেছিলাম । ঢোকার সময় একবার গাড়ি পরীক্ষা করা হয় । বেরোনোর সময় নিরাপত্তারক্ষীরা পুনরায় গাড়ি পরীক্ষা করতে এলে দলীয় কর্মীরা আপত্তি জানায় । তখনই নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের দলীয় কর্মীদের রুল দিয়ে মারধর করে । কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে এই ঘটনা ঘটে । আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে যাওয়া আসা করছিলাম । আগে এইভাবে আমাদের গাড়ি পরীক্ষা করা হয়নি ।"

BJP-র তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক এ বিষয়ে বলেন , "দীর্ঘদিন ধরেই কাঁথির( অধিকারী পরিবার) নেতারা তমলুকের এই নেতাকে মাথায় তুলে রেখেছিলেন । শুনেছি কিছুদিন ধরেই কাঁথিতে নৈবদ্য (টাকা) কম যাওয়ার কারণে তাঁকে মাথা থেকে নামিয়েছেন । নতুন G.M কড়া হওয়ায় কারণে প্রজেক্ট থেকে তেমনভাবে তোলাবাজি করতে না পারার কারণেই আধিকারিককে মারধর করেছে দিবাকর জানা । আমরা চাই জেলার নতুন পুলিশ সুপার কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ।"

Intro:মেচেদা,৬ ফেব্রুয়ারি: কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক আধিকারিক কে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এদিন দুপুর নাগাদ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে। হাতাহাতির ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের দুজন। ঘটনার পর দু পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।Body:স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা ও দলীয় কর্মীরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অস্থায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একটি বৈঠকের জন্য প্লান্টের ভেতরে ঢোকেন। অভিযোগ সেসময় প্লান্টের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের দায়িত্ব অনুযায়ী নেতাদের গাড়ি গুলি চেক করতে যান। আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা ও তার অনুগামীরা। শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে বচসা। অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের কর্তব্যে অনড় থাকায় তৃণমূল নেতার অনুগামীরা নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করা শুরু করে। প্লান্টের অফিস চত্বরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে দুপক্ষকেই থামানোর জন্য ছুটে আসেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ ঘোষ। তখনই নিরাপত্তারক্ষীকে ছেড়ে দিয়ে দিবাকর জানা ও তার অনুগামীরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওই আধিকারিককে ব‍্যপক মারধর করে বলে আভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তৃণমূলের সকলেই ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অন্যান্য কর্মীরা সিদ্ধার্থ বাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে নিজস্ব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্তমানে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অপরদিকে এই ঘটনায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মী তথা তৃণমূলের শেখ নাজমুল নামের এক সদস্য আহত হয়েছে । তিনি বর্তমানে তমলুকের পাইকপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। ঘটনাকে ঘিরে গোটা জেলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
Conclusion:যদিও তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের নিয়ে আগামী 9 তারিখ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি মিছিল সংঘটিত করার কথা রয়েছে। আমরা তারই একটি প্রস্তুতি সভা করার জন্য প্যান্টের ভেতরে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় আমাদের সমস্ত গাড়ি চেক করা ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। বেরোনোর সময় ফের নিরাপত্তারক্ষীরা পুনরায় গাড়ি চেক করতে এলে দলীয় কর্মীরা আপত্তি জানায়। তখনই নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের দলীয় কর্মীদের রুল দিয়ে মারধর করে। তখনই কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে এই অপ্রীতিকর এই ঘটনা ঘটে । আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে যাওয়া আসা করছিল দিনই এভাবে আমাদের গাড়ি চেক করা হয় না। তৃণমূল সরকারের রয়েছে তা সত্ত্বেও সরকারি আধিকারিক রা আমাদের মারধর করছে যা অবাক করার মতো ঘটনা।

অপরদিকে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সবাইকেই নিরাপত্তারক্ষীরা চেক করে ভেতরে ঢুকতে দেন। ওনারা সে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ভেতরে ঢুকে ছিলেন। তাই বেরোনোর সময় নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের দায়িত্ব পালনের তাগিদেই গাড়ি চেক করতে গিয়েছিলেন। তাতেই দিবাকর জানা ও তার দলীয় কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করা শুরু করে। আমাদের আধিকারিক উভয়পক্ষকে থামাতে গেলে তাকে বেদম প্রহার করে। মেরে মুখ ও পিঠ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার মেডিকা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় দিবাকর জানা ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। সরকারি আধিকারিকদের যদি এভাবে নেতাদের হাতে মার খেতে হয় তার চেয়ে লজ্জাজনক বিষয় আর কিছু হতে পারে না।

এ বিষয়ে কোলাঘাট থানার ওসি কাশীনাথ চৌধুরী জানিয়েছেন, উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Last Updated : Feb 7, 2020, 1:13 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.