ETV Bharat / state

"8 দিন খেতে না দিয়ে ঘরবন্দী রেখেছিল মা", থানায় নাবালক

আয়নার কাচ ভেঙে গলার নলি কেটে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে মা ৷ থানায় ছুটে এসে হাঁফাতে হাঁফাতে অভিযোগ করল নাবালক ৷ তার চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ ৷

প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Oct 11, 2019, 12:54 PM IST

মারিশদা, 11 অক্টোবর : রাতের দিকে হঠাৎই "আমাকে বাঁচাও" বলে এক নাবালক ঢুকে পড়ল থানায় ৷ লুটিয়ে পড়ল পুলিশের সামনে ৷ চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারাল সে ৷ হাতে পায়ে আঘাতের চিহ্ন ৷ কেটে গেছে অনেক জায়গায় ৷ রক্ত পড়ছে ৷ নাবালকের এমন অবস্থা দেখে হকচকিয়ে যান পুলিশ অফিসাররা ৷ হইচই পড়ে যায় থানার মধ্যে ৷ তড়িঘড়ি তুলে চোখে মুখে জল দেওয়া হয় তার ৷ জ্ঞান ফিরলে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ ৷ জ্ঞান ফিরলে প্রথমে যা জানায় তা শুনে প্রায় শিউরে উঠেছিলেন পুলিশকর্তারা ৷ পুলিশকে ওই নাবালক জানায়, টানা 8 দিন তাকে খেতে দেয়নি তার মা ৷ মঙ্গলবার তাকে কাচ দিয়ে গলার নলি কেটে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেছে ৷ এরপর কোনওরকমে প্রাণে বাঁচার জন্য থানায় চলে আসে সে ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদার রানিয়া গ্রামের ঘটনা ৷

বছর 12-র ওই নাবালক জানিয়েছে, পুজোয় ভালো জামা-প্যান্ট কিনতে চেয়ে বায়না ধরেছিল সে ৷ তার বাবা রাজমিস্ত্রি ৷ কর্মসূত্রে তিনি কেরালায় থাকেন ৷ মা বিড়ি শ্রমিক ৷ তার দাবি, পুজোর কিছুদিন আগে তার বাবা জামা-কাপড় কেনার জন্য কিছু টাকা পাঠান অ্যাকাউন্টে ৷ এরপর মাকে জামা প্যান্ট কিনে দিতে বলে সে ৷ মা কম দামের জামা কাপড় কিনে দেন ৷ সেগুলি তার পছন্দ হয়নি ৷ ভালো জামা-প্যান্ট কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরে ৷ কিন্তু মা রাজি হয়নি ৷ অভাবের সংসারে আর কিছু কিনে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানায় তার মা ৷ এরপরই মাকে না জানিয়ে মামার সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ অনলাইনে জামা অর্ডারের জন্য বাড়িতে থাকা ATM কার্ড, পিন নম্বর ও CVV নম্বর মামাকে বলে দেয় ৷ ঘটনার কথা জানতে পেরে রেগে গিয়ে তাকে বাড়িতে আটকে রাখে মা ৷ দাবি, মা তাকে খেতেও দেয়নি ৷ ঘরেতে মুড়ি ছিল সেটাই সে খায় ৷ এছাড়াও এর আগে মা তাকে বেধড়ক মারধর করেছিল বলে দাবি করেছে সে ৷ অবশেষে দশমীর দিন খিদে সহ্য করতে না পেরে কোনওরকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পিসির বাড়ি ভাত খেতে যায় ৷ এরপরে বাড়ি ফিরলে আরও রেগে যায় তার মা ৷ আয়নার কাচ ভেঙে তার গলার নলি কেটে মেরে ফেলার চেষ্টা করে ৷ চিৎকার করতে থাকে সে ৷ তার চিৎকার শুনে সেখানে আসেন স্থানীয়রা ৷ কোনওরকমে মায়ের হাত থেকে পালিয়ে সোজা ছুটতে ছুটতে থানায় চলে আসে ৷

ওই নাবালকের বাবার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছে পুলিশ ৷ আপাতত তাকে একটি হোমে পাঠানো হয়েছে ৷ তবে সে আর মায়ের কাছে ফিরে যেতে রাজি নয় ৷ তার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ৷ বয়ানানুযায়ী পুলিশ একটি কেস ডায়েরিও করেছে ৷ ওই নাবালকের মা মানসিক ভারসাম্যহীন কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

মারিশদা, 11 অক্টোবর : রাতের দিকে হঠাৎই "আমাকে বাঁচাও" বলে এক নাবালক ঢুকে পড়ল থানায় ৷ লুটিয়ে পড়ল পুলিশের সামনে ৷ চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারাল সে ৷ হাতে পায়ে আঘাতের চিহ্ন ৷ কেটে গেছে অনেক জায়গায় ৷ রক্ত পড়ছে ৷ নাবালকের এমন অবস্থা দেখে হকচকিয়ে যান পুলিশ অফিসাররা ৷ হইচই পড়ে যায় থানার মধ্যে ৷ তড়িঘড়ি তুলে চোখে মুখে জল দেওয়া হয় তার ৷ জ্ঞান ফিরলে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ ৷ জ্ঞান ফিরলে প্রথমে যা জানায় তা শুনে প্রায় শিউরে উঠেছিলেন পুলিশকর্তারা ৷ পুলিশকে ওই নাবালক জানায়, টানা 8 দিন তাকে খেতে দেয়নি তার মা ৷ মঙ্গলবার তাকে কাচ দিয়ে গলার নলি কেটে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেছে ৷ এরপর কোনওরকমে প্রাণে বাঁচার জন্য থানায় চলে আসে সে ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদার রানিয়া গ্রামের ঘটনা ৷

বছর 12-র ওই নাবালক জানিয়েছে, পুজোয় ভালো জামা-প্যান্ট কিনতে চেয়ে বায়না ধরেছিল সে ৷ তার বাবা রাজমিস্ত্রি ৷ কর্মসূত্রে তিনি কেরালায় থাকেন ৷ মা বিড়ি শ্রমিক ৷ তার দাবি, পুজোর কিছুদিন আগে তার বাবা জামা-কাপড় কেনার জন্য কিছু টাকা পাঠান অ্যাকাউন্টে ৷ এরপর মাকে জামা প্যান্ট কিনে দিতে বলে সে ৷ মা কম দামের জামা কাপড় কিনে দেন ৷ সেগুলি তার পছন্দ হয়নি ৷ ভালো জামা-প্যান্ট কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরে ৷ কিন্তু মা রাজি হয়নি ৷ অভাবের সংসারে আর কিছু কিনে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানায় তার মা ৷ এরপরই মাকে না জানিয়ে মামার সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ অনলাইনে জামা অর্ডারের জন্য বাড়িতে থাকা ATM কার্ড, পিন নম্বর ও CVV নম্বর মামাকে বলে দেয় ৷ ঘটনার কথা জানতে পেরে রেগে গিয়ে তাকে বাড়িতে আটকে রাখে মা ৷ দাবি, মা তাকে খেতেও দেয়নি ৷ ঘরেতে মুড়ি ছিল সেটাই সে খায় ৷ এছাড়াও এর আগে মা তাকে বেধড়ক মারধর করেছিল বলে দাবি করেছে সে ৷ অবশেষে দশমীর দিন খিদে সহ্য করতে না পেরে কোনওরকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পিসির বাড়ি ভাত খেতে যায় ৷ এরপরে বাড়ি ফিরলে আরও রেগে যায় তার মা ৷ আয়নার কাচ ভেঙে তার গলার নলি কেটে মেরে ফেলার চেষ্টা করে ৷ চিৎকার করতে থাকে সে ৷ তার চিৎকার শুনে সেখানে আসেন স্থানীয়রা ৷ কোনওরকমে মায়ের হাত থেকে পালিয়ে সোজা ছুটতে ছুটতে থানায় চলে আসে ৷

ওই নাবালকের বাবার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছে পুলিশ ৷ আপাতত তাকে একটি হোমে পাঠানো হয়েছে ৷ তবে সে আর মায়ের কাছে ফিরে যেতে রাজি নয় ৷ তার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ৷ বয়ানানুযায়ী পুলিশ একটি কেস ডায়েরিও করেছে ৷ ওই নাবালকের মা মানসিক ভারসাম্যহীন কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

Intro:টানা আট দিন খেতে না দিয়ে ঘর বন্দী করে রেখে খুনের চেষ্টা জম্ন দাত্রী মায়ের ।

টানা আট দিন নিজের 12 বছরের ছেলেকে খেতে না দিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখার পর অবশেষে ধারালো কাঁচ দিয়ে গলার নলি কেটে খুনের চেষ্টা নিজের জন্ম দায়িনী মায়ের ।গতকাল রাতে মায়ের সাথে ধস্তাধস্তি করে কোনরকমে গভীর রাতে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে থানা এসে পুলিশের সামনে বাঁচাও বলে সষ্ট্রাঙ্গে আছড়ে পড়ে।তারপর ক্ষণিকের জন্য মূর্ছা যায় বাচ্চা ছেলেটি।মায়ের সাথে ধস্তাধস্তি তে হাত পা কেটে রক্ত ঝরছে তখন ও ।বাচ্চাটির এমন অবস্থা দেখে হইচই পড়ে যায় থানার ওসি থেকে সব পুলিশের মধ্যে ।তড়িঘড়ি তাকে তুলে মুখে জল দিয়ে প্রথমিক চিকিত্সার পর জ্ঞান ফিরলে কাঁদতে কাঁদতে সে তার মায়ের সব কুকীর্তির কথা জানায় পুলিশ কাকুদের কাছে । যা শুনে প্রথমত শিউরে উঠেছিলেন থানার পুলিশ মহল।আসলে বাচ্চাটি বুঝেছিল প্রাণে বাঁচার একটাই উপায় পুলিশের কাছে কোনো ক্রমে পৌঁছাতেই হবে। সম্প্রতি পুলিশ ও লিগেল এক্ট ফোরারাম আইনি সচেতনতা শিবির করেছিল এমন পড়ুয়া দের নিয়ে।তারই সুফল এটা ।তাই সে পৌছেছে বলে জানায়।

ঘটনার সূত্রে যেটা জানা গেল,
পূজোয় ভালো জামা প্যান্ট কিনতে চেয়ে মা এর কাছে বায়না ধরেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার রানিয়া গ্রামের সুশোভন সামন্ত।সপ্তম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র সুশোভন ।বাবা গদাধর সামন্ত কর্মসূত্রে রাজমিস্ত্রির কাজে দীর্ঘ দিন ধরে কেরলে থাকেন। মা বিড়ি শ্রমিক ।পূজোর কটা দিন আগে বাবা কিছু টাকা একাউন্টে পাঠান জামা কাপড় কেনা সহ পূজোর খরচ খরচার জন্য ।ফোনে সে কথা বাবা এক মাত্র ছেলেকে জানিয়েছিল মন খারাপ করতে না ! কাজের চাপে বাবা ছুটি পাচ্ছে না তাই পুজো শেষ হলে ফিরতে পারবেনা বাড়ী ।
এরপর মা কে জামা প্যান্ট কিনে দিতে বললে কম দামের জামা প্যান্ট কিনে দেয় মা।তাতে ছেলে অখুশি হয়।ভালো একটা জামা প্যান্ট এর সেট কিনে দেওয়ার বায়না ধরে ।মা পাপিয়া তা রাজি হয়নি। কারণ বিড়ি বাঁধার কাজ সহ সংসারে কিছু দেনাও ছিল।সেসব শোধ দিতে হবে ,তাই ভালো কিছু কিনে দিতে পারবেনা।কিন্তু বাচ্চাটি মা কে আড়াল করে মামার সাথে যোগাযোগ করে অনলাইনে জামা কেনার জন্য এটি এমের কার্ড ও সিসিভি নং বলে দেয় । এই পুরো ঘটনাটি পরে জানতে পেরে মা পাপিয়া ক্রুদ্ধ হয়ে কাউকে কিছু না বলে ছেলেকে এমন শাস্তি দেন। পুরো পুজো কেটে যায়, বাড়ীর কোনে থাকা খানিকটা চাল ও মুড়ি মায়ের অজান্তে ছিল তা খেয়ে বেঁচে ছিল ছেলে । তাতেও আরো রেগে মারধর করেছিল বলে অভিযোগ ছেলের ।অবশেষে বিজয়া দশমীর দিন খিদে শয্য করতে না পেরে কোন রকমে বাড়ীর বাইরে বেরিয়ে কিছুদূরে পিসির বাড়ীতে দুমুঠো ভাত খেয়ে ছিল সুশোভন।তারপর বাড়ী ফিরলে উগ্রচণ্ডা রূপ ধরণ করেন মা। আয়নার কাঁচ ভেঙে গলার নলি কেটে খুনের করতে যায় মা পাপিয়া।বাচ্চাটি মায়ের হাতটি ধরে ফেলে চেঁচাতে থাকে।প্রতিবেশীরা ছুটে আসে,কোনরকমে ছিটকে দৌড় দেয় থানায় ।
পুলিশ ফোনে বাবা গদাধরকে তাড়াতাড়ি ফিরতে বলেছে,পাশাপাশি ছেলেকে চিকিত্সা সহ ভাত খাইয়ে হোমে পাঠিয়েছে।বাচ্চাটি আর তার মায়ের কাছে ফিরতে চাইছেনা । বাচ্চার কাজ থেকে বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ । বাচ্চার বয়ান অনুযায়ী পুলিশ কেস ডাইরি করেছে ।প্রতিবেশীরাও থানায় এসে সবকিছু জানায়।এমন ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । মারিশদা থানার ওসি অমিত দেব বলেন পুলিশ তদন্ত শুরুকরেছে, খতিয়ে দেখছে এই মা পাগল নাকি স্বামী দীর্ঘ দিন বাড়ীতে না থাকার কারণে অন্য কোন গুড় রহস্য রয়েছে !

বাইট, 1a আক্রান্ত ছেলে সুশোভন সামান্ত ।
বাইট 1b কনিষ্ক পন্ডা, এলাকার জনপ্রতিনিধি ।Body:টানা আট দিন খেতে না দিয়ে ঘর বন্দী করে রেখে খুনের চেষ্টা জম্ন দাত্রী মায়ের ।

টানা আট দিন নিজের 12 বছরের ছেলেকে খেতে না দিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখার পর অবশেষে ধারালো কাঁচ দিয়ে গলার নলি কেটে খুনের চেষ্টা নিজের জন্ম দায়িনী মায়ের ।গতকাল রাতে মায়ের সাথে ধস্তাধস্তি করে কোনরকমে গভীর রাতে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে থানা এসে পুলিশের সামনে বাঁচাও বলে সষ্ট্রাঙ্গে আছড়ে পড়ে।তারপর ক্ষণিকের জন্য মূর্ছা যায় বাচ্চা ছেলেটি।মায়ের সাথে ধস্তাধস্তি তে হাত পা কেটে রক্ত ঝরছে তখন ও ।বাচ্চাটির এমন অবস্থা দেখে হইচই পড়ে যায় থানার ওসি থেকে সব পুলিশের মধ্যে ।তড়িঘড়ি তাকে তুলে মুখে জল দিয়ে প্রথমিক চিকিত্সার পর জ্ঞান ফিরলে কাঁদতে কাঁদতে সে তার মায়ের সব কুকীর্তির কথা জানায় পুলিশ কাকুদের কাছে । যা শুনে প্রথমত শিউরে উঠেছিলেন থানার পুলিশ মহল।আসলে বাচ্চাটি বুঝেছিল প্রাণে বাঁচার একটাই উপায় পুলিশের কাছে কোনো ক্রমে পৌঁছাতেই হবে। সম্প্রতি পুলিশ ও লিগেল এক্ট ফোরারাম আইনি সচেতনতা শিবির করেছিল এমন পড়ুয়া দের নিয়ে।তারই সুফল এটা ।তাই সে পৌছেছে বলে জানায়।

ঘটনার সূত্রে যেটা জানা গেল,
পূজোয় ভালো জামা প্যান্ট কিনতে চেয়ে মা এর কাছে বায়না ধরেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার রানিয়া গ্রামের সুশোভন সামন্ত।সপ্তম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র সুশোভন ।বাবা গদাধর সামন্ত কর্মসূত্রে রাজমিস্ত্রির কাজে দীর্ঘ দিন ধরে কেরলে থাকেন। মা বিড়ি শ্রমিক ।পূজোর কটা দিন আগে বাবা কিছু টাকা একাউন্টে পাঠান জামা কাপড় কেনা সহ পূজোর খরচ খরচার জন্য ।ফোনে সে কথা বাবা এক মাত্র ছেলেকে জানিয়েছিল মন খারাপ করতে না ! কাজের চাপে বাবা ছুটি পাচ্ছে না তাই পুজো শেষ হলে ফিরতে পারবেনা বাড়ী ।
এরপর মা কে জামা প্যান্ট কিনে দিতে বললে কম দামের জামা প্যান্ট কিনে দেয় মা।তাতে ছেলে অখুশি হয়।ভালো একটা জামা প্যান্ট এর সেট কিনে দেওয়ার বায়না ধরে ।মা পাপিয়া তা রাজি হয়নি। কারণ বিড়ি বাঁধার কাজ সহ সংসারে কিছু দেনাও ছিল।সেসব শোধ দিতে হবে ,তাই ভালো কিছু কিনে দিতে পারবেনা।কিন্তু বাচ্চাটি মা কে আড়াল করে মামার সাথে যোগাযোগ করে অনলাইনে জামা কেনার জন্য এটি এমের কার্ড ও সিসিভি নং বলে দেয় । এই পুরো ঘটনাটি পরে জানতে পেরে মা পাপিয়া ক্রুদ্ধ হয়ে কাউকে কিছু না বলে ছেলেকে এমন শাস্তি দেন। পুরো পুজো কেটে যায়, বাড়ীর কোনে থাকা খানিকটা চাল ও মুড়ি মায়ের অজান্তে ছিল তা খেয়ে বেঁচে ছিল ছেলে । তাতেও আরো রেগে মারধর করেছিল বলে অভিযোগ ছেলের ।অবশেষে বিজয়া দশমীর দিন খিদে শয্য করতে না পেরে কোন রকমে বাড়ীর বাইরে বেরিয়ে কিছুদূরে পিসির বাড়ীতে দুমুঠো ভাত খেয়ে ছিল সুশোভন।তারপর বাড়ী ফিরলে উগ্রচণ্ডা রূপ ধরণ করেন মা। আয়নার কাঁচ ভেঙে গলার নলি কেটে খুনের করতে যায় মা পাপিয়া।বাচ্চাটি মায়ের হাতটি ধরে ফেলে চেঁচাতে থাকে।প্রতিবেশীরা ছুটে আসে,কোনরকমে ছিটকে দৌড় দেয় থানায় ।
পুলিশ ফোনে বাবা গদাধরকে তাড়াতাড়ি ফিরতে বলেছে,পাশাপাশি ছেলেকে চিকিত্সা সহ ভাত খাইয়ে হোমে পাঠিয়েছে।বাচ্চাটি আর তার মায়ের কাছে ফিরতে চাইছেনা । বাচ্চার কাজ থেকে বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ । বাচ্চার বয়ান অনুযায়ী পুলিশ কেস ডাইরি করেছে ।প্রতিবেশীরাও থানায় এসে সবকিছু জানায়।এমন ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । মারিশদা থানার ওসি অমিত দেব বলেন পুলিশ তদন্ত শুরুকরেছে, খতিয়ে দেখছে এই মা পাগল নাকি স্বামী দীর্ঘ দিন বাড়ীতে না থাকার কারণে অন্য কোন গুড় রহস্য রয়েছে !

বাইট, 1a আক্রান্ত ছেলে সুশোভন সামান্ত ।
বাইট 1b কনিষ্ক পন্ডা, এলাকার জনপ্রতিনিধি ।Conclusion:টানা আট দিন খেতে না দিয়ে ঘর বন্দী করে রেখে খুনের চেষ্টা জম্ন দাত্রী মায়ের ।

টানা আট দিন নিজের 12 বছরের ছেলেকে খেতে না দিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখার পর অবশেষে ধারালো কাঁচ দিয়ে গলার নলি কেটে খুনের চেষ্টা নিজের জন্ম দায়িনী মায়ের ।গতকাল রাতে মায়ের সাথে ধস্তাধস্তি করে কোনরকমে গভীর রাতে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে থানা এসে পুলিশের সামনে বাঁচাও বলে সষ্ট্রাঙ্গে আছড়ে পড়ে।তারপর ক্ষণিকের জন্য মূর্ছা যায় বাচ্চা ছেলেটি।মায়ের সাথে ধস্তাধস্তি তে হাত পা কেটে রক্ত ঝরছে তখন ও ।বাচ্চাটির এমন অবস্থা দেখে হইচই পড়ে যায় থানার ওসি থেকে সব পুলিশের মধ্যে ।তড়িঘড়ি তাকে তুলে মুখে জল দিয়ে প্রথমিক চিকিত্সার পর জ্ঞান ফিরলে কাঁদতে কাঁদতে সে তার মায়ের সব কুকীর্তির কথা জানায় পুলিশ কাকুদের কাছে । যা শুনে প্রথমত শিউরে উঠেছিলেন থানার পুলিশ মহল।আসলে বাচ্চাটি বুঝেছিল প্রাণে বাঁচার একটাই উপায় পুলিশের কাছে কোনো ক্রমে পৌঁছাতেই হবে। সম্প্রতি পুলিশ ও লিগেল এক্ট ফোরারাম আইনি সচেতনতা শিবির করেছিল এমন পড়ুয়া দের নিয়ে।তারই সুফল এটা ।তাই সে পৌছেছে বলে জানায়।

ঘটনার সূত্রে যেটা জানা গেল,
পূজোয় ভালো জামা প্যান্ট কিনতে চেয়ে মা এর কাছে বায়না ধরেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার রানিয়া গ্রামের সুশোভন সামন্ত।সপ্তম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র সুশোভন ।বাবা গদাধর সামন্ত কর্মসূত্রে রাজমিস্ত্রির কাজে দীর্ঘ দিন ধরে কেরলে থাকেন। মা বিড়ি শ্রমিক ।পূজোর কটা দিন আগে বাবা কিছু টাকা একাউন্টে পাঠান জামা কাপড় কেনা সহ পূজোর খরচ খরচার জন্য ।ফোনে সে কথা বাবা এক মাত্র ছেলেকে জানিয়েছিল মন খারাপ করতে না ! কাজের চাপে বাবা ছুটি পাচ্ছে না তাই পুজো শেষ হলে ফিরতে পারবেনা বাড়ী ।
এরপর মা কে জামা প্যান্ট কিনে দিতে বললে কম দামের জামা প্যান্ট কিনে দেয় মা।তাতে ছেলে অখুশি হয়।ভালো একটা জামা প্যান্ট এর সেট কিনে দেওয়ার বায়না ধরে ।মা পাপিয়া তা রাজি হয়নি। কারণ বিড়ি বাঁধার কাজ সহ সংসারে কিছু দেনাও ছিল।সেসব শোধ দিতে হবে ,তাই ভালো কিছু কিনে দিতে পারবেনা।কিন্তু বাচ্চাটি মা কে আড়াল করে মামার সাথে যোগাযোগ করে অনলাইনে জামা কেনার জন্য এটি এমের কার্ড ও সিসিভি নং বলে দেয় । এই পুরো ঘটনাটি পরে জানতে পেরে মা পাপিয়া ক্রুদ্ধ হয়ে কাউকে কিছু না বলে ছেলেকে এমন শাস্তি দেন। পুরো পুজো কেটে যায়, বাড়ীর কোনে থাকা খানিকটা চাল ও মুড়ি মায়ের অজান্তে ছিল তা খেয়ে বেঁচে ছিল ছেলে । তাতেও আরো রেগে মারধর করেছিল বলে অভিযোগ ছেলের ।অবশেষে বিজয়া দশমীর দিন খিদে শয্য করতে না পেরে কোন রকমে বাড়ীর বাইরে বেরিয়ে কিছুদূরে পিসির বাড়ীতে দুমুঠো ভাত খেয়ে ছিল সুশোভন।তারপর বাড়ী ফিরলে উগ্রচণ্ডা রূপ ধরণ করেন মা। আয়নার কাঁচ ভেঙে গলার নলি কেটে খুনের করতে যায় মা পাপিয়া।বাচ্চাটি মায়ের হাতটি ধরে ফেলে চেঁচাতে থাকে।প্রতিবেশীরা ছুটে আসে,কোনরকমে ছিটকে দৌড় দেয় থানায় ।
পুলিশ ফোনে বাবা গদাধরকে তাড়াতাড়ি ফিরতে বলেছে,পাশাপাশি ছেলেকে চিকিত্সা সহ ভাত খাইয়ে হোমে পাঠিয়েছে।বাচ্চাটি আর তার মায়ের কাছে ফিরতে চাইছেনা । বাচ্চার কাজ থেকে বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ । বাচ্চার বয়ান অনুযায়ী পুলিশ কেস ডাইরি করেছে ।প্রতিবেশীরাও থানায় এসে সবকিছু জানায়।এমন ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । মারিশদা থানার ওসি অমিত দেব বলেন পুলিশ তদন্ত শুরুকরেছে, খতিয়ে দেখছে এই মা পাগল নাকি স্বামী দীর্ঘ দিন বাড়ীতে না থাকার কারণে অন্য কোন গুড় রহস্য রয়েছে !

বাইট, 1a আক্রান্ত ছেলে সুশোভন সামান্ত ।
বাইট 1b কনিষ্ক পন্ডা, এলাকার জনপ্রতিনিধি ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.