ETV Bharat / state

নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে ধুন্ধুমার, ৫টি বাড়িতে আগুন

নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল তমলুকের শ্রীরামপুর। গতকাল সকালে শ্রীরামপুর এলাকার একটি পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। এরপরই উত্তেজিত জনতা এলাকার প্রায় ৫টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দমকল ও তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকায় মোতায়েন পুলিশ
author img

By

Published : Mar 2, 2019, 3:04 AM IST

তমলুক, ২ মার্চ : নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল তমলুকের শ্রীরামপুর। গতকাল সকালে শ্রীরামপুর এলাকার একটি পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। এরপরই উত্তেজিত জনতা এলাকার প্রায় ৫টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দমকল ও তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি পেশায় টোটো চালক। তাঁর সঙ্গে গ্রামেরই এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়ই বিবাদ হত। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার পাশ থেকে তাঁর মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। এরপর ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের দাবিতে তমলুক থানায় অভিযোগ জানায় তাঁর পরিবার। দফায় দফায় শ্রীরামপুরে রাজ্য সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়। গতকাল সকালেও দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। এরইমধ্যে গতকাল সকালে ওই মহিলার (যাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল) বাড়ির পাশের একটি পুকুরে নিঁখোজ ব্যক্তির মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।

মৃতদেহটি উদ্ধারের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজিত জনতা তমলুক-শ্রীরামপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় প্রায় ৫টি বাড়িতে। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থানে পৌঁছে প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্রের নেতৃত্বে পাঁচটি থানা থেকে পুলিশ যায়। বিক্ষোভের জেরে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন এক বৈদুতিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকও।

undefined

এই ঘটনায় এক দম্পতি সহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র বলেছেন, "ঘটনার তদন্ত চলছে। নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।"

তমলুক, ২ মার্চ : নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল তমলুকের শ্রীরামপুর। গতকাল সকালে শ্রীরামপুর এলাকার একটি পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। এরপরই উত্তেজিত জনতা এলাকার প্রায় ৫টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দমকল ও তমলুক থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি পেশায় টোটো চালক। তাঁর সঙ্গে গ্রামেরই এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়ই বিবাদ হত। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার পাশ থেকে তাঁর মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। এরপর ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের দাবিতে তমলুক থানায় অভিযোগ জানায় তাঁর পরিবার। দফায় দফায় শ্রীরামপুরে রাজ্য সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়। গতকাল সকালেও দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। এরইমধ্যে গতকাল সকালে ওই মহিলার (যাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল) বাড়ির পাশের একটি পুকুরে নিঁখোজ ব্যক্তির মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।

মৃতদেহটি উদ্ধারের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজিত জনতা তমলুক-শ্রীরামপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় প্রায় ৫টি বাড়িতে। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থানে পৌঁছে প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্রের নেতৃত্বে পাঁচটি থানা থেকে পুলিশ যায়। বিক্ষোভের জেরে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন এক বৈদুতিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকও।

undefined

এই ঘটনায় এক দম্পতি সহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র বলেছেন, "ঘটনার তদন্ত চলছে। নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।"

Intro:কোলাঘাট, ২০ ডিসেম্বর : ছেলের অঙ্গদান করে নজির গড়লো কোলাঘাটের প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক পরিবার। পুত্র হারানোর শোক বিহবল পরিস্থিতিতে এমন মহৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের ছেলেকে সকলের মধ্যে বেঁচে থাকতে দেখতে চান বাবা।


Body:পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার মেষড়া গ্রামের বাসিন্দা সুমিত কর। পেশায় একজন সাধারণ কৃষক। কৃষিকাজের ওপর নির্ভর করেই কোনরকমে দিন গুজরান হয় পরিবারের। সুমিত বাবু তার দুই ছেলে মেয়ে কেই উচ্চ শিক্ষিত করার লক্ষ্যে কলেজে পড়াশোনা করা ছিলেন। এমন অবস্থায় বাগনান কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের একাউন্টান্সি অনার্সের ছাত্র একমাত্র পুত্র সজল সোমবার বিকেলে বাবার বাইক নিয়ে বন্ধু আকাশ চ্যাটার্জী সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর রাত্রি আটটা নাগাদ তমলুক থেকে ফেরার পথে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তারা। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ দু'জনকেই উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিছল থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তারা পাশের রেলিং এ ধাক্কা মারে। দুজনের কারো মাথাতেই হেলমেট ছিল না। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান সজলের মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাই রাতেই পরিবারের লোকেরা সজলকে নিয়ে কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসকরা ভেন্টিলেশনে রেখে প্রাণে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ সজলের ব্রেন ডেথ হয়। এরপরেই চিকিৎসকেরা সজলের অঙ্গ গুলি কে দান করার অনুরোধ করেন পরিবারকে। প্রথমে রাজি না হলেও পরে সেই সিদ্ধান্তে রাজি হন বাবা সুমিত কর। তার অনুমতিতেই আজ সকালে শরীর থেকে হৃৎপিণ্ড, কিডনি ,লিভার ও চোখ প্রতিস্থাপন করা হয় ৬ গ্রহীতার শরীরে।


Conclusion:সজলের বাবা সুমিত বাবু বলেন, সোমবার রাতেই ছেলেকে ভেন্টিলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকেরা মেডিকেল টিম গঠন করে ওর চিকিৎসা করেন। কিন্তু তাতেও সুফল মেলেনি। বুধবার চিকিৎসকরা জানান সজলের ব্রেন ডেথ হয়েছে। তখনই আমাকে ডাক্তারবাবুরা ছেলের অঙ্গ দান করার কথা জানান। অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি প্রথমে রাজি হইনি। আমি না বলেছিলাম। এর পরেই আমার আত্মীয়রা আমাকে বোঝান ।বলেন তুমি এত সামাজিক কাজ করো ভেবে দেখো। তখনই আমি ভাবলাম আমি তো আর এ জীবনে আমার ছেলেকে আর কাছে পাবো না। তাই তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিলে যদি আরও ছয়জনকে বাঁচানো যায় তাহলে সেটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। আমার সজল ওদের মধ্যেই বেঁচে থাক। মন খারাপ লাগলেও খুব ভালো লাগছে। আমার ছেলে নেই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি যাদের শরীরে আমার ছেলের অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হয়েছে তারা যেন সুস্থভাবে বাড়ি যায়। এলাকারই প্রতিবেশী রাজু কর জানান ,আমরা ওর পরিবারের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও এত ভালো একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। পাড়া তরফ থেকে আমরা তার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের সজল ওদের মধ্যে এখনো বেঁচে রয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.