ETV Bharat / state

মহিষাদল রাজবাড়ির পুজোয় এখনও পরদার আড়ালে বাড়ির মহিলারা - Durga puja 2019 news

245 বছরের পুরোনো মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো ৷ বাড়ির মহিলারাই পুজোর যাবতীয় কাজ করেন, কিন্তু এখনও তাঁরা পরদার আড়ালেই থাকেন ৷

rajbari
author img

By

Published : Sep 28, 2019, 8:45 PM IST

Updated : Sep 28, 2019, 9:11 PM IST

মহিষাদল : 1778 সালে মহিষাদল রাজবাড়িতে শুরু হয় দুর্গাপুজো ৷ রানি জানকী দেবী-প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করেন ৷ আজও রাজবাড়ির ঠাকুর দালানে পুজোর কয়েকদিন শাঁখ বাজে, দেবীর পুজো হয় সাড়ম্বরে ৷ ষষ্ঠীতে মায়ের বোধন থেকে শুরু করে দশমীর বরণ , সবই করেন রাজবাড়ির মহিলারা ৷ কিন্তু তাঁরা থাকেন পরদার আড়ালে ৷ 245 বছর ধরে এই নিয়ম পালন করে আসছেন তাঁরা ৷ ঠাকুর দালানের দেওয়ালে নতুন করে রং করা হয়েছে ৷ ঝাড়বাতির আলোয় রাজবাড়ির ঠাকুরদালান নতুন হয়ে উঠলেও পুরানো নিয়ম এখনও কেন মেনে চলা হয় ? রাজবাড়ির সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ জানান, এটিই তাঁদের বাড়ির নিয়ম ৷ পুজোয় মঙ্গল হয় ৷

পারিবারিক রীতি অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং হলুদ ৷ তাঁর পটল চেরা চোখ ৷ বৈষ্ণব মতে মহালয়ার পরদিন থেকে দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয় । মায়ের পুজো শুরু হওয়ার আগে পূজিত হন কুলদেবতা গোপাল । রাজবাড়ির রীতি অনুযায়ী এখনও সপ্তমী, অষ্টমী , নবমীতে বসে গানের আসর । যা দেখতে ভিড় জমান আশপাশের আট-দশটি গ্রামের বাসিন্দারা । অনেক প্রজন্ম আগে, অষ্টমীর সন্ধিপুজো সূচনা এবং শেষের সময় কামান দেগে প্রজাদের পুজোর নির্ঘণ্ট জানান দেওয়া হত । আজ আর তা হয় না, বাজি ফাটিয়ে শুরু হয় সন্ধিপুজো । অষ্টমী পুজোর জন্য কেদারনাথ থেকে আসত 108টি নীল পদ্ম ।

দেখুন ভিডিয়োয়...

প্রতিমা বিসর্জনের আগে দেবীকে দেওয়া হত 'গার্ড অফ অনার' । রূপনারায়ণ নদীতে দুই নৌকায় দেবীর নিরঞ্জনও আজ অতীত । বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বন্দুক হাতে পেয়াদারা নেই আজ । এখন ঐতিহ্যই এই রাজবাড়ির পুজোর জনপ্রিয়তার কারণ ।

মহালয়ার পরদিন কলকাতা থেকে সপরিবারে মহিষাদলের বাড়িতে আসেন রাজপরিবারের সদস্যরা । ওইদিন ঘট স্থাপন করে শুরু হয় পুজোর কাজ । আজ 53 বছর ধরে প্রতিমা গড়ার কাজ করছেন গোপাল চন্দ্র ভুঁইঞা । প্রতিমা দর্শনের জন্য অতিরিক্ত ভিড় শুরু হওয়ায় বর্তমানে রাজবাড়ির তরফে প্যান্ডেল তৈরি করা হয় প্রতিবছর ।

god
তৈরি হচ্ছে দেবী প্রতিমা

মহিষাদল : 1778 সালে মহিষাদল রাজবাড়িতে শুরু হয় দুর্গাপুজো ৷ রানি জানকী দেবী-প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করেন ৷ আজও রাজবাড়ির ঠাকুর দালানে পুজোর কয়েকদিন শাঁখ বাজে, দেবীর পুজো হয় সাড়ম্বরে ৷ ষষ্ঠীতে মায়ের বোধন থেকে শুরু করে দশমীর বরণ , সবই করেন রাজবাড়ির মহিলারা ৷ কিন্তু তাঁরা থাকেন পরদার আড়ালে ৷ 245 বছর ধরে এই নিয়ম পালন করে আসছেন তাঁরা ৷ ঠাকুর দালানের দেওয়ালে নতুন করে রং করা হয়েছে ৷ ঝাড়বাতির আলোয় রাজবাড়ির ঠাকুরদালান নতুন হয়ে উঠলেও পুরানো নিয়ম এখনও কেন মেনে চলা হয় ? রাজবাড়ির সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ জানান, এটিই তাঁদের বাড়ির নিয়ম ৷ পুজোয় মঙ্গল হয় ৷

পারিবারিক রীতি অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং হলুদ ৷ তাঁর পটল চেরা চোখ ৷ বৈষ্ণব মতে মহালয়ার পরদিন থেকে দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয় । মায়ের পুজো শুরু হওয়ার আগে পূজিত হন কুলদেবতা গোপাল । রাজবাড়ির রীতি অনুযায়ী এখনও সপ্তমী, অষ্টমী , নবমীতে বসে গানের আসর । যা দেখতে ভিড় জমান আশপাশের আট-দশটি গ্রামের বাসিন্দারা । অনেক প্রজন্ম আগে, অষ্টমীর সন্ধিপুজো সূচনা এবং শেষের সময় কামান দেগে প্রজাদের পুজোর নির্ঘণ্ট জানান দেওয়া হত । আজ আর তা হয় না, বাজি ফাটিয়ে শুরু হয় সন্ধিপুজো । অষ্টমী পুজোর জন্য কেদারনাথ থেকে আসত 108টি নীল পদ্ম ।

দেখুন ভিডিয়োয়...

প্রতিমা বিসর্জনের আগে দেবীকে দেওয়া হত 'গার্ড অফ অনার' । রূপনারায়ণ নদীতে দুই নৌকায় দেবীর নিরঞ্জনও আজ অতীত । বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বন্দুক হাতে পেয়াদারা নেই আজ । এখন ঐতিহ্যই এই রাজবাড়ির পুজোর জনপ্রিয়তার কারণ ।

মহালয়ার পরদিন কলকাতা থেকে সপরিবারে মহিষাদলের বাড়িতে আসেন রাজপরিবারের সদস্যরা । ওইদিন ঘট স্থাপন করে শুরু হয় পুজোর কাজ । আজ 53 বছর ধরে প্রতিমা গড়ার কাজ করছেন গোপাল চন্দ্র ভুঁইঞা । প্রতিমা দর্শনের জন্য অতিরিক্ত ভিড় শুরু হওয়ায় বর্তমানে রাজবাড়ির তরফে প্যান্ডেল তৈরি করা হয় প্রতিবছর ।

god
তৈরি হচ্ছে দেবী প্রতিমা
Intro:মহিষাদল, ২৮ সেপ্টেম্বর : প্রাচীন রাজবাড়ির পুজো গুলির মধ্যে মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো আজও এলাকাবাসীর কাছে অন্যতম জনপ্রিয় পূজা। ১৭৭৮ সালে রানী জানোকির হাত ধরে দেবীর আগমন ঘটেছিল রাজবাড়ীতে। সেই থেকেই আজও রাজবাড়ীর আটচালায় সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে দুর্গাপুজো। অতীতের ঝাড়বাতির মৃদু আলোয় আজ আর রঙিন হয়ে ওঠে না রাজবাড়ী। আধুনিক আলোর ছোঁয়ায় পুজোর দশ দিন আজও প্রাণ পায় রাজবাড়ী প্রাঙ্গন। আধুনিকতার আঁচ আজ রাজবাড়ির অঙ্গে অঙ্গে লেগেছে। নতুন করে রং করে সাজিয়ে গুছিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রাজবাড়ীর মিউজিয়াম। সবদিক থেকে আধুনিকতা এলেও পুজোর দশ দিন আজও পর্দার আড়ালে থাকে রাজবাড়ীর মহিলাদের পূজো দেখতে হয়। এভাবেই ২৪৫ বছর ধরে পুজোর সমস্ত জোগাড় যন্ত দশমীতে সিঁদুর খেলা সবাই করে আসছেন রাজ বাড়ির মেয়ে বউয়েরা। তাদের কাছে পুজোয় পর্দার আড়ালে থাকাটাই নাকি বাড়ির প্রাচীন রীতি। যে রীতি আজও মেনে আসছেন বর্তমান প্রজন্মের মহিলারা জানিয়েছেন রাজবাড়ির সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ।Body:রাজ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে অষ্টমীর সন্ধিপুজো শুরুর ও শেষের সময় কামান দেগে প্রজাদের নির্ঘণ্ট জানান দেওয়া হতো। যা আজ আর হয় না, বর্তমানে পটকা ফাটিয়েই শুরু হয় সন্ধিপুজো।প্রতিমা বিসর্জনের আগে দেবীকে দেওয়া হত গার্ড অফ অনার।গেঁওখালির কাছে রূপনারায়ণে দুই নৌকায় সেই বিসর্জন ও আজ অতীত।বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বন্দুক হাতে পেয়াদারাও আজ আর নেই। অষ্টমী পূজোর জন্য কেদারনাথ থেকে এসে পৌঁছতে ১০৮ টি নীল পদ্ম। তা দিয়েই পূজিত হতেন মা।
সময়ের স্রোতে সে সবই আজ ধূসর স্মৃতি। শুধুমাত্র প্রাচীন ঐতিহ্যের টানেই রাজবাড়ির পুজো জনপ্রিয় মহিষাদল বাসীর কাছে।Conclusion:পারিবারিক রীতি অনুযায়ী হলুদ বর্ণের পটল চেরা চোখ নিয়ে বৈষ্ণব মতে আজও মহালয়ার পরদিন থেকেই পূজিত হয়ে আসছেন রাজবাড়ীর উমা। তবে মায়ের পুজো শুরু হওয়ার আগে পূজিত হন কুলদেবতা গোপাল জিউ । এখনো রাজবাড়ির রীতি অনুযায়ী সপ্তমী, অষ্টমী ,নবমীতে বসে যাত্রা পালা গানের আসর। যা দেখতে ভিড় জমান আশেপাশের আট-দশটি গ্রামের বাসিন্দারা। মহালয়ার পরের দিন কলকাতা থেকে সপরিবারে মহিষাদলের বাড়িতে আসেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। ওইদিনই ঘট স্থাপন করে শুরু হয় পুজোর কাজ। বংশানুক্রমিক ভাবেই রাজবাড়ির ঠাকুর তৈরি দায়িত্বভার সামলে আসছেন এলাকার ভূঁইয়া পরিবার। ৫৩ বছর ধরে প্রতিমা গড়ার কাজ করছেন গোপাল চন্দ্র ভূঁইয়া। তাঁর কথায় ,মাঝে কয়েক বছর এই পুজো ঝিমিয়ে পড়লেও আজ আবার জাঁকজমক পূর্ণ হয়ে উঠেছে। আগে আট চালাতেই পুজো হত। প্রতিমা দর্শন দর্শনের জন্য অতিরিক্ত ভিড় শুরু হওয়ায় বর্তমানে রাজবাড়ী তরফে প্যান্ডেল তৈরি করা হয় প্রতিবছর। ঐতিহ্য মেনে দশমীর দিন সিঁদুর খেলা হয় এখনও।আর রাজ পরিবারের মহিলা সদস্যরা পর্দার আড়াল থেকেই সেই সিঁদুর খেলায় যোগ দান করেন । সবশেষে রূপনারায়ণের পরিবর্তে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় রাজবাড়ির পেছনের দীঘিতেই।
Last Updated : Sep 28, 2019, 9:11 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.