তমলুক, 13 নভেম্বর : হাসপাতালে রোগীর খাবারে টিকটিকি । পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের ঘটনা ৷ বিষয়টি নজরে আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই খাবার ফেলে নতুন করে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করে । কিন্তু এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।
বুধবার দুপুরে রোগীদের খাবার দেওয়া হয়েছিল । মেনুতে ছিল ভাত, সবজি, ডাল ও মাছ । তমলুকের বাসিন্দা প্রতাপ মাইতি পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন । তিনি ডালের মধ্যে মরা টিকটিকি দেখতে পান ৷ প্রতাপবাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল সুপারের কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানানো হয় ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ডালের নমুনা সংগ্রহ করে । পাশাপাশি নতুন করে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করে ৷
প্রতাপবাবুর শাশুড়ি সবিতা মাইতি বলেন, "সোমবার থেকে পেটের সমস্যা নিয়ে ভরতি আমার জামাই ৷ এখনও তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি ৷ স্যালাইন চলছে । যদি ওই ডাল খেয়ে ফেলতেন তাহলে বিপদ বাড়ত । খুব আতঙ্কে রয়েছি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি আমরা জানিয়েছি ।"
হাসপাতালের সুপার গোপাল দাস জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাবশত ডালের মধ্যে টিকটিকি পড়েছিল । জানতে পারার পর সেই ডালের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয় ৷ যাঁরা ইতিমধ্যেই ওই ডাল খেয়েছেন তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে । হাসপাতালে খাবার পরিবেশনকারী সংস্থার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সতর্কভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
উল্লেখ্য, 2 অক্টোবর রাজ্যের পরিবহন ও জলসম্পদ মন্ত্রী তথা তমলুক জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী হাসপাতালে সারপ্রাইজ় ভিজ়িট করেন । তখন তিনি রোগীদের দেওয়া খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন । খাবারের মান উন্নত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তারপর একমাস কাটতে না কাটতেই রোগীর খাবারে পাওয়া গেল টিকটিকি ৷