ETV Bharat / state

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে রোগীর খাবারে মিলল টিকটিকি

রোগীর খাবারে টিকটিকি ৷ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের ঘটনা ৷ আতঙ্কিত রোগী ও তাদের পরিজনরা ৷ গোটা ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

টিকটিকি
author img

By

Published : Nov 13, 2019, 7:05 PM IST

তমলুক, 13 নভেম্বর : হাসপাতালে রোগীর খাবারে টিকটিকি । পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের ঘটনা ৷ বিষয়টি নজরে আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই খাবার ফেলে নতুন করে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করে । কিন্তু এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

বুধবার দুপুরে রোগীদের খাবার দেওয়া হয়েছিল । মেনুতে ছিল ভাত, সবজি, ডাল ও মাছ । তমলুকের বাসিন্দা প্রতাপ মাইতি পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন । তিনি ডালের মধ্যে মরা টিকটিকি দেখতে পান ৷ প্রতাপবাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল সুপারের কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানানো হয় ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ডালের নমুনা সংগ্রহ করে । পাশাপাশি নতুন করে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করে ৷

প্রতাপবাবুর শাশুড়ি সবিতা মাইতি বলেন, "সোমবার থেকে পেটের সমস্যা নিয়ে ভরতি আমার জামাই ৷ এখনও তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি ৷ স্যালাইন চলছে । যদি ওই ডাল খেয়ে ফেলতেন তাহলে বিপদ বাড়ত । খুব আতঙ্কে রয়েছি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি আমরা জানিয়েছি ।"

হাসপাতালের সুপার গোপাল দাস জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাবশত ডালের মধ্যে টিকটিকি পড়েছিল । জানতে পারার পর সেই ডালের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয় ৷ যাঁরা ইতিমধ্যেই ওই ডাল খেয়েছেন তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে । হাসপাতালে খাবার পরিবেশনকারী সংস্থার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সতর্কভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

উল্লেখ্য, 2 অক্টোবর রাজ্যের পরিবহন ও জলসম্পদ মন্ত্রী তথা তমলুক জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী হাসপাতালে সারপ্রাইজ় ভিজ়িট করেন । তখন তিনি রোগীদের দেওয়া খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন । খাবারের মান উন্নত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তারপর একমাস কাটতে না কাটতেই রোগীর খাবারে পাওয়া গেল টিকটিকি ৷

তমলুক, 13 নভেম্বর : হাসপাতালে রোগীর খাবারে টিকটিকি । পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালের ঘটনা ৷ বিষয়টি নজরে আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই খাবার ফেলে নতুন করে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করে । কিন্তু এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

বুধবার দুপুরে রোগীদের খাবার দেওয়া হয়েছিল । মেনুতে ছিল ভাত, সবজি, ডাল ও মাছ । তমলুকের বাসিন্দা প্রতাপ মাইতি পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন । তিনি ডালের মধ্যে মরা টিকটিকি দেখতে পান ৷ প্রতাপবাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল সুপারের কাছে এনিয়ে অভিযোগ জানানো হয় ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ডালের নমুনা সংগ্রহ করে । পাশাপাশি নতুন করে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করে ৷

প্রতাপবাবুর শাশুড়ি সবিতা মাইতি বলেন, "সোমবার থেকে পেটের সমস্যা নিয়ে ভরতি আমার জামাই ৷ এখনও তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি ৷ স্যালাইন চলছে । যদি ওই ডাল খেয়ে ফেলতেন তাহলে বিপদ বাড়ত । খুব আতঙ্কে রয়েছি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি আমরা জানিয়েছি ।"

হাসপাতালের সুপার গোপাল দাস জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাবশত ডালের মধ্যে টিকটিকি পড়েছিল । জানতে পারার পর সেই ডালের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয় ৷ যাঁরা ইতিমধ্যেই ওই ডাল খেয়েছেন তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে । হাসপাতালে খাবার পরিবেশনকারী সংস্থার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সতর্কভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

উল্লেখ্য, 2 অক্টোবর রাজ্যের পরিবহন ও জলসম্পদ মন্ত্রী তথা তমলুক জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী হাসপাতালে সারপ্রাইজ় ভিজ়িট করেন । তখন তিনি রোগীদের দেওয়া খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন । খাবারের মান উন্নত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তারপর একমাস কাটতে না কাটতেই রোগীর খাবারে পাওয়া গেল টিকটিকি ৷

Intro:তমলুক,১৩ নভেম্বর: জেলা হাসপাতালে রোগীর খাওয়ারে টিকটিকি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে। ঘটনা নজরে আসতেই তড়িঘড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই খাওয়ার কে ফেলে দিয়ে নতুন করে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করে। প্রশ্ন উঠছে রোগীরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ভর্তি হন। সেই হাসপাতালেরই গাফিলতিতে খাবার খেয়ে পুনরায় অসুস্থ হতে হয় তাহলে তাঁরা কোথায় যাবেন?

Body:হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই এদিন দুপুরে সমস্ত রোগীদেরই খাওয়ার দেওয়া হয়েছিল। এদিনের মেনুতে ছিল সাদা ভাত , সবজি,ডাল ও মাছ। সমস্ত রোগীদের মত সংক্রামক রোগের এই একই খাবার দেওয়া হয়। সে সময় সংক্রামক বিভাগে অসুস্থ হয়ে ভর্তি ছিলেন মোট পাঁচজন। তাদেরই মধ্যে তমলুকের স্টেশন রোডের বাসিন্দা প্রতাপ মাইতি খাওয়ার আগে ডালে মরা টিকটিকি দেখতে পান। তিনি গত সোমবার পেটের অসুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। খাবারে টিকটিকি দেখে তিনিও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও ততক্ষণে সেই ডাল দিয়ে ওই বিভাগের খাওয়া সম্পন্ন করেছেন বাকি তিন জন রোগী। রোগীদের দেওয়া খাওয়ারে মরা টিকটিকি সেদ্ধ হয়েছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতাল জুড়ে। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালে সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। ঘটনা নজরে আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডালের নমুনা সংগ্রহ করে পুরো ডাল টিকে ফেলে দিয়ে নতুন করে রান্নার ব্যবস্থা করেন।

প্রসঙ্গত গত ২ অক্টোবর রাজ্যের পরিবহন ও জলসম্পদ মন্ত্রী তথা তমলুক জেলা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন। সেদিনই তিনি রোগীদের দেওয়া খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন খাওয়ারের মানের উন্নতি ঘটাতে। আর তারপরেই এদিন ফের রোগীর খাওয়ারে টিকটিকি পাওয়া যায় জেলা হাসপাতালে রোগীদের দেওয়া খাওয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।Conclusion:এবিষয়ে প্রতাপবাবুর এক আত্মীয় সবিতা মাইতি জানিয়েছেন, জামাই শনিবার থেকে পায়খানা ও বমিতে আক্রান্ত হয়। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সোমবার দিন তাকে তমলুকের জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। এখনো সে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি স্যালাইন চলছে। তার মধ্যে যদি টিকটিকি সেদ্ধ ডাল খেয়ে ফেলত তাহলে বিপদ আরো বাড়তো। খুব আতঙ্কে রয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি আমরা জানিয়েছি।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপার গোপাল দাস জানিয়েছেন, কোন কারণে দুর্ঘটনাবশত ডালের মধ্যে টিকটিকি পড়ে গিয়েছিল। রোগীর পরিবারের তরফ থেকে জানতে পেরে আমরা তৎপরতার সাথে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো ডালটি কেই বাতিল করেছি। সেই সঙ্গে ডালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যারা ইতিমধ্যেই খাবার খেয়ে ফেলেছিলেন তাঁদের বিশেষভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালে খাওয়ার পরিবেশনকারী সংস্থার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের আরো সতর্কভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.