ETV Bharat / state

বৃষ্টির জেরে বন্ধ কোলাঘাট কেন্দ্র, রাজ্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা - kolaghat

জলমগ্ন কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ৷ বন্ধ 6টি ইউনিটের কাজ ৷ জল জমে যাওয়ার কারণের বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৷

রাজ্যে ব্যাপক বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা
author img

By

Published : Aug 18, 2019, 5:40 PM IST

Updated : Aug 18, 2019, 7:50 PM IST

কোলাঘাট,১৮ অগাস্ট: দু'দিনের ভারী বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেল কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ৷ ৬টি ইউনিটই বন্ধ । এর জেরে ব্যাপক বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে রাজ্যে ৷ ইউনিটের কাজ স্বাভাবিক করার জন্য পাম্প বসিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জল বার করার কাজ শুরু হয় ৷ কিন্তু, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই মিশ্রিত জল পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে ঢুকে চাষের ক্ষতি করছে এই অভিযোগ তুলে আজ কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা ৷

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট ৬টি ইউনিট রয়েছে । তবে সংস্কারের জন্য কয়েক মাস ধরে বন্ধ ৪টি ইউনিট ৷ কিন্তু, গত দু'দিনের ভারী বৃষ্টিতে সচল দুটি ইউনিটের উৎপাদনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ । ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর জন্য আজ ১০টি পাম্পের সাহায্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জল বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । কিন্তু, বাপুর খাল বেয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই মেশা জল ঢুকছে তমলুক ও কোলাঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় । এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই সব এলাকার চাষবাস ও জনজীবন ৷ এর প্রতিবাদে আজ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে শ্রীকৃষ্ণপুর, খানজাদাপুর, শান্তিপুর ও আদুলিয়া সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দারা ।

ভিডিয়োয় শুনুন পঞ্চানন দাসের বক্তব্য

আজ সকাল ১০টা নাগাদ শতাধিক বাসিন্দা মেচেদা ২ নম্বর থার্মাল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান । স্থানীয় বাসিন্দা অতনু মণ্ডল বলেন, "অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে কোলঘাটের অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৷ কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নোংরা জল আমাদের এলাকায় ঢুকছে ৷ বারবার খাল সংস্কারের কথা বলেও তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷" তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন দাস বলেন, "এই সমস্যার কথা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল । কিন্তু, তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ বাপুর খাল সংস্কার করা হয়নি ৷ তাই আজ বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা ।" বিক্ষোভের খবর পয়ে ঘটনাস্থানে যায় পুলিশ ৷ তাদের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷

এবিষয়ে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনেরাল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, "দুটি ইউনিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালানো হচ্ছিল । বৃষ্টিতে ইউনিটের মধ্যে জল ঢুকে যায় ৷ তাই দুটি ইউনিট বাধ্য বন্ধ করতে হয়েছে । পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা চলছে ।"

কোলাঘাট,১৮ অগাস্ট: দু'দিনের ভারী বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেল কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ৷ ৬টি ইউনিটই বন্ধ । এর জেরে ব্যাপক বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে রাজ্যে ৷ ইউনিটের কাজ স্বাভাবিক করার জন্য পাম্প বসিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জল বার করার কাজ শুরু হয় ৷ কিন্তু, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই মিশ্রিত জল পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে ঢুকে চাষের ক্ষতি করছে এই অভিযোগ তুলে আজ কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা ৷

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট ৬টি ইউনিট রয়েছে । তবে সংস্কারের জন্য কয়েক মাস ধরে বন্ধ ৪টি ইউনিট ৷ কিন্তু, গত দু'দিনের ভারী বৃষ্টিতে সচল দুটি ইউনিটের উৎপাদনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ । ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর জন্য আজ ১০টি পাম্পের সাহায্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জল বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । কিন্তু, বাপুর খাল বেয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই মেশা জল ঢুকছে তমলুক ও কোলাঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় । এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই সব এলাকার চাষবাস ও জনজীবন ৷ এর প্রতিবাদে আজ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে শ্রীকৃষ্ণপুর, খানজাদাপুর, শান্তিপুর ও আদুলিয়া সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দারা ।

ভিডিয়োয় শুনুন পঞ্চানন দাসের বক্তব্য

আজ সকাল ১০টা নাগাদ শতাধিক বাসিন্দা মেচেদা ২ নম্বর থার্মাল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান । স্থানীয় বাসিন্দা অতনু মণ্ডল বলেন, "অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে কোলঘাটের অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৷ কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নোংরা জল আমাদের এলাকায় ঢুকছে ৷ বারবার খাল সংস্কারের কথা বলেও তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷" তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন দাস বলেন, "এই সমস্যার কথা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল । কিন্তু, তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ বাপুর খাল সংস্কার করা হয়নি ৷ তাই আজ বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা ।" বিক্ষোভের খবর পয়ে ঘটনাস্থানে যায় পুলিশ ৷ তাদের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷

এবিষয়ে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনেরাল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, "দুটি ইউনিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালানো হচ্ছিল । বৃষ্টিতে ইউনিটের মধ্যে জল ঢুকে যায় ৷ তাই দুটি ইউনিট বাধ্য বন্ধ করতে হয়েছে । পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা চলছে ।"

Intro:কোলাঘাট,১৮ আগস্ট: টানা দু দিনের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে ভরাডুবি হয়ে বন্ধ হয়ে গেল কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬টি ইউইনিটের সব কটি ইউনিটই। স্বাভাবিক ভাবেই বিস্তৃর্ন এলাকা জুড়ে অন্ধকার নেমে আসার আশঙ্কায় রয়েছেন জেলাবাসীরা। অন্যদিকে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৃষ্টির জলে প্লাবিত হল তমলুক ও কোলাঘাটের বিস্তৃর্ন এলাকা। রবিবার এমনই অভিযোগে ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেট আটকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে চাতকপাখির মতোই ছিল ওষ্ঠাগত প্রাণ। কিন্তু মাত্র টানা প্রায় ২৪ঘন্টার বৃষ্টির জেরেই একেবারে নাজেহাল অবস্থা তৈরি হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। খোদ জেলা সদর শহর তমলুকের অবস্থাও একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর পাশাপাশি কোলাঘাটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঢুকে পড়ে বৃষ্টির জল। এর জেরে বন্ধ হয়ে পড়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমস্ত ইউনিটই। সূত্রের খবর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ৬টি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে সংস্কারের জন্য দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪টি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়। চালু ছিল মাত্র ২টি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন। কিন্তু গত দুদিনের এই অতিবৃষ্টির জেরে সচল এই দুটি ইউনিটের উৎপাদনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুকেন্দ্র কর্তপক্ষ। এদিকে পুনরায় যাতে দ্রুত এই ভরাডুবি পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু রাখা সম্ভব হয় তার জন্য ১০টি পাম্পের সাহায্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরের জল বাইরে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এর জেরে স্থানীয় বাপুর খাল বেয়ে এই অতিরিক্ত বৃ্ষ্টির নোংরা জল পার্শবর্তী গ্রামগুলিতে ঢুকে পড়ে। এর জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া ও সেই সঙ্গে চাষবাসের ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীকৃষ্ণপুর, খানজাদাপুর, শান্তিপুর ১ ও আদুলিয়া সহ আশাপাশ এলাকার বাসিন্দারা। এদিন সকাল প্রায় ১০টা নাগাদ স্থানীয় প্রায় শতাধিক বাসিন্দা মেচেদা ২নং থার্মল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন দাস অভিযোগ করে বলেন, গুরুতর এই সমস্যার বিষয়টি জানিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কতৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও এমন পরিস্থিতিতির শিকার হওয়ায় এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবিষয়ে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, দুটি ইউনিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালানো হচ্ছিল। অতি বর্ষণের ফলে ইউনিটের মধ্যে জল ঢুকে যাওয়ায় দুটি ইউনিট বাধ্য হয়েই বন্ধ করতে হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কয়েকটি পাম্প চালিয়ে ভেতরের জল বের করার চেষ্টা চলছে। আশা করা যায় অতি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ফের চালু করা হবে ইউনিট গুলি।Body:কোলাঘাট,১৮ আগস্ট: টানা দু দিনের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে ভরাডুবি হয়ে বন্ধ হয়ে গেল কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬টি ইউইনিটের সব কটি ইউনিটই। স্বাভাবিক ভাবেই বিস্তৃর্ন এলাকা জুড়ে অন্ধকার নেমে আসার আশঙ্কায় রয়েছেন জেলাবাসীরা। অন্যদিকে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৃষ্টির জলে প্লাবিত হল তমলুক ও কোলাঘাটের বিস্তৃর্ন এলাকা। রবিবার এমনই অভিযোগে ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেট আটকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে চাতকপাখির মতোই ছিল ওষ্ঠাগত প্রাণ। কিন্তু মাত্র টানা প্রায় ২৪ঘন্টার বৃষ্টির জেরেই একেবারে নাজেহাল অবস্থা তৈরি হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। খোদ জেলা সদর শহর তমলুকের অবস্থাও একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর পাশাপাশি কোলাঘাটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঢুকে পড়ে বৃষ্টির জল। এর জেরে বন্ধ হয়ে পড়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমস্ত ইউনিটই। সূত্রের খবর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ৬টি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে সংস্কারের জন্য দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪টি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়। চালু ছিল মাত্র ২টি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন। কিন্তু গত দুদিনের এই অতিবৃষ্টির জেরে সচল এই দুটি ইউনিটের উৎপাদনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুকেন্দ্র কর্তপক্ষ। এদিকে পুনরায় যাতে দ্রুত এই ভরাডুবি পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু রাখা সম্ভব হয় তার জন্য ১০টি পাম্পের সাহায্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরের জল বাইরে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এর জেরে স্থানীয় বাপুর খাল বেয়ে এই অতিরিক্ত বৃ্ষ্টির নোংরা জল পার্শবর্তী গ্রামগুলিতে ঢুকে পড়ে। এর জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া ও সেই সঙ্গে চাষবাসের ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীকৃষ্ণপুর, খানজাদাপুর, শান্তিপুর ১ ও আদুলিয়া সহ আশাপাশ এলাকার বাসিন্দারা। এদিন সকাল প্রায় ১০টা নাগাদ স্থানীয় প্রায় শতাধিক বাসিন্দা মেচেদা ২নং থার্মল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন দাস অভিযোগ করে বলেন, গুরুতর এই সমস্যার বিষয়টি জানিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কতৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও এমন পরিস্থিতিতির শিকার হওয়ায় এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবিষয়ে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, দুটি ইউনিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালানো হচ্ছিল। অতি বর্ষণের ফলে ইউনিটের মধ্যে জল ঢুকে যাওয়ায় দুটি ইউনিট বাধ্য হয়েই বন্ধ করতে হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কয়েকটি পাম্প চালিয়ে ভেতরের জল বের করার চেষ্টা চলছে। আশা করা যায় অতি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ফের চালু করা হবে ইউনিট গুলি।Conclusion:কোলাঘাট,১৮ আগস্ট: টানা দু দিনের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে ভরাডুবি হয়ে বন্ধ হয়ে গেল কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬টি ইউইনিটের সব কটি ইউনিটই। স্বাভাবিক ভাবেই বিস্তৃর্ন এলাকা জুড়ে অন্ধকার নেমে আসার আশঙ্কায় রয়েছেন জেলাবাসীরা। অন্যদিকে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৃষ্টির জলে প্লাবিত হল তমলুক ও কোলাঘাটের বিস্তৃর্ন এলাকা। রবিবার এমনই অভিযোগে ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেট আটকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে চাতকপাখির মতোই ছিল ওষ্ঠাগত প্রাণ। কিন্তু মাত্র টানা প্রায় ২৪ঘন্টার বৃষ্টির জেরেই একেবারে নাজেহাল অবস্থা তৈরি হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। খোদ জেলা সদর শহর তমলুকের অবস্থাও একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর পাশাপাশি কোলাঘাটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঢুকে পড়ে বৃষ্টির জল। এর জেরে বন্ধ হয়ে পড়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমস্ত ইউনিটই। সূত্রের খবর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ৬টি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে সংস্কারের জন্য দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪টি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়। চালু ছিল মাত্র ২টি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন। কিন্তু গত দুদিনের এই অতিবৃষ্টির জেরে সচল এই দুটি ইউনিটের উৎপাদনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুকেন্দ্র কর্তপক্ষ। এদিকে পুনরায় যাতে দ্রুত এই ভরাডুবি পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু রাখা সম্ভব হয় তার জন্য ১০টি পাম্পের সাহায্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরের জল বাইরে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এর জেরে স্থানীয় বাপুর খাল বেয়ে এই অতিরিক্ত বৃ্ষ্টির নোংরা জল পার্শবর্তী গ্রামগুলিতে ঢুকে পড়ে। এর জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়া ও সেই সঙ্গে চাষবাসের ক্ষতি হওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীকৃষ্ণপুর, খানজাদাপুর, শান্তিপুর ১ ও আদুলিয়া সহ আশাপাশ এলাকার বাসিন্দারা। এদিন সকাল প্রায় ১০টা নাগাদ স্থানীয় প্রায় শতাধিক বাসিন্দা মেচেদা ২নং থার্মল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন দাস অভিযোগ করে বলেন, গুরুতর এই সমস্যার বিষয়টি জানিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কতৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও এমন পরিস্থিতিতির শিকার হওয়ায় এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবিষয়ে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, দুটি ইউনিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালানো হচ্ছিল। অতি বর্ষণের ফলে ইউনিটের মধ্যে জল ঢুকে যাওয়ায় দুটি ইউনিট বাধ্য হয়েই বন্ধ করতে হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কয়েকটি পাম্প চালিয়ে ভেতরের জল বের করার চেষ্টা চলছে। আশা করা যায় অতি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ফের চালু করা হবে ইউনিট গুলি।
Last Updated : Aug 18, 2019, 7:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.