কোলাঘাট,১৮ অগাস্ট: দু'দিনের ভারী বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেল কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ৷ ৬টি ইউনিটই বন্ধ । এর জেরে ব্যাপক বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে রাজ্যে ৷ ইউনিটের কাজ স্বাভাবিক করার জন্য পাম্প বসিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জল বার করার কাজ শুরু হয় ৷ কিন্তু, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই মিশ্রিত জল পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে ঢুকে চাষের ক্ষতি করছে এই অভিযোগ তুলে আজ কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা ৷
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট ৬টি ইউনিট রয়েছে । তবে সংস্কারের জন্য কয়েক মাস ধরে বন্ধ ৪টি ইউনিট ৷ কিন্তু, গত দু'দিনের ভারী বৃষ্টিতে সচল দুটি ইউনিটের উৎপাদনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ । ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর জন্য আজ ১০টি পাম্পের সাহায্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জল বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । কিন্তু, বাপুর খাল বেয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই মেশা জল ঢুকছে তমলুক ও কোলাঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় । এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই সব এলাকার চাষবাস ও জনজীবন ৷ এর প্রতিবাদে আজ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে শ্রীকৃষ্ণপুর, খানজাদাপুর, শান্তিপুর ও আদুলিয়া সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দারা ।
আজ সকাল ১০টা নাগাদ শতাধিক বাসিন্দা মেচেদা ২ নম্বর থার্মাল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান । স্থানীয় বাসিন্দা অতনু মণ্ডল বলেন, "অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে কোলঘাটের অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৷ কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নোংরা জল আমাদের এলাকায় ঢুকছে ৷ বারবার খাল সংস্কারের কথা বলেও তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷" তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন দাস বলেন, "এই সমস্যার কথা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল । কিন্তু, তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ বাপুর খাল সংস্কার করা হয়নি ৷ তাই আজ বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা ।" বিক্ষোভের খবর পয়ে ঘটনাস্থানে যায় পুলিশ ৷ তাদের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷
এবিষয়ে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনেরাল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, "দুটি ইউনিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালানো হচ্ছিল । বৃষ্টিতে ইউনিটের মধ্যে জল ঢুকে যায় ৷ তাই দুটি ইউনিট বাধ্য বন্ধ করতে হয়েছে । পাম্প চালিয়ে জল বের করার চেষ্টা চলছে ।"