দিঘা, ১ মার্চ : ছোটো থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি যাদের ঝোঁক, তারা এখন থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে পারবে। গবেষণার মাধ্যমে বাস্তব রূপ দিতে পারবে তাদের চিন্তাভাবনাগুলোকে। এই সুযোগ করে দিল দিঘা সায়েন্স সেন্টার। ছোটোদের উদ্ভাবনী ভাবনাকে কাজে লাগাতে মঙ্গলবার থেকে এই বিজ্ঞান কেন্দ্রে চালু হল ইনোভেশন হাব। ইনোভেশন হাবের উদ্বোধন করেন রাজ্যর পরিবেশ ও পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ দেখায় অনেক ছাত্রছাত্রী। স্কুলে পড়াশোনার ফাঁকে কেউ বানাচ্ছে ড্রোন, কেউ রোবট। কেউ আবার বানাচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। তবে এই চর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে বেশিরভাগ পড়ুয়াই আর্থিক কারণে বাধা পায়। তবে এবার পরিস্থিতি পালটাতে এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোবটিক্স, ইলেকট্রনিক্স, পদার্থ , জীববিদ্যা বা বিজ্ঞানের যে কোনও বিষয়ে স্বাধীন গবেষণা করতে পারবে ছোটোরা। ২০১০-২০ এই সময়কে 'উদ্ভাবনের দশক' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলোজিক্যাল মিউজ়িয়ামের অধিকর্তা ভি এস রামচন্দ্রন, দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক সুজন দত্ত, দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রকল্প আধিকারিক নিরঞ্জন গুপ্ত প্রমুখ।
রামচন্দ্রন বলেন, "এই হাবে যে কোনও ছাত্রই তাদের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে গবেষণা করতে পারবে। তাদের সাহায্য করতে থাকবে মেন্টর। এছাড়াও সেই গবেষণর জন্য যা কিছু প্রয়োজন তাও দেওয়া হবে হাবের তরফে।" বিজ্ঞানকেন্দ্রগুলিকে এতদিন প্রদর্শনী কেন্দ্র হিসেবেই দেখা হত। তবে এবার এই কেন্দ্রটিকে অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে ইনোভেশন হাব। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা তাদের মস্তিস্কপ্রসূত চিন্তা-ভাবনা বাস্তবায়নের সুযোগ মেলায় খুশি স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের জন্য একটি বাসের অনুমোদন করেন পরিবেশ ও পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।