দিঘা , 19 জুলাই : শ্রাবণ মাস পড়ে গেলেও দেখা নেই বৃষ্টির ৷ খারাপ আবহাওয়ার কারণে ইলিশ ধরতে যেতে পারছেন না মৎস্যজীবীরা ৷ বারবার হাওয়া অফিস থেকে প্রতিকূল আবহাওয়া সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা ৷ মাছ ধরার জন্য ট্রলার নিয়ে গেলেও খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে তাঁদের ৷ তাই বাঙালির পাতে ইলিশ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা ছাড়া আর কোনও উপায় দেখা যাচ্ছে না ৷
গত বছর দিঘা, পেটুয়া, শংকরপুর, শৌলা, কাঁথি উপকূল থেকে প্রায় 20 টনের কাছাকাছি ইলিশ পাওয়া গেছিল ৷ সেই তুলনায় এই বছর ইলিশ ধরা পড়েনি বললেই চলে ৷ মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, ইলিশ ধরার প্রকৃত মরশুম হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে বারবার নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কারণে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না তাঁরা ৷ অন্যদিকে মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ ধরার অনুকূল পরিবেশই হল গভীর সমুদ্রে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি, যার কোনটারই এখনও পর্যন্ত দেখা মেলেনি ৷ যে কারণে ইলিশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাঙালি ৷ তবে গত দু'দিন ধরে আবহাওয়া শান্ত হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূল থেকে ইলিশ ধরার জন্য প্রায় 2000 ট্রলার ও ফিশিং বোট সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে ।
দিঘা ফিশারমেন আন্ড ফিশ ট্রেডার অ্যাসোসিয়েশনের ডাইরেক্টার নবকুমার পয়রা জানিয়েছেন, ভরা মরশুমে বাজারে ইলিশ পৌঁছে দিতে না পেরে চিন্তিত তাঁরা ৷ মাছ ধরতে না পারায় প্রচুর লোকসান হয়েছে ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবীদের ৷ তবে গতকাল সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই অনেক ট্রলার সমুদ্রে গেছে ৷ যোগাযোগ রাখা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে ৷ আগামী সাত দিনের মধ্যেই মৎস্যজীবীরা ফিরে আসবেন ৷ সেক্ষেত্রে আশা করা যাচ্ছে পাওয়া যাবে ইলিশ ৷
বর্তমানে দিঘা মোহনাতেই প্রায় 400 - 500 গ্রাম ইলিশের বাজার দর 800-1000 টাকা ৷ যা বাজারে বিক্রি হচ্ছে 1100 - 1200 টাকায় ৷ অন্যদিকে 1 কেজি - 1200 গ্রাম ইলিশের দাম 1400- 1600 টাকা যা খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে 2000 থেকে 3000 টাকায় ৷ ফলে সাধ আর সাধ্যের মধ্যে অনেক তফাৎ থেকে যাচ্ছে ৷