ETV Bharat / state

জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, 4 ঘন্টা বিদ্যুৎহীন হাসপাতাল

হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ও সাধারণ বিভাগ পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে । ওই দুই বিভাগে ভর্তি থাকা প্রায় 250 রোগীর পরিবারে তৈরি হয় আতঙ্ক

district hospital
জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, 4 ঘন্টা বিদ্যুৎহীন হাসপাতাল
author img

By

Published : Dec 10, 2019, 2:48 AM IST

তমলুক, 10 ডিসেম্বর : স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমানে জেলা সফরে পূর্ব মেদিনীপুরে আর সে সময় আঁধারে ডুবল জেলা হাসপাতাল । মোমবাতির আলোতে চিকিৎসকরা কোনওরকমে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করলেন চিকিৎসকরা । যদিও রোগীর পরিবারের অভিযোগ প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় সঠিকভাবে পরিষেবা মেলেনি । আতঙ্ক তৈরি হয় সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকা রোগীর পরিজনদের মধ্যে ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলেছে ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায় ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিকেল কলেজ তৈরির জন্য জেলা হাসপাতালের সামনেই জেসিবি দিয়ে মাটি খননের কাজ চলছিল । আর তাতেই জেলা হাসপাতালে বিদ্যুতের তার কেটে এই বিপত্তি ঘটে । বিকেল পাঁচটা থেকে প্রায় পৌনে নটা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরসহ একাধিক ওয়ার্ড ।

দেখুন ভিডিয়ো

হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ও সাধারণ বিভাগ পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে । ওই দুই বিভাগে ভর্তি থাকা প্রায় 250 রোগীর পরিবারে তৈরি হয় আতঙ্ক । যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ICU ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও অপারেশনথিয়েটার গুলি জেনারেটরের মাধ্যমে সচল রাখা হয়েছিল । সেখানে ভর্তি থাকা রোগীদের কোন সমস্যার মধ্যেই পড়তে হয়নি । প্রশ্ন উঠেছে, জেলা হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কেন নিয়মিত নজরদারি চালানো না কর্তৃপক্ষ? কেনই বা হাসপাতাল বিদ্যুৎহীন হয়ে রইল প্রায় চার ঘণ্টা ।

কর্তৃপক্ষের খননকাজ হওয়ার সময় থেকেই রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তর ও পৌরসভার জল পরিষেবা দপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিকল্প ব্যবস্থার জন্য । বিদ্যুৎ দপ্তর সেই কাজ শুরু না করার জন্যই এই বিপত্তি ঘটেছে । হৃদরোগে আক্রান্ত এক রোগী ৷ নিমতৌড়ির বাসিন্দা ৷ তাঁর ভাই সুবল মাইতি অভিযোগ করেন ৷ অপর এক রোগীর আত্মীয় সত্যশঙ্কর দাস অভিযোগ করেন, ''বিকেল পাঁচটা থেকে হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই । দাদার স্যালাইন শেষ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকদের নতুন স্যালাইনের বোতল পাল্টে দেওয়ার অনুরোধ জানালে চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন বিদ্যুৎ না এলে সম্ভব নয় । দুশ্চিন্তায় রয়েছি ।''

এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেডিকেল কলেজ তৈরির জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ হচ্ছিল । যে কারণে হাসপাতালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায় । এই আশঙ্কা করে আগে থেকেই বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাকে লাইন সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল ৷ বিদ্যুৎ দপ্তর সেই কাজ সঠিক সময়ে না করার জন্যই এই বিপত্তি । হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলি জেনারেটর পরিষেবার মাধ্যমে সচল রাখা হয় । তবে ভবিষ্যতে যাতে আর এরকম আর কোনও ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।

তমলুক, 10 ডিসেম্বর : স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমানে জেলা সফরে পূর্ব মেদিনীপুরে আর সে সময় আঁধারে ডুবল জেলা হাসপাতাল । মোমবাতির আলোতে চিকিৎসকরা কোনওরকমে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করলেন চিকিৎসকরা । যদিও রোগীর পরিবারের অভিযোগ প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় সঠিকভাবে পরিষেবা মেলেনি । আতঙ্ক তৈরি হয় সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকা রোগীর পরিজনদের মধ্যে ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলেছে ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায় ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিকেল কলেজ তৈরির জন্য জেলা হাসপাতালের সামনেই জেসিবি দিয়ে মাটি খননের কাজ চলছিল । আর তাতেই জেলা হাসপাতালে বিদ্যুতের তার কেটে এই বিপত্তি ঘটে । বিকেল পাঁচটা থেকে প্রায় পৌনে নটা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরসহ একাধিক ওয়ার্ড ।

দেখুন ভিডিয়ো

হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ও সাধারণ বিভাগ পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে । ওই দুই বিভাগে ভর্তি থাকা প্রায় 250 রোগীর পরিবারে তৈরি হয় আতঙ্ক । যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ICU ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও অপারেশনথিয়েটার গুলি জেনারেটরের মাধ্যমে সচল রাখা হয়েছিল । সেখানে ভর্তি থাকা রোগীদের কোন সমস্যার মধ্যেই পড়তে হয়নি । প্রশ্ন উঠেছে, জেলা হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কেন নিয়মিত নজরদারি চালানো না কর্তৃপক্ষ? কেনই বা হাসপাতাল বিদ্যুৎহীন হয়ে রইল প্রায় চার ঘণ্টা ।

কর্তৃপক্ষের খননকাজ হওয়ার সময় থেকেই রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তর ও পৌরসভার জল পরিষেবা দপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিকল্প ব্যবস্থার জন্য । বিদ্যুৎ দপ্তর সেই কাজ শুরু না করার জন্যই এই বিপত্তি ঘটেছে । হৃদরোগে আক্রান্ত এক রোগী ৷ নিমতৌড়ির বাসিন্দা ৷ তাঁর ভাই সুবল মাইতি অভিযোগ করেন ৷ অপর এক রোগীর আত্মীয় সত্যশঙ্কর দাস অভিযোগ করেন, ''বিকেল পাঁচটা থেকে হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই । দাদার স্যালাইন শেষ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকদের নতুন স্যালাইনের বোতল পাল্টে দেওয়ার অনুরোধ জানালে চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন বিদ্যুৎ না এলে সম্ভব নয় । দুশ্চিন্তায় রয়েছি ।''

এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেডিকেল কলেজ তৈরির জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ হচ্ছিল । যে কারণে হাসপাতালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায় । এই আশঙ্কা করে আগে থেকেই বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাকে লাইন সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল ৷ বিদ্যুৎ দপ্তর সেই কাজ সঠিক সময়ে না করার জন্যই এই বিপত্তি । হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলি জেনারেটর পরিষেবার মাধ্যমে সচল রাখা হয় । তবে ভবিষ্যতে যাতে আর এরকম আর কোনও ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।

Intro:তমলুক,৯ ডিসেম্বর: স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমানে জেলা সফরে পূর্ব মেদিনীপুরে আর সে সময় আধার ডুবল জেলা হাসপাতাল । মোমবাতির আলোতে চিকিৎসকরা কোনরকমে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও রোগীর পরিবারের অভিযোগ প্রায় চার ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসক থেকে নার্সেরা সঠিকভাবে পরিষেবা দিচ্ছেন না । ফলে আতঙ্কে রয়েছেন সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকা রোগীর পরিজনেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলছে কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।Body:হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেডিকেল কলেজ তৈরির জন্য জেলা হাসপাতালের সামনেই জেসিবি দিয়ে মাটি খোঁড়া কাজ চলছিল। আর তাতেই জেলা হাসপাতালে বিদ্যুতের তার কেটে যায়।আর তার ফল এই বিপত্তি ঘটে। বিকেল পাঁচটা থেকে প্রায় পৌনে নটা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরসহ একাধিক ওয়ার্ড । হাসপাতালে জরুরী বিভাগ ও সাধারণ বিভাগ পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ফলে ভুগতে হয় ওই দুই বিভাগে ভর্তি থাকা প্রায় আড়াইশো জন রোগীকে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও অপারেশন থিয়েটার গুলি জেনারেটরের মাধ্যমে সচল রাখা হয়েছিল । সেখানে ভর্তি থাকা রোগীদের কোন সমস্যার মধ্যেই পড়তে হয়নি ।প্রশ্ন উঠছে জেলা হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কেন নিয়মিত নজরদারি চালানো না কর্তৃপক্ষ? কেনই বা হাসপাতাল বিদ্যুৎহীন হয়ে রইল প্রায় চার ঘন্টা। কর্তৃপক্ষের খননকাজ হওয়ার সময় থেকেই রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন দপ্তর ও পৌরসভার জল পরিষেবা দপ্তরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য। বিদ্যুৎ দপ্তর সেই কাজ শুরু নাকরার জন্যই এই বিপত্তি ঘটেছে।Conclusion:হৃদরোগে আক্রান্ত এক রোগীর ভাই নিমতৌড়ির বাসিন্দা সুবল মাইতি অভিযোগ করে বলেন, রোগীর এট আত্মীয় সত্য শঙ্কর দাস অভিযোগ করে, বিকেল পাঁচটা থেকে হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। দাদার সেলাইন শেষ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকদের নতুন স্যালাইনের বোতল পাল্টে দেওয়ার অনুরোধ জানালে চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন কারেন্ট না এলে কিছুই করে দেওয়া সম্ভব নয়। কোন পরিষেবা পাচ্ছিনা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেডিকেল কলেজ তৈরির জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ হচ্ছিল। যে কারণে হাসপাতালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। এই আশঙ্কা করে আগে থেকেই বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাকে আমরা লাইন সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। ওরা সেই কাজ সঠিক সময়ে না করার জন্যই এই বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলি জেনারেটর পরিষেবার মাধ্যমে সচল রাখা হয়েছিল। তবে ভবিষ্যতে যাতে আর এরকম আর কোন ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.