ETV Bharat / state

হলদিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনার পুনর্গঠন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের

author img

By

Published : Mar 8, 2020, 6:03 AM IST

চাউমিনে মেশানো হয়েছিল ঘুমের ওষুধ৷ যা খেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে রিয়া ও রমা৷ তারপরই দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে উভয়কে খুন করা সাদ্দাম৷ গতকাল পুনর্গঠনে এমনটাই জানিয়েছে অভিযুক্তরা৷

East Midnapore
East Midnapore

হলদিয়া, 7 মার্চ : হলদিয়া জোড়া খুনের ঘটনায় ধৃত চার জনকে নিয়ে গতকাল ঘটনার পুনর্গঠন করল জেলা পুলিশ ৷ একইসঙ্গে হাজরা মোড়ের যে বাড়িতে রমা ও রিয়া-কে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল সেই বাড়ি থেকে ফিঙ্গার প্রিন্টের নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ৷ গতকাল দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ খুনে অভিযুক্ত সাদ্দাম ও তার তিন সহযোগীকে নিয়ে রমা দে-র হাজরা মোড়ের ভাড়াবাড়িতে যায় পুলিশ। সেখান থেকে অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয় হুগলি নদীর তীরবর্তী ঝিকুরখালিতে । এখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল রমা ও রিয়ার অর্ধদগ্ধ দেহ ৷ দুটি স্থানেই ঘটনার পুনর্গঠন করে পুলিশ ৷

পুনর্গঠনের সময় সাদ্দাম তদন্তকারীদের জানায় চাউমিনে ঘুমের ওষুধ মেশানো হয় ৷ সেই চাউমিন খেয়েই রিয়া ও রমা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে ৷ তখনই সাদ্দাম প্রথমে রিয়াকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ খুন করে । সেইসময় হাত-পা ছোড়াছুড়ি করছিল রিয়া । তাই তার দুই বন্ধু রিয়াকে চেপে ধরে ৷ তারপরেই রিয়ার মা রমাকেও একইভাবে খুন করে তারা। এরপর গাড়িতে করে দেহ দুটিকে নিয়ে যায় হুগলি নদীর তীরবর্তী ঝিকুরখালিতে ৷ সেখানেই পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দু'জনকে ।

এই বিষয়ে দুর্গাচক থানার OC বিপ্লব হালদার জানান, "আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ অভিযুক্তদের 14 দিনের পুলিশি হেপাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে । সেই কারণে অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। আজ হলদিয়া মহকুমা আদালতে সমস্ত তথ্য প্রমাণ বিচারকের হাতে তুলে দেওয়া হবে । অভিযুক্তরা প্রত্যেকে খুনের কথা স্বীকার করেছে । খুব শীঘ্রই আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা করব।"

18 ফেব্রুয়ারি সকালে হুগলি নদীর তীরবর্তী ঝিকুরখালিতে অর্ধদগ্ধ দেহ দুটিকে দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তারা সম্পর্কে মা ও মেয়ে । তারপরই সাদ্দাম-সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

হলদিয়া, 7 মার্চ : হলদিয়া জোড়া খুনের ঘটনায় ধৃত চার জনকে নিয়ে গতকাল ঘটনার পুনর্গঠন করল জেলা পুলিশ ৷ একইসঙ্গে হাজরা মোড়ের যে বাড়িতে রমা ও রিয়া-কে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল সেই বাড়ি থেকে ফিঙ্গার প্রিন্টের নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ৷ গতকাল দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ খুনে অভিযুক্ত সাদ্দাম ও তার তিন সহযোগীকে নিয়ে রমা দে-র হাজরা মোড়ের ভাড়াবাড়িতে যায় পুলিশ। সেখান থেকে অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয় হুগলি নদীর তীরবর্তী ঝিকুরখালিতে । এখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল রমা ও রিয়ার অর্ধদগ্ধ দেহ ৷ দুটি স্থানেই ঘটনার পুনর্গঠন করে পুলিশ ৷

পুনর্গঠনের সময় সাদ্দাম তদন্তকারীদের জানায় চাউমিনে ঘুমের ওষুধ মেশানো হয় ৷ সেই চাউমিন খেয়েই রিয়া ও রমা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে ৷ তখনই সাদ্দাম প্রথমে রিয়াকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ খুন করে । সেইসময় হাত-পা ছোড়াছুড়ি করছিল রিয়া । তাই তার দুই বন্ধু রিয়াকে চেপে ধরে ৷ তারপরেই রিয়ার মা রমাকেও একইভাবে খুন করে তারা। এরপর গাড়িতে করে দেহ দুটিকে নিয়ে যায় হুগলি নদীর তীরবর্তী ঝিকুরখালিতে ৷ সেখানেই পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দু'জনকে ।

এই বিষয়ে দুর্গাচক থানার OC বিপ্লব হালদার জানান, "আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ অভিযুক্তদের 14 দিনের পুলিশি হেপাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে । সেই কারণে অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। আজ হলদিয়া মহকুমা আদালতে সমস্ত তথ্য প্রমাণ বিচারকের হাতে তুলে দেওয়া হবে । অভিযুক্তরা প্রত্যেকে খুনের কথা স্বীকার করেছে । খুব শীঘ্রই আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা করব।"

18 ফেব্রুয়ারি সকালে হুগলি নদীর তীরবর্তী ঝিকুরখালিতে অর্ধদগ্ধ দেহ দুটিকে দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তারা সম্পর্কে মা ও মেয়ে । তারপরই সাদ্দাম-সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.