ETV Bharat / state

সেই অলিদকে ডেকে পাঠাল কলেজ সার্ভিস কমিশন - অলিদকে শুভেচ্ছা CSC-র চেয়ারম্যানের

কাঁথির অলিদ আলিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশন । 27 জানুয়ারি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Jan 22, 2020, 2:58 PM IST

Updated : Jan 23, 2020, 8:44 AM IST

কাঁথি, 22 জানুয়ারি : আহত প্রবীণকে বাঁচাতে গিয়ে আর পরীক্ষায় বসা হয়নি অলিদের । অনেকদিনের প্রস্তুতি ছিল । তাই পরীক্ষা না দিতে পারায় খারাপ লাগাটাও স্বাভাবিক । তবে নুরজামানের বাড়ি গিয়ে তাঁকে সুস্থ দেখে সেই ক্ষতে প্রলেপ পড়েছিল তাঁর । নিজেকে বুঝিয়েছিলেন, আবার যখন পরীক্ষা হবে তখন দেখা যাবে । তবে, চাকরির পরীক্ষা দিতে না পারলে কী হবে, মানবিকতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অলিদের জন্য অপেক্ষা করছিল অন্যকিছু । তাই হল । 27 জানুয়ারি কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে ।

সেদিন রাস্তার পাশে অসহায়, আহত প্রবীণকে দেখে নিজেকে আটকাতে পারেননি অলিদ । বাকিদের মতো পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারেননি । প্রবীণকে কোলে তুলে প্রায় হাফ কিলোমিটার পথ হেঁটে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভরতি করেন । পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে যখন পৌঁছান, ততক্ষণে প্রায় আধঘণ্টা হয়ে গেছে পরীক্ষা । কলেজের নিরাপত্তারক্ষীদের বারবার পরিস্থিতির কথা বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি । আর বসা হয়নি পরীক্ষায় । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বুঝিয়েছেন । ফোন করে নুরজামানকে দেখতে তাঁর বাড়ি পৌঁছে যান । তাঁকে সুস্থ দেখে, মুখে হাসি দেখে কোথাও যেন একটা আলাদা আনন্দ, সার্থকতার স্বাদ পান অলিদ । নিজেকে বোঝান পরেরবার ভালো কিছু হবে । সাফল্য নিশ্চিত আসবে ।

image
আহত নুরজামানের বাড়িতে অলিদ

সোশাল মিডিয়ার দৌলতে দ্রুত ছড়িয়ে যায় অলিদের খবরটা । তার জেরেই এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর ডেকে পাঠিয়েছেন তাঁকে । গতকাল দুপুরে কলেজ সার্ভিস কমিশন থেকে অলিদকে ফোন করা হয় । 27 জানুয়ারি দুপুর 1 টার সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর । দেরিতে পৌঁছানোর জন্য পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁকে । ফোন আসে সেই কলেজের অধ্যক্ষ নন্দন ভট্টাচার্যের তরফেও । অনুতপ্ত অধ্যক্ষ । জানান, নিয়মের কারণে হাত-পা বাঁধা । তাই আর পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে পারেননি তিনি । কিন্তু অলিদকে কুর্নিশ জানাতে কলেজ সার্ভিস কমিশনের নির্দেশে ফোন করেছেন তিনি ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : বাঁচালেন আহত প্রবীণকে, বসা হল না চাকরির পরীক্ষায়

অলিদ বলেন, "ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন CSC-র চেয়ারম্যান । 27 তারিখ অফিসে দেখা করার কথা বলেছেন ।" পুনরায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার কোনও বিশেষ সুযোগ দেওয়া হবে কি? অলিদ জানান, দেখা করতে বলেছেন ৷ দেখা যাক কী হয় ? এবিষয়ে, কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর বলেন, "সেটা তো আমাদের আইনে নেই ।" তাঁর বক্তব্য, "খবরটা দেখলাম । ছেলেটি যা করেছে তাতে ওকে উৎসাহ দেওয়া দরকার । ও তো পরীক্ষাটা দিতে পারেনি মানবিক কারণে, সামাজিক কারণে । তাই তাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য একটু কথা বলব, যাতে নতুন উদ্যমে আগামী পরীক্ষাটা দিতে পারে ।"

শুনুন অলিদের বক্তব্য

ইতিমধ্যে, কাঁথির উত্তর ডিহির মুকুন্দপুরের আহত প্রবীণ শেখ নুরজামানের বাড়ি যান অলিদ। মাথা ও হাঁটুর আঘাত নিয়ে নুরজামান এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন । তবে পুরো বিষয়টি শুনে দুঃখ পান তিনি । নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলেন, "আমার দুই ছেলে,পুত্রবধূ, স্ত্রী এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে সংসার । আজ থেকে তুমিও আমার ছেলে।"

কাঁথি, 22 জানুয়ারি : আহত প্রবীণকে বাঁচাতে গিয়ে আর পরীক্ষায় বসা হয়নি অলিদের । অনেকদিনের প্রস্তুতি ছিল । তাই পরীক্ষা না দিতে পারায় খারাপ লাগাটাও স্বাভাবিক । তবে নুরজামানের বাড়ি গিয়ে তাঁকে সুস্থ দেখে সেই ক্ষতে প্রলেপ পড়েছিল তাঁর । নিজেকে বুঝিয়েছিলেন, আবার যখন পরীক্ষা হবে তখন দেখা যাবে । তবে, চাকরির পরীক্ষা দিতে না পারলে কী হবে, মানবিকতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অলিদের জন্য অপেক্ষা করছিল অন্যকিছু । তাই হল । 27 জানুয়ারি কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে ।

সেদিন রাস্তার পাশে অসহায়, আহত প্রবীণকে দেখে নিজেকে আটকাতে পারেননি অলিদ । বাকিদের মতো পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারেননি । প্রবীণকে কোলে তুলে প্রায় হাফ কিলোমিটার পথ হেঁটে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভরতি করেন । পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে যখন পৌঁছান, ততক্ষণে প্রায় আধঘণ্টা হয়ে গেছে পরীক্ষা । কলেজের নিরাপত্তারক্ষীদের বারবার পরিস্থিতির কথা বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি । আর বসা হয়নি পরীক্ষায় । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বুঝিয়েছেন । ফোন করে নুরজামানকে দেখতে তাঁর বাড়ি পৌঁছে যান । তাঁকে সুস্থ দেখে, মুখে হাসি দেখে কোথাও যেন একটা আলাদা আনন্দ, সার্থকতার স্বাদ পান অলিদ । নিজেকে বোঝান পরেরবার ভালো কিছু হবে । সাফল্য নিশ্চিত আসবে ।

image
আহত নুরজামানের বাড়িতে অলিদ

সোশাল মিডিয়ার দৌলতে দ্রুত ছড়িয়ে যায় অলিদের খবরটা । তার জেরেই এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর ডেকে পাঠিয়েছেন তাঁকে । গতকাল দুপুরে কলেজ সার্ভিস কমিশন থেকে অলিদকে ফোন করা হয় । 27 জানুয়ারি দুপুর 1 টার সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর । দেরিতে পৌঁছানোর জন্য পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁকে । ফোন আসে সেই কলেজের অধ্যক্ষ নন্দন ভট্টাচার্যের তরফেও । অনুতপ্ত অধ্যক্ষ । জানান, নিয়মের কারণে হাত-পা বাঁধা । তাই আর পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে পারেননি তিনি । কিন্তু অলিদকে কুর্নিশ জানাতে কলেজ সার্ভিস কমিশনের নির্দেশে ফোন করেছেন তিনি ।

এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : বাঁচালেন আহত প্রবীণকে, বসা হল না চাকরির পরীক্ষায়

অলিদ বলেন, "ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন CSC-র চেয়ারম্যান । 27 তারিখ অফিসে দেখা করার কথা বলেছেন ।" পুনরায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার কোনও বিশেষ সুযোগ দেওয়া হবে কি? অলিদ জানান, দেখা করতে বলেছেন ৷ দেখা যাক কী হয় ? এবিষয়ে, কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর বলেন, "সেটা তো আমাদের আইনে নেই ।" তাঁর বক্তব্য, "খবরটা দেখলাম । ছেলেটি যা করেছে তাতে ওকে উৎসাহ দেওয়া দরকার । ও তো পরীক্ষাটা দিতে পারেনি মানবিক কারণে, সামাজিক কারণে । তাই তাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য একটু কথা বলব, যাতে নতুন উদ্যমে আগামী পরীক্ষাটা দিতে পারে ।"

শুনুন অলিদের বক্তব্য

ইতিমধ্যে, কাঁথির উত্তর ডিহির মুকুন্দপুরের আহত প্রবীণ শেখ নুরজামানের বাড়ি যান অলিদ। মাথা ও হাঁটুর আঘাত নিয়ে নুরজামান এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন । তবে পুরো বিষয়টি শুনে দুঃখ পান তিনি । নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলেন, "আমার দুই ছেলে,পুত্রবধূ, স্ত্রী এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে সংসার । আজ থেকে তুমিও আমার ছেলে।"

Intro:কাঁথি,২২ জানুয়ারি: পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় চোখের সামনেই আহত প্রবীণ কে দেখে মন আলোড়িত করেছিলো অলিদ আলির। চোখের সামনে তখন একদিকে প্রবীণ যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে অপরদিকে তাঁকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে নিত্যযাত্রীরা। তাই সাত পাঁচ না ভেবেই পরীক্ষার কথা ভুলে গিয়ে অলিদ মানবতার খাতিরে এগিয়ে গিয়েছিল বাঁচাতে কাঁথির মুকুন্দপুরের বাসিন্দা নুর জামানকে। ফলে আধঘন্টা দেরিতে পরীক্ষাস্থানে পৌঁছানোয় কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষায় বসতে দেননি অলিদ কে। পরে অলিদের সেই কীর্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সবাই তাকে কুর্নিশ জানাতে থাকে। এরপরই নড়েচড়ে বসে কলেজ সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর অলিদ কে ফোন মারফত আগামী 27 শে জানুয়ারি দুপুর 1 টার সময় দেখা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন। যে কলেজে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিলম্বে পৌঁছনোর কারণে পরীক্ষায় বসাই হয়নি,সেই কলেজের অধ্যক্ষ নন্দন ভট্টাচার্যও এদিন অনুতাপ প্রকাশ করেন।, বলেন নিয়মের কারণে হাত-পা বাঁধা তাঁর। যে কারণে বসার সুযোগ করে দিতে পারেননি তিনি। কিন্তু এমন কাজ অলিদ করেছেন তাঁকে কুর্নিশ জানাতেই কলেজ সার্ভিস কমিশনের নির্দেশে তাঁরেই ফোন।Body:প্রসঙ্গত, কাঁথির শ্রীরামপুরের যুবক অলিদ আলী গত রবিবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের অধ্যাপক পদের পরীক্ষা দিতে আসছিলেন কলকাতাগামী বাসে করে। বাস থেকে নামা মাত্র তিনি দেখতে পান সামনেই এক প্রবীণ বাইকের ধাক্কায় আহত হয়ে জাতীয় সড়কে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলেও পরীক্ষার কথা ভেবে কিছুটা পিছপা হন। প্রথমে ভেবেছিলেন পুলিশকে ইনফর্ম করলে হয়তো সাহায্য পাবেন প্রবীণ তাই 100 ডায়ালে ফোন। কিন্তু আসেনি কোন সাহায্য উল্টো দিকে পাশে থাকা মানুষগুলো ফিরে তাকাচ্ছে না। তাই পরীক্ষার কথা ভুলে গিয়ে যুবক বৃদ্ধ কে কোলে তুলে নিয়ে বাঁচানোর তাগিদে ছুটলেন হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়ে যখন পরীক্ষার হলে পৌঁছালেন তখন পরীক্ষা আধঘন্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। তাই কলেজের প্রহরীরা তাকে ঢুকতে দেননি। নিজের পরিস্থিতি বুঝিয়েও ব্যর্থ হন অলিদ। বাধ্য হয়ে পরীক্ষা না দিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।

Conclusion:বাড়ি ফিরে পরীক্ষা দিতে না পারায় মন খারাপ নিয়েই দেখা করতে যান কাঁথির উত্তর ডিহির মুকুন্দপুরের আহত প্রবীণ শেখ নুরজামাল এর সাথে । অলিদ কে দেখামাত্রই নুরজামাল আনন্দিত হয়ে ওঠেন। মাথা ও হাঁটুর আঘাত নিয়ে নুরজামাল এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয়। তার মধ্যেই অলিদের পরীক্ষা দিতে না পারার কথা শুনে দুঃখে ভেঙে পড়েন। কিছুটা সামলে নিয়ে বলেন চিন্তা নেই আমার দুই ছেলে ও পুত্রবধূ স্ত্রী এবং নাতি-নাতনি দের নিয়ে সংসার আজ থেকে তুমিও আমার ছেলে। প্রবীণের মুখ থেকে একথা শুনে তখন অলিদের পরীক্ষায় বসতে না পারার যন্ত্রণা কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। বাড়ি ফেরার ঘন্টাখানেক পরেই ওলিদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হয় পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের তরফে। কলেজের অধ্যক্ষ নন্দন ভট্টাচার্য জানান, নিয়মের কারণে তারা তাকে বসতে দেন দিতে পারেননি পরীক্ষায়। কিন্তু আপনার কাজ সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার। সমাজের কাছে আপনিই দৃষ্টান্ত। কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে নির্দেশক্রমে আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করেছি।

ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই ফোন আসে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক করের তরফে। অলীদ বাবু বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব তাকে ফোন করে নিজের কাজের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । আগামী 27 তারিখ দুপুর 1 টা নাগাদ দীপক বাবু তাকে অফিসে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কলেজ সার্ভিস কমিশন কি অলিদ কে পুনরায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার কোনো বিশেষ সুযোগ করে দেবেন। উত্তর জানতে চাওয়ায় দীপক বাবু জানিয়েছেন আপনি নিজে এসে আগে দেখা করে যান তারপর দেখছি কি করা যায়। চারিদিক থেকে ফোন পেয়ে আনন্দিত ওলিদও। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার একরাশ স্বপ্ন চোখে। কলেজ সার্ভিস কমিশন তাঁর কাজের কুর্নিশ জানালেও কি পুরস্কার তার জন্য অপেক্ষা করছে সেটাই এখন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে কাঁথির যুবক ওলীদের মনের মনিকোঠায়।
Last Updated : Jan 23, 2020, 8:44 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.