কাঁথি, 22 এপ্রিল : কাঁথির নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন এক যুবতির শরীরে কোরোনার উপসর্গ রয়েছে। তাই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এদিকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই নার্সিংহোমের স্টাফদের নার্সিংহোম ছাড়তে বারণ করা হয়েছে।
এলাকারই বাসিন্দা এক যুবতিকে শনিবার কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালে ভরতি করে তাঁর পরিবার । যুবতির শরীরে কোরোনার উপসর্গ পাওয়া যায় । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ওই যুবতিকে কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতাল রেফার করা হয় । কিন্তু যুবতিকে কলকাতায় না নিয়ে গিয়ে কাঁথির একটি নার্সিংহোমে ভরতি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা । অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া রেফারের কাগজ নার্সিংহোমে দেখাননি তাঁরা । উপসর্গের বিষয়টিও গোপন করেন । সেখানে তিনি সন্তানের জন্ম দেন । নার্সিংহোম সূত্রে খবর, বাচ্চাটি সুস্থ আছে ।
এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে গতকাল ওই নার্সিংহোমে যায় । অন্যান্য রোগীদের ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । যুবতির নমুনা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ওই নার্সিংহোমের স্টাফদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছ, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে । কোনও রোগী ভরতি নেওয়া যাবে না । প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি প্রথমে ওই যুবতির শরীরে কোরোনার উপসর্গ পেয়েছিল, তবে কেন তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হল না ? তার আগেই কেন রোগীকে রেফার করে দেওয়া হল ।
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, “ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে । একজন প্রসূতি ওই নার্সিংহোমে ভরতি ছিলেন । যার সি-সেকশন ডেলিভারি হয়েছে । তাঁর সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনের(SARI) সমস্ত লক্ষণ রয়েছে । শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে । তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ওই রোগীর লালারস নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । ”