হলদিয়া, 16 সেপ্টেম্বর : ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll violence) ঘটনায় নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানকে (Sheikh Sufian) ডেকে পাঠাল সিবিআই (CBI) ৷ বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের এই দাপুটে তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ৷ যদিও গোটাটাই বিজেপি তথা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন শেখ সুফিয়ান ৷ তাঁর সাফ কথা, তিনি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সৈনিক ৷ তাই লড়াই করতে জানেন ৷ যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন শেখ সুফিয়ান ৷
আরও পড়ুন : Post Poll Violence : ভোট পরবর্তী হিংসায় এবার প্রভাবশালীদের নোটিস পাঠানোর পরিকল্পনা সিবিআইয়ের
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় সিপিটি গেস্ট হাউসে ডেকে পাঠানো হয় শেখ সুফিয়ানকে ৷ নির্দিষ্ট সময়ে এখানে পৌঁছেও যান তিনি ৷ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, যেহেতু আদালতের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই, তাই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে বেশি কিছু বলতে চান না তিনি ৷ তবে গোটা ঘটনায় তিনি যে রাজনৈতিক চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন, তা লুকিয়ে রাখেননি তৃণমূলের এই প্রভাবশালী নেতা ৷ তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে গোয়েন্দারা যে প্রশ্নই করুন না কেন, তিনি তার জবাব অবশ্যই দেবেন ৷
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয় চলতি বছরের 2 মে ৷ তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয় বলে অভিযোগ বিরোধীদের ৷ বিশেষত বিজেপির অভিযোগ, ভোটের পর বেছে বেছে তাদের কর্মী, সদস্যদের টার্গেট করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ বিজেপি কর্মীদের উপর লাগাতার হামলা করা হচ্ছে ৷ তাঁদের বাড়ি, ঘর লুঠ করা হচ্ছে ৷ প্রাণ ভয়ে ভিনরাজ্যে গিয়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে তাঁদের ৷ এমনকী, মহিলাদেরও লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে ৷ বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশেই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় যে গুরুতর অভিযোগগুলি রুজু হয়েছে, বা অভিযোগ উঠেছে, সেগুলির তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে ৷ সেই মোতাবেক, খুন, ধর্ষণের মতো অভিযোগগুলির তদন্ত শুরু করেন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷
আরও পড়ুন : Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসার তদন্তে দিনহাটায় বিজেপি কর্মী খুনে গ্রেফতার 7 তৃণমূল কর্মী
গত 3 মে নন্দীগ্রাম-1 ব্লকের চিল্লগ্রামের বাসিন্দা, বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির উপর হামলা করা হয় ৷ একইসঙ্গে, তাঁর দলীয় সহকর্মীদের বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় ৷ ঘটনায় গুরুতর জখম দেবব্রতকে প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতাল এবং সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ 13 মে মৃত্যু হয় দেবব্রত মাইতির ৷ সিবিআই সূত্রে খবর, দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনাতেই নাম জড়িয়েছে শেখ সুফিয়ানের ৷ সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই ৷