নন্দীগ্রাম,7 জানুয়ারি: প্রতি বছর আসতেন ভোরে । এবার এলেন মধ্যরাতে । তৃণমূল নেতাদের আগেই নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী ।
2007 সালের 7 জানুয়ারির পর থেকে প্রতি বছর ভোর পাঁচটা নাগাদ নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার শহিদ বেদিতে আসতেন শুভেন্দুবাবু । ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে পদযাত্রার মাধ্যমে শহিদদের এতদিন শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন তিনি । এবার ধরা পড়ল অন্য ছবি ।
এবার পরিস্থিতি আলাদা । তাই সকাল সকাল শহিদ মিনার ও বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তৃণমূল নেতারা । কিন্তু তার আগেই রাত 12টা নাগাদ সেখানে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী । অনেকে বলছেন, মধ্যরাতে সেখানে এসে শুভেন্দুবাবু যেন স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের থেকে তাঁকে কোনওভাবেই আলাদা করে রাখা যাবে না । দল বদলালেও কেউ যেন ভুলে না যান, নন্দীগ্রামে আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি ।
আরও পড়ুন : নন্দীগ্রামের মানুষ সঙ্গে আছেন, ভোটে প্রমাণ করে দেব : শুভেন্দু
2007 সালের 7 জানুয়ারি ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে যুক্ত ভরত মণ্ডল, শেখ সেলিম ও বিশ্বজিৎ মাইতিদের দেহ উদ্ধার হয় সোনাচূড়ার ভাঙাবেড়া সেতুর কাছ থেকে । দেহ উদ্ধারের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দুবাবু । আর ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি প্রতি বছরই নন্দীগ্রামে এই দিনটিতে তাঁদের স্মরণ করে । রাজনৈতিক রং পালটালেও রাতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন একাধিক শহিদ পরিবারের সদস্য সহ ভূমি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শতাধিক কর্মী ।
আরও পড়ুন : দিলীপের "নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে খাওয়ার" পালটা জবাব বৈশ্বানরের
শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর শুভেন্দুবাবু বলেন, "আমি ছিলাম ,আছি, থাকব । এখন সামনে নির্বাচন । তাই অনেকেই আসবে । ভোটের জন্য আসবে । তবে যাঁরাই শ্রদ্ধা জানাতে আসবে তাঁরা শ্রদ্ধা জানিয়ে যাক। তবে আমি এখানে কোনও দিনই রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আসিনি । অনেকেই বলেছিলেন, আমি নাকি শহিদ মিনারে ঢুকতেই পারব না । আমাদের রক্তচক্ষু দিয়ে রোখা যাবে না । শুভেন্দু অধিকারী ভয় পায় না ।"