তমলুক, 3 অক্টোবর : বর্ষা আসার আগে ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল মাসে প্রি-মনসুন কাজ হয়, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী কাজ করতে দেননি ৷ অভিযোগ করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ৷ রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের নোনাকুড়ি বাজারে বিদ্যাসাগর মূর্তির পাদদেশে বিজেপির উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় । এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি নবারুণ নায়েক-সহ অন্য বিজেপির কর্মকর্তারা । এখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন গত 30-40 বছর ধরে বর্ষা আসার আগে যে কাজ করা হয়, এ বছর সেই কাজ মুখ্যমন্ত্রী করেননি । তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এই বন্যার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী ৷ তিনি ভাতা দেওয়া আর ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ৷"
তিনি বলেন, ডিভিসি-র জল ছাড়ার জন্য নয়, প্লাবিত এলাকাগুলিতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে বন্যা হয়েছে । এর মধ্যে পটাশপুর, ভগবানপুর ও সবং এখনও জলের তলায় রয়েছে । এ প্রসঙ্গে তাঁর জমানার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, "আমি যখন চেয়ারম্যান ছিলাম, এই যে ব্লকে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের টাকায় সেচ দফতরকে দিয়ে মেচেদা খাল, বাপুর খাল, সোয়াদিঘি খাল, মির্জাপুর খাল আমি খনন করিয়ে দিয়েছিলাম ৷ নন্দকুমারের গঙ্গাখালি থেকে বাপুর খাল পর্যন্ত, যতগুলো খাল আছে, সব আমি উদ্যোগ নিয়ে করিয়েছিলাম ৷" তিনি আরও জানান, সেই সময় সরকারের টাকা ছিল না ৷ কর্পোরেট সোশ্যাল রেনপন্সিবিলিটিতে হলদিয়ার শিল্প সংস্থাগুলির টাকায় সেচ দফতরের মাধ্যমে কাজ হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবে রাজ্য, মোদিকে চিঠি লিখে অভিযোগও জানাবেন মমতা
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জোর দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, "ভবানীপুর উপনির্বাচনে নিজের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার বাঁচানোর জন্য 50 লক্ষ মানুষকে ভাসিয়েছেন তিনি ৷ এত বড় অপরাধ করেছেন ৷ ঈশ্বর তাঁকে মাফ করবেন না ৷" তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরা পাঠিয়ে দেখতে অনুরোধ করেন যে দুর্বল বাঁধগুলি ভেঙে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য 18-20 হাজার কোটি টাকা মাসে খরচ করতে হবে, তাই রাস্তাগুলোর মতো বাঁধগুলোর বেহাল অবস্থা ৷ অতিবর্ষণে দুর্বল বাঁধ ভেঙে গিয়েছে ৷ এর সঙ্গে ডিভিসি-র কোনও সম্পর্ক নেই ৷"