নন্দীগ্রাম, 14 জুলাই: ভোট সন্ত্রাসের উলটো চিত্র নন্দীগ্রামে ! পঞ্চায়েত ভোটে জয় পেতেই তৃণমূলের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল করার অপরাধে এক মহিলাকে গাছে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে ৷ যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
পঞ্চায়েত ভোটের পরও বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি খবর এসেছে ৷ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরাও ৷ হিংসা কবলিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসেছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল ৷ এর মাঝেই এবার বিজেপির বিরুদ্ধেই উঠল সন্ত্রাসের অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মনুচক এলাকায়। অভিযোগ, তৃণমূল করার অপরাধে এক মহিলাকে গাছে বেঁধে বেধরক মারধর করা হয় ৷ অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে।
অন্যদিকে, মহিলাকে মারধর করার বিষয়ে বিজেপি অবশ্য সব দায় এড়িয়ে গিয়েছে ৷ উলটে বিষয়টিকে পারিবারিক ঘটনা বলেও দাবি করেছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। এই ঘটনাকে সামনে রেখে বিজেপিকে আদতে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে ৷ অভিযোগ, নন্দীগ্রামে এবার বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি ভোটে জয়লাভ করার পরই এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছে ৷ তাদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর-সহ বিভিন্ন রকম অত্যাচার শুরু হয়েছে। এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, "আমি নন্দীগ্রামের বিধায়ক । শুধুমাত্র বিজেপির বিধায়ক নই । আমি সকলের বিধায়ক। সমস্ত জনগণের বিধায়ক আমি। এলাকায় এসব হতে দেব না। গাছে বেঁধে মারধর এগুলো ঠিক জিনিস নয়।"
একই সঙ্গে, বিরোধী দলনেতা জানান, এই ঘটনায় বিজেপির কোনও লোক যুক্ত থাকলে, তাহলে তাকে সতর্ক করা হবে । তিনি বলেন, "কথা যদি না শোনে কেউ বা যারা গন্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেব। এসব করতে দেওয়া যাবে না। তৃণমূলের মতো আমরা নই। প্রথমে সতর্ক করব। তারপর তার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করব। তারপর যাদের উপরে অত্যাচার চালাবে, তাকে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য পরামর্শ দেব।"
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর অসন্তষ্ট বিচারপতি অমৃতা সিনহা
নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করবে বিজেপি, এমন বার্তাও দিয়েছেন শুভেন্দু ৷ তিনি বলেন, "কোনও চিন্তা করার দরকার নেই। সেই চিন্তা আমার।" অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এখনও পর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।