ETV Bharat / state

হাতেগোনা ভক্ত, সমস্যায় তমলুকের বর্গভীমা মন্দির কর্তৃপক্ষ; মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের - হাতেগোনা ভক্তের সমাবেশ; সমস্যায় তমলুকের বর্গভীমা মন্দির কর্তৃপক্ষ, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

ভক্ত সমাবেশ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তমলুকের বর্গভীমা মন্দির কর্তৃপক্ষ ৷ চিন্তার ভাঁজ মন্দির সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের কপালেও ৷

বর্গভীমা মন্দির
বর্গভীমা মন্দির
author img

By

Published : Jun 24, 2020, 4:35 AM IST

Updated : Jun 25, 2020, 12:18 PM IST

তমলুক, 24 জুন: লকডাউনে দীর্ঘ তিন মাস ধরে ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম সতীপীঠ তমলুকের বর্গভীমা মন্দির । আনলক ওয়ানে সরকারি বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতেই 13 জুন ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দির । সংক্রমণ রুখতে স্যানিটাইজ়ার মেশিন থেকে শুরু করে সামাজিক দূরত্বের নিয়মবিধি মেনে একাধিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে মন্দির খুললেও, দেখা নেই ভক্তদের । আর তাতেই চরম সংকটে পড়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে পুরোহিত ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ।

তমলুকের বর্গভীমা মন্দির 51টি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম । পুরাণে বর্ণিত আছে, বিষ্ণু দেবের সুদর্শন চক্রে খণ্ডিত হয়েছিল সতীর দেহাংশ। আর সেই দেহাংশেরই বাম পায়ের গোঁড়ালি পড়েছিল অধুনা তমলুক তথা অতীতের তাম্রলিপ্ত শহরে । জেলা জুড়ে অনেক প্রাচীন মন্দির থাকলেও সেগুলি আজ কালের নিয়মে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে । কিন্তু যুগ যুগ ধরে দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে ভক্ত সমাদরের অভাব হয়নি । পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি জেলা থেকে আসা ভক্তদের সমাগমে প্রতিদিন গমগম করতে মন্দির চত্বর । কিন্তু মন্দিরের সেই পরিবেশ কেড়ে নিয়েছে কোরোনা ভাইরাস ৷ মাস তিনেক পর মন্দিরের দরজা খুললেও ভাইরাসের ভীতি ভক্তদের দূরেই রেখেছে ৷

বর্গভীমা মন্দির
বর্গভীমা মন্দির

মন্দিরে আসা লাখো ভক্তের দানের প্রণামী থেকে মন্দিরের সেবাইতদের সংসার চলে । শুধু তাই নয়, মন্দিরের উপর নির্ভর করেই সংসার চলে প্রায় 300টি মিষ্টি, শাড়ি, ফুল ও পুজোর উপকরণ সামগ্রীর ব্যবসায়ীদের । সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল । দেশে কোরোনা সংক্রমণ শুরু হতেই সরকারের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত ধর্মীয় পীঠস্থান । সেই সঙ্গে ভক্তদের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বর্গভীমা মায়ের মন্দিরের দরজাও । পরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই ফের লকডাউন শিথিল করে কেন্দ্রীয় সরকার । জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে 13 জুন খুলে যায় মায়ের মন্দির । কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে মন্দির চত্বরে দেখা যাচ্ছে না ভক্তদের । আগে যেখানে রোজ ভক্তদের সমাগমে তিল ধারণের জায়গা থাকত না, সেই মন্দির এখন খাঁ খাঁ করছে । মেরেকেটে রোজ জনা পঞ্চাশের বেশি ভক্তের দেখা মেলে না । এতে ভরছে না প্রণামী বাক্সও । লকডাউনের তিন মাস মন্দির কমিটির সঞ্চিত অর্থ দিয়ে পুজোপাঠ চালানো হয়েছে ৷ এখন সেই তহবিলেও টান পড়েছে । ভবিষ্যতে অর্থ সংকটে কীভাবে পুজোপাঠ চলবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মন্দির পরিচালন কমিটির সদস্যদের কপালে । অর্থ সংকটের কারণে ইতিমধ্যেই 14 জন ভোগ রান্নার পূজারির সংখ্যা কমিয়ে 7 জন করে দেওয়া হয়েছে । পুজোর কাজে নিয়োজিত সেবাইতদের দায়িত্বভারও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে । পুজোর জাঁকজমকও অনেক কমেছে । এদিকে মন্দির সংলগ্ন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরাও প্রতিদিন বেড়ে যাওয়া মিষ্টি ফেলে দিতে দিতে ক্লান্ত । কর্মীদের নিয়ে ভবিষ্যতে ব্যবসা কীভাবে চলবে সেই চিন্তাই ঘুরছে তাঁদের মনে । মায়ের কাছে এখন তাঁদের একটাই প্রার্থনা, খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হোক পরিস্থিতি ৷

তমলুকের বর্গভীমা মন্দির
তমলুকের বর্গভীমা মন্দির
বর্গভীমা মন্দিরের সেবাইত প্রণব চক্রবর্তীর কথায়, "আগে মন্দিরে প্রতিদিনই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটত । শনি, রবি ও মঙ্গলবার সেই সংখ্যাটা আরও বাড়ত । লকডাউনের পর মন্দির খুললেও দিনে কুড়ি থেকে ত্রিশ জনের বেশি ভক্তের সমাগম হচ্ছে না । ভক্তরা প্রণামী হিসেবে যা মায়ের কাছে দিয়ে যেতেন তাও আগের তুলনায় যৎসামান্য । সেই প্রণামীর টাকা থেকেই এতদিন মায়ের ভোগ দেওয়া হত ৷ এছাড়া আমাদের এবং মন্দিরের অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলেরই সংসার চলত । আমরাও আজ ভীষণ অর্থ সংকটে রয়েছি । সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছি । কিন্তু কিছু করার নেই ৷ তাই প্রতিদিন এখন মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি যাতে দ্রুত দেশ কোরোনামুক্ত হয় । আশা করি, মা আমাদের সেই প্রার্থনা শুনবেন ।" ভোগ রান্নার কাজে যুক্ত থাকা কর্মী মন্টু ভুঁইঞা বলেন, "সংসার আর চলছে না । কর্মী সংখ্যা অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে । ভবিষ্যতে কীভাবে চলবে তা বুঝতে পারছি না ।" মিষ্টি ব্যবসায়ী শুভ অধিকারী বলেছেন, "প্রতিদিনই বিক্রির জন্য প্রসাদ তৈরি করি । ভক্তের সমাগম না হওয়ায় হাজার হাজার টাকার প্রসাদ প্রতিদিনই ফেলে দিতে হচ্ছে । ব্যবসায় প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ।"
খাঁ খাঁ করছে মন্দির চত্বর
খাঁ খাঁ করছে মন্দির চত্বর
গড়ে প্রতিমাসে মন্দিরের খরচ এক লাখ টাকা ৷ এই বিপুল পরিমাণ খরচ জোগাতে হিমসিম খাচ্ছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ ৷ মন্দির কমিটির সম্পাদক শিবাজি অধিকারীর কথায়, "মাকে ভোগ দেওয়ার খরচ প্রচুর । গড়ে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা খরচ হয় । তিন মাস মন্দির কমিটির তহবিল থেকেই তিন লাখ টাকা খরচ করে মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয়েছে । কিন্তু এখন আর তেমনভাবে পেরে উঠছি না । কতদিন এই পরিস্থিতি চলবে তাও জানা নেই । স্যানিটাইজ়িং টানেল থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবস্থাপনায় বহু টাকা খরচ হয়েছে । কিন্তু ভক্ত না আসায় কোনও আয় নেই । দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কীভাবে মন্দিরে পুজো চলবে তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি ।"
ভক্ত সমাবেশ না হওয়ায় বিপাকে তমলুকের বর্গভীমা মন্দির কর্তৃপক্ষ

তমলুক, 24 জুন: লকডাউনে দীর্ঘ তিন মাস ধরে ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম সতীপীঠ তমলুকের বর্গভীমা মন্দির । আনলক ওয়ানে সরকারি বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতেই 13 জুন ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দির । সংক্রমণ রুখতে স্যানিটাইজ়ার মেশিন থেকে শুরু করে সামাজিক দূরত্বের নিয়মবিধি মেনে একাধিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে মন্দির খুললেও, দেখা নেই ভক্তদের । আর তাতেই চরম সংকটে পড়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে পুরোহিত ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ।

তমলুকের বর্গভীমা মন্দির 51টি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম । পুরাণে বর্ণিত আছে, বিষ্ণু দেবের সুদর্শন চক্রে খণ্ডিত হয়েছিল সতীর দেহাংশ। আর সেই দেহাংশেরই বাম পায়ের গোঁড়ালি পড়েছিল অধুনা তমলুক তথা অতীতের তাম্রলিপ্ত শহরে । জেলা জুড়ে অনেক প্রাচীন মন্দির থাকলেও সেগুলি আজ কালের নিয়মে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে । কিন্তু যুগ যুগ ধরে দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে ভক্ত সমাদরের অভাব হয়নি । পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি জেলা থেকে আসা ভক্তদের সমাগমে প্রতিদিন গমগম করতে মন্দির চত্বর । কিন্তু মন্দিরের সেই পরিবেশ কেড়ে নিয়েছে কোরোনা ভাইরাস ৷ মাস তিনেক পর মন্দিরের দরজা খুললেও ভাইরাসের ভীতি ভক্তদের দূরেই রেখেছে ৷

বর্গভীমা মন্দির
বর্গভীমা মন্দির

মন্দিরে আসা লাখো ভক্তের দানের প্রণামী থেকে মন্দিরের সেবাইতদের সংসার চলে । শুধু তাই নয়, মন্দিরের উপর নির্ভর করেই সংসার চলে প্রায় 300টি মিষ্টি, শাড়ি, ফুল ও পুজোর উপকরণ সামগ্রীর ব্যবসায়ীদের । সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল । দেশে কোরোনা সংক্রমণ শুরু হতেই সরকারের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত ধর্মীয় পীঠস্থান । সেই সঙ্গে ভক্তদের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বর্গভীমা মায়ের মন্দিরের দরজাও । পরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই ফের লকডাউন শিথিল করে কেন্দ্রীয় সরকার । জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে 13 জুন খুলে যায় মায়ের মন্দির । কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে মন্দির চত্বরে দেখা যাচ্ছে না ভক্তদের । আগে যেখানে রোজ ভক্তদের সমাগমে তিল ধারণের জায়গা থাকত না, সেই মন্দির এখন খাঁ খাঁ করছে । মেরেকেটে রোজ জনা পঞ্চাশের বেশি ভক্তের দেখা মেলে না । এতে ভরছে না প্রণামী বাক্সও । লকডাউনের তিন মাস মন্দির কমিটির সঞ্চিত অর্থ দিয়ে পুজোপাঠ চালানো হয়েছে ৷ এখন সেই তহবিলেও টান পড়েছে । ভবিষ্যতে অর্থ সংকটে কীভাবে পুজোপাঠ চলবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মন্দির পরিচালন কমিটির সদস্যদের কপালে । অর্থ সংকটের কারণে ইতিমধ্যেই 14 জন ভোগ রান্নার পূজারির সংখ্যা কমিয়ে 7 জন করে দেওয়া হয়েছে । পুজোর কাজে নিয়োজিত সেবাইতদের দায়িত্বভারও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে । পুজোর জাঁকজমকও অনেক কমেছে । এদিকে মন্দির সংলগ্ন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরাও প্রতিদিন বেড়ে যাওয়া মিষ্টি ফেলে দিতে দিতে ক্লান্ত । কর্মীদের নিয়ে ভবিষ্যতে ব্যবসা কীভাবে চলবে সেই চিন্তাই ঘুরছে তাঁদের মনে । মায়ের কাছে এখন তাঁদের একটাই প্রার্থনা, খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হোক পরিস্থিতি ৷

তমলুকের বর্গভীমা মন্দির
তমলুকের বর্গভীমা মন্দির
বর্গভীমা মন্দিরের সেবাইত প্রণব চক্রবর্তীর কথায়, "আগে মন্দিরে প্রতিদিনই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটত । শনি, রবি ও মঙ্গলবার সেই সংখ্যাটা আরও বাড়ত । লকডাউনের পর মন্দির খুললেও দিনে কুড়ি থেকে ত্রিশ জনের বেশি ভক্তের সমাগম হচ্ছে না । ভক্তরা প্রণামী হিসেবে যা মায়ের কাছে দিয়ে যেতেন তাও আগের তুলনায় যৎসামান্য । সেই প্রণামীর টাকা থেকেই এতদিন মায়ের ভোগ দেওয়া হত ৷ এছাড়া আমাদের এবং মন্দিরের অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলেরই সংসার চলত । আমরাও আজ ভীষণ অর্থ সংকটে রয়েছি । সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছি । কিন্তু কিছু করার নেই ৷ তাই প্রতিদিন এখন মায়ের কাছে প্রার্থনা করছি যাতে দ্রুত দেশ কোরোনামুক্ত হয় । আশা করি, মা আমাদের সেই প্রার্থনা শুনবেন ।" ভোগ রান্নার কাজে যুক্ত থাকা কর্মী মন্টু ভুঁইঞা বলেন, "সংসার আর চলছে না । কর্মী সংখ্যা অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে । ভবিষ্যতে কীভাবে চলবে তা বুঝতে পারছি না ।" মিষ্টি ব্যবসায়ী শুভ অধিকারী বলেছেন, "প্রতিদিনই বিক্রির জন্য প্রসাদ তৈরি করি । ভক্তের সমাগম না হওয়ায় হাজার হাজার টাকার প্রসাদ প্রতিদিনই ফেলে দিতে হচ্ছে । ব্যবসায় প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ।"
খাঁ খাঁ করছে মন্দির চত্বর
খাঁ খাঁ করছে মন্দির চত্বর
গড়ে প্রতিমাসে মন্দিরের খরচ এক লাখ টাকা ৷ এই বিপুল পরিমাণ খরচ জোগাতে হিমসিম খাচ্ছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ ৷ মন্দির কমিটির সম্পাদক শিবাজি অধিকারীর কথায়, "মাকে ভোগ দেওয়ার খরচ প্রচুর । গড়ে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা খরচ হয় । তিন মাস মন্দির কমিটির তহবিল থেকেই তিন লাখ টাকা খরচ করে মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয়েছে । কিন্তু এখন আর তেমনভাবে পেরে উঠছি না । কতদিন এই পরিস্থিতি চলবে তাও জানা নেই । স্যানিটাইজ়িং টানেল থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবস্থাপনায় বহু টাকা খরচ হয়েছে । কিন্তু ভক্ত না আসায় কোনও আয় নেই । দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কীভাবে মন্দিরে পুজো চলবে তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি ।"
ভক্ত সমাবেশ না হওয়ায় বিপাকে তমলুকের বর্গভীমা মন্দির কর্তৃপক্ষ
Last Updated : Jun 25, 2020, 12:18 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.