ETV Bharat / state

অনলাইন মার্কেটিং সংস্থার বিরুদ্ধে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ

রোজ 1 ঘণ্টা মোবাইল ফোনে বিজ্ঞাপন দেখলেই মাসের শেষে টাকা রোজগারের দিশা দেখিয়েছিল একটি অনলাইন মার্কেটিং সংস্থা । সঙ্গে ছিল গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণের মতো লোভনীয় প্রলোভন । আর এই সুযোগ পাওয়ার জন্য আগে থেকে জমা করতে হচ্ছিল মোটা অঙ্কের টাকা । আরও 4 জনকে কাজে যুক্ত করতে পারলে নিজের টাকা সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল সংস্থার পক্ষ থেকে ।

বিক্ষোভ আমানতকারীদের
author img

By

Published : Aug 6, 2019, 8:11 PM IST

চণ্ডীপুর, ৬ অগাস্ট : একটি অনলাইন মার্কেটিং সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ । ওই সংস্থার প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ কয়েকশো আমানতকারীর । পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের ঘটনা । আজ সকালে চণ্ডীপুরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া সংস্থার কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান আমানতকারীরা । তাঁদের অভিযোগ, ছয় মাস ধরে সংস্থার কাছ থেকে কমিশনের কোনও টাকা পাননি তাঁরা । কখনও অডিট, আবার কখনও সিস্টেম আপগ্রেডেশনের নামে টাকা না দেওয়ার টালবাহানা চলছে । ঘটনায় সংস্থার প্রধান বিকাশ দলপতি ও মধুমিতা দলপতিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আমানতকারীরা ।

জানা গেছে, রোজ 1 ঘণ্টা মোবাইল ফোনে বিজ্ঞাপন দেখলেই মাসের শেষে টাকা রোজগারের দিশা দেখিয়েছিল ওই সংস্থা । সঙ্গে ছিল গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণের মতো লোভনীয় প্রলোভন । আর এই সুযোগ পাওয়ার জন্য আগে থেকে জমা করতে হচ্ছিল মোটা অঙ্কের টাকা । আরও 4 জনকে কাজে যুক্ত করতে পারলে নিজের টাকা সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল সংস্থার পক্ষ থেকে । সেই নিয়মেই নতুন সদস্যদের কাজে যুক্ত করতেন আমানতকারীরা । কিন্তু সংস্থার তরফে কমিশনের টাকা না পাওয়ায় বিপদে পড়েন তাঁরা । তাই টাকার দাবিতে আজ বিক্ষোভ দেখান আমানতকারীরা ।

এই সংস্থার কায়দা-কৌশল সবই চিটফান্ড সংস্থার মতো । কিন্তু এই চিটফান্ডের সীমাবদ্ধতা পুরোপুরি ভার্চুয়াল দুনিয়ায় । এজেন্সি নেওয়ার জন্য 6 হাজার, 12 হাজার ও 29 হাজার টাকার তিনটি প্যাকেজ ছিল । এই সংস্থার নামে আগেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে । খুব অল্প দিনেই বাংলা ছাড়িয়ে প্রতিবেশী রাজ্যেও ব্যবসা শুরু করেছিল এই সংস্থা । বাংলাতে সংস্থার সদস্য সংখ্যা 8 লাখ । আর এই সদস্যদের কাছ থেকে 960 কোটি টাকা লুট করেছে তারা । কিছুদিন আগেই সংস্থার এক পান্ডা সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল খড়গপুর থানার পুলিশ । অন্যদিকে, বিকাশ কুমার দলপতি ও মধুমিতা দলপতির নামে আগে থেকেই রয়েছে কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ । তাই অমিত কুমার ভুঁইঞা নামে এক ব্যক্তির নামে খোলা হয়েছিল ওই সংস্থা । কয়েকজনকে কো-ফাউন্ডার বানিয়ে শুরু করেছিল জালিয়াতির ব্যবসা ।

আমানতকারী অনুপ কুমার দাস বলেন, "সংস্থার প্রধানের কথা মতো মার্কেট থেকে টাকা তুলে আমরা পুরো ফেঁসে গেছি । প্রায় এক কোটি টাকা আটকে রয়েছে আমার । ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসে নতুন সদস্যদের জয়েন করানো হয়েছে । অথচ সেই টাকা আমরা এখনও পাইনি । চণ্ডীপুর থানায় বিকাশ দলপতি ও মধুমিতা দলপতি সহ অন্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছি । আমরা চাই সরকার অবিলম্বে টাকাগুলিকে উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারী ও সাধারণ মানুষকে ফিরিয়ে দিক ।"

চণ্ডীপুর থানার OC ইমরান মোল্লা বলেন, "ইতিমধ্যেই এই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে আমরাও খোঁজ খবর চালাচ্ছি ।"

চণ্ডীপুর, ৬ অগাস্ট : একটি অনলাইন মার্কেটিং সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ । ওই সংস্থার প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ কয়েকশো আমানতকারীর । পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের ঘটনা । আজ সকালে চণ্ডীপুরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া সংস্থার কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান আমানতকারীরা । তাঁদের অভিযোগ, ছয় মাস ধরে সংস্থার কাছ থেকে কমিশনের কোনও টাকা পাননি তাঁরা । কখনও অডিট, আবার কখনও সিস্টেম আপগ্রেডেশনের নামে টাকা না দেওয়ার টালবাহানা চলছে । ঘটনায় সংস্থার প্রধান বিকাশ দলপতি ও মধুমিতা দলপতিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আমানতকারীরা ।

জানা গেছে, রোজ 1 ঘণ্টা মোবাইল ফোনে বিজ্ঞাপন দেখলেই মাসের শেষে টাকা রোজগারের দিশা দেখিয়েছিল ওই সংস্থা । সঙ্গে ছিল গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণের মতো লোভনীয় প্রলোভন । আর এই সুযোগ পাওয়ার জন্য আগে থেকে জমা করতে হচ্ছিল মোটা অঙ্কের টাকা । আরও 4 জনকে কাজে যুক্ত করতে পারলে নিজের টাকা সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল সংস্থার পক্ষ থেকে । সেই নিয়মেই নতুন সদস্যদের কাজে যুক্ত করতেন আমানতকারীরা । কিন্তু সংস্থার তরফে কমিশনের টাকা না পাওয়ায় বিপদে পড়েন তাঁরা । তাই টাকার দাবিতে আজ বিক্ষোভ দেখান আমানতকারীরা ।

এই সংস্থার কায়দা-কৌশল সবই চিটফান্ড সংস্থার মতো । কিন্তু এই চিটফান্ডের সীমাবদ্ধতা পুরোপুরি ভার্চুয়াল দুনিয়ায় । এজেন্সি নেওয়ার জন্য 6 হাজার, 12 হাজার ও 29 হাজার টাকার তিনটি প্যাকেজ ছিল । এই সংস্থার নামে আগেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে । খুব অল্প দিনেই বাংলা ছাড়িয়ে প্রতিবেশী রাজ্যেও ব্যবসা শুরু করেছিল এই সংস্থা । বাংলাতে সংস্থার সদস্য সংখ্যা 8 লাখ । আর এই সদস্যদের কাছ থেকে 960 কোটি টাকা লুট করেছে তারা । কিছুদিন আগেই সংস্থার এক পান্ডা সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল খড়গপুর থানার পুলিশ । অন্যদিকে, বিকাশ কুমার দলপতি ও মধুমিতা দলপতির নামে আগে থেকেই রয়েছে কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ । তাই অমিত কুমার ভুঁইঞা নামে এক ব্যক্তির নামে খোলা হয়েছিল ওই সংস্থা । কয়েকজনকে কো-ফাউন্ডার বানিয়ে শুরু করেছিল জালিয়াতির ব্যবসা ।

আমানতকারী অনুপ কুমার দাস বলেন, "সংস্থার প্রধানের কথা মতো মার্কেট থেকে টাকা তুলে আমরা পুরো ফেঁসে গেছি । প্রায় এক কোটি টাকা আটকে রয়েছে আমার । ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসে নতুন সদস্যদের জয়েন করানো হয়েছে । অথচ সেই টাকা আমরা এখনও পাইনি । চণ্ডীপুর থানায় বিকাশ দলপতি ও মধুমিতা দলপতি সহ অন্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছি । আমরা চাই সরকার অবিলম্বে টাকাগুলিকে উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারী ও সাধারণ মানুষকে ফিরিয়ে দিক ।"

চণ্ডীপুর থানার OC ইমরান মোল্লা বলেন, "ইতিমধ্যেই এই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে আমরাও খোঁজ খবর চালাচ্ছি ।"

Intro:চন্ডিপুর,৬ আগস্ট: অনলাইন মার্কেটিং এর আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে জি-নেটের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালো কয়েকশো আমানতকারী। মঙ্গলবার সকালে চন্ডিপুরের বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া সংস্থার কার্যালয় অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। প্রতারিতদের অভিযোগ গত ছয় মাস ধরে কমিশনের টাকা পাননি তারা। কখনো অডিট কখনো সিস্টেম আপগ্ৰেডেশন নামে চলছে টালবাহানা। এই পরিস্থিতিতে নতুন জয়েন করা সদস্যদের চাপে নাজেহাল ওপরে থাকা সদস্যরা। কেউ কেউ বাড়িতে থাকতে পারছেন না ফলে চাপ বাড়ছে। অনেকেই আত্মীয় স্বজনের মধ্যে সদস্য করেছিলেন সেখানে ও পারিবারিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই আজ টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে ঘেরাও বিক্ষোভে সামিল হন সংস্থার কয়েকশো প্রতারিত আমানতকারী। বিক্ষোভ শেষে সংস্থার দুই মাথা বিকাশ দলপতি ও মধুমিতা দলপতিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় অভিযোগ জানান তারা।Body:জানা গেছে ,রোজ ১ ঘন্টা মুঠোফোনে বিজ্ঞাপন দেখলেই মাসের শেষে মোটা টাকা রোজগারের দিশা।সঙ্গে ছিল গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণের মতো লোভনীয় প্রলোভন।আর এ সুযোগ ভোগের জন্য আগেই এজেন্সি পেতে জমা করতে হচ্ছিল মোটা অঙ্কের টাকা।কাজে যুক্ত হওয়ার আরও ৪ জনকে একই নিয়মে যুক্ত করে দিলেই সম্পূর্ণ ফেরত মিলত নিজের টাকা।



আমানত সংগ্রহের কায়দা-কৌশল সবটাই হুবহু আগের সব চিটফান্ড সংস্থার মতোই।কিন্তু এই চিটফান্ডের সীমাবদ্ধতা ছিল পুরোপুরি ভার্চুয়াল দুনিয়ায়।আর তাতেই লুঠ হয়েছে হাজার কোটি।এমনই দাবি আগেই করেছিল পুলিশ।যার কবলে পড়ে এখন সর্বস্বান্ত বহু মানুষ।অন্যান্য চিটফান্ডের মতো মানিলেনডিং পদ্ধতিতে নাহেঁটে ট্যুর এন্ড ট্রাভেল প্যাকেজের মাধ্যমে জি-নেট এ্যাড ওয়ার্ল্ড, জি-নেট সলিউশন, জি-নেট ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস ইত্যাদি নামেই চলত এই লুটের ব্যবসা।এজেন্সি নেওয়ার জন্য ২৯, ১২ এবং ৬হাজার টাকার তিনটি প্যাকেজ ছিল।অনলাইনে মার্কেটিংয়ের এই জালিয়াতি সংস্থা জি-নেটের নামে এর আগেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে।পূর্ব মেদিনীপুর চন্ডিপুর থেকে জন্ম হওয়া এই সংস্থা খুব অল্পদিনেই শেকড় বিস্তার করে ফেলেছিল বাংলা ছাড়িয়ে প্রতিবেশী কয়েকটি রাজ্যেও।ইদানিং বাংলাদেশেও পা রেখেছিল জি-নেট।সূত্রের খবর,গোটা বাংলাতেই জি নেটের সদস্য সংখ্যা ৮লক্ষ।আর সদস্য সংখ্যার হিসেবে বাজার থেকে ৯৬০কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সংস্থা। কিছুদিন আগেই এই জি-নেটের ১পান্ডা সহ ২জনকে গ্রেপ্তার করেছিল খড়্গপুর থানার পুলিশ।

তবে এই জি-নেট প্রতারণা চক্রের আড়ালে থাকা আসল মাথা হচ্ছে চন্ডিপুরের এক দম্পতি।নাম বিকাশ কুমার দলপতি এবং মধুমিতা দলপতি।আগে অজস্র জালিয়াতি করে কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কালো তালিকা ভুক্ত হয়ে যাওয়ায় কারণেই আড়ালে থেকে বিকাশ তার স্ত্রী মধুমিতা দলপতি এবং ঘনিষ্ঠ অমিত কুমার ভুঁইয়া নামের এক ব্যক্তির নামে খুলে ছিল জি-নেট সংস্থা।বেশ কজনকে কো-ফাউণ্ডর বানিয়ে এই জালিয়াতি ব্যবসা চালাচ্ছিল তারা।সাধারণ মানু্ষের কোটি কোটি টাকা লুটে বর্তমানে কোটিপতি বিকাশ, মধুমিতারা।Conclusion:এদিন বিক্ষোভকারী এক আমানতকারী অনুপ কুমার দাস জানান, ওনাদের কথা মত মার্কেট থেকে টাকা তুলে আমরা পুরো ফেঁসে গেছি। প্রায় এক কোটি টাকা সংস্থায় আমার আটকে রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে ও জয়েন করানো হয়েছে অথচ তার টাকা আমরা পাইনি। চন্ডিপুর থানায় বিকাশ দলপতি ও মধুমিতা দলপতি সহ অন্যান্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছি ।আমরা চাই সরকার অবিলম্বে টাকাগুলি কে উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারী ও সাধারন মানুষদের ফিরিয়ে দিক।


চন্ডিপুর থানার ওসি ইমরান মোল্লা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরাও খোঁজ খবর চালাচ্ছি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.