তমলুক, 11 সেপ্টেম্বর : যুবতিকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ তমলুকের কুলবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা ৷ মৃতের নাম প্রিয়াঙ্কা কান্ডারি সরকার (28) ৷ তাঁর স্বামীর নাম বিমান সরকার । ঘটনার পর বিমানকে আটক করে পুলিশ ৷
প্রিয়াঙ্কা পেশায় আইনজীবী ৷ তিনি তমলুক আদালতে কর্মরত ছিলেন ৷ তাঁর স্বামী বিমান পদমপুর দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী ৷ তাঁরা দু'জনই মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানা এলাকার বাসিন্দা । দশ মাস আগে কর্মসূত্রে তমলুকে আসেন ৷ এখানে কুলবেড়িয়া গ্রামে সুবোধচন্দ্র শেঠের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন । প্রতিদিনই বিভিন্ন কারণে বিমানের সঙ্গে অশান্তি লেগে থাকত তাঁর । কয়েকদিন আগেও দু'জনের মধ্যে ঝামেলা হয় ৷ পরে মিটমাট করেন বাড়ির মালিক সুবোধবাবু ৷ আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঘরের মধ্যে একটি বিকট শব্দ শুনতে পান তিনি । এরপরই বিমান ও প্রিয়াঙ্কাকে ডাকাডাকি শুরু করেন ৷ সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজায় ধাক্কাও দেন ৷ খানিকক্ষণ পর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে প্রিয়াঙ্কার আত্মহত্যার খবর দেন বিমান ।
স্থানীয় বাসিন্দা নীলুপ্রসাদ পাড়ুই বলেন, "আমরা ক্লাবে ছিলাম সে সময় বাড়ি মালিক আমাদের বিষয়টি জানান । ছুটে এসে জানলা দিয়ে দেখি মৃতদেহ নিচে পড়ে রয়েছে । আমাদের অনুমান প্রিয়াঙ্কাকে তাঁর স্বামীই খুনই করেছে । আমরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই ।"
খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় তমলুক থানার পুলিশ ৷ তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ৷ ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে ৷ তাতে লেখা রয়েছে, "আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয় ৷" তবে সেটি আদৌ প্রিয়াঙ্কার হাতের লেখা কি না তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ তমলুক থানার OC কৃষ্ণেন্দু প্রধান বলেন, "দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । বিমানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।"