দাসপুর, 1 জুন : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার খুকুড়দহ এলাকায় খালের সংস্কারের কাজ শুরু হতেই পাড়ে গড়ে ওঠা দোকানঘর ভাঙা পড়তে শুরু করেছে । দোকানদার ও দুর্বাচটি খাল সংস্কারকারী সংস্থার মধ্যে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে এই নিয়ে । অভিযোগ, অবৈজ্ঞানিক ভাবে খাল সংস্কারের জন্য এই দুর্গতি ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রশাসন ।
খাল সংস্কারের কাজ শুরু হতে না হতেই বড়সড় ফাটল ধরে খাদের দিকে হেলে পড়ে খালের পাড়ে থাকা সারি সারি দোকানঘর । অভিযোগ, প্রশাসনের খাল সংস্কার পদ্ধতি নিয়ে । এই ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার খুকুড়দহ এলাকায় ঘটেছে ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের দক্ষিণ সীমানা বরাবর শুরু হয়েছে দুর্বাচটি খাল সংস্কারের কাজ । প্রথম থেকেই খাল সংস্কারের পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের । চলতি সপ্তাহে হঠাৎ করেই দেখা যায় খুকুড়দহের কালীবাজার চত্বরের দুর্বাচটি খালের পাড়ে থাকা সারি সারি দোকানঘর ক্রমশ হেলে পড়ছে খালের দিকে ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায় । আতঙ্কগ্রস্ত ওই সমস্ত দোকানগুলির মালিকরা তড়িঘড়ি জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেন । ঘটনাস্থলে দাসপুর থানার পুলিশ এলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা । তাঁদের অভিযোগ, দুর্বাচটি খাল সংস্কারকারী সংস্থা ও প্রশাসনের ভুল কাজের মাসুল তাঁদের কেন গুনতে হবে ?
এক বিক্ষোভকারী অমর সাঁতারা বলেন, ‘‘এই দোকানঘরই আমাদের রুজিরুটির একমাত্র সম্বল । এটাও চলে গেলে না খেয়ে মরতে হবে ।’’ খাল সংস্কার করতে গিয়ে বাজারের 61 টি দোকানঘরে বড় বড় ফাটল নিয়ে খালে পড়ে যাবার অবস্থা তৈরি হয়েছে । যদিও এই বিষয়ে প্রসাশনের তরফে কোনও সাড়াই মিলছে না । বিক্ষোভকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, যদি এই সমস্যার সমাধানে প্রশাসন উদ্যোগী হয়, তাহলে শীঘ্রই তাঁরা বৃহৎ আন্দোলনে যাবেন ।
যদিও ঘাটাল মহকুমার সেচ ও জলপথ বিভাগের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সুমিত দাস বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই সংস্কারের কাজ চলছে । যে সমস্ত ব্যক্তিরা ওই দোকানগুলি করেছিলেন, তাঁদের অনেকে আগেই সরে যাওয়ার কথা জানানো হয় ।’’
আরও পড়ুন : মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারি-যন্ত্রাংশ চুরিকাণ্ডে গ্রেফতার 4 মহিলা
প্রসঙ্গত, প্রশাসনের তরফে এমনও দাবি করা হয় যে অনৈতিক দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা । কারণ, এই খালের পাড়ে বেশকিছু দোকান সেচ বিভাগের জায়গাতেই দখল করে গজিয়ে উঠেছিল ।