শংকরপুর, 20 জুলাই : শংকরপুরে হোটেলের আড়ালে চলছিল দেহব্যবসা ৷ খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ ৷ গ্রেপ্তার করা হয় হোটেল মালিক সহ পাঁচজনকে ৷ উদ্ধার করা হয়েছে চার নাবালিকাকে ৷
আজ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তিনটি থানার পুলিশের সহযোগিতায় শংকরপুরের ওই হোটেলে অভিযান চালায় ৷ অভিযোগ, রাজ্য ও ভিনরাজ্যের নাবালিকাদের দিয়ে দীর্ঘদিন ওই হোটেলে চলত দেহব্যবসা ৷ এমনকী, দেহ ব্যবসায় আপত্তি জানালে নাবালিকাদের উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলে নাবালিকাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে রাখা হত । তারপর এজেন্ট মারফত তাজপুর, মন্দারমণি ও দিঘার বিভিন্ন হোটেলে দেহব্যবসার জন্য তাদের পাঠানো হত ৷ কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) রাজনারায়ণ মুখার্জি বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ৷ ধৃতদের আজ কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাদের জেলা হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷
হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া চার নাবালিকা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবার ও নামখানা এলাকার বাসিন্দা । ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন ৷ সে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা । অপর চার ধৃত হল হোটেলের মালিক শম্ভু কুন্ডু, তার ছেলে মানব কুন্ডু, হোটেল কর্মী সাইফুল মোল্লা ও টোটো চালক মানস চন্দ ৷ এরা প্রত্যেকেই রামনগর ও শঙ্করপুর এলাকার বাসিন্দা ৷ ধৃত টোটো চালক মানস চন্দ নাবালিকাদের বিভিন্ন হোটেলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করত বলে পুলিশ সূত্রে খবর ৷