পাঁশকুড়া ,২১ ফেব্রুয়ারি : ছেলেধরা সন্দেহে পূর্ব মেদিনীপুরে মারধরের ঘটনা অব্যাহত। তমলুকের খারুই ও চনশ্বরপুরের পর পাঁশকুড়ায় ছেলেধরা সন্দেহে দুই যুবককে মারধরের অভিযোগ। গতকাল বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। দুই যুবকের নাম নিশিকান্ত দাস ও অভিষেক দত্ত। তাঁদের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের রাধামোহনপুর এলাকায়। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ দুই যুবককে উদ্ধার করে থানায় আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিশিকান্ত ও অভিষেকের বন্ধু রজত চক্রবর্তী কাজের সূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের খুকুড়দহ এলাকায়। রজতের বোন এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। পাঁশকুড়ার ব্রাডলিবার্ট হাইস্কুলে তার পরীক্ষা পড়েছিল। বন্ধুর বোনের সঙ্গে দেখা করে পরীক্ষার বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য গতকাল দুপুরে নিশিকান্ত ও অভিষেক পাঁশকুড়া স্টেশনে আসে। এরপর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নারাণদা এলাকা দিয়ে হেঁটে তারা ব্রাডলিবার্ট হাইস্কুলের দিকে যাচ্ছিল। অভিযোগ, ওই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ছেলেধরা সন্দেহে আটক করে। নানা প্রশ্নে ওই দুই যুবক হকচকিয়ে যায়। এরপর তাঁরা অসংলগ্ন উত্তর দিতে শুরু করায় মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
পাঁশকুড়া থানার oc অজিত ঝাঁ বলেন, "ছেলেধরা সন্দেহে দুই যুবককে পাঁশকুড়া শহরের নারাণদা এলাকায় আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে। ওই দুই যুবকের চোট মারাত্মক নয়। তাঁদের বাড়ি পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।" নিশিকান্ত বলেন, "আমার বন্ধু রজতের মা নেই। ওর বোনকে আমরা নিজের বোনের চোখেই দেখি। বন্ধুর কথাতেই বোনের পরীক্ষার খোঁজ নিতেই আমরা পাঁশকুড়ায় এসেছিলাম। কিন্তু, এই ঘটনা ঘটবে স্বপ্নেও ভাবিনি।"
গতকাল সকালে তমলুকের মৈশালি এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে দুই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় আনে। মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলেই পুলিশের দাবি।