এগরা, 6 জুলাই: 8 জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ বৃহস্পতিবার ছিল ভোট প্রচারের শেষ দিন ৷ তবে মনোনয়ন পেশের শুরু ও শেষ যেমন হয়েছিল অশান্তি দিয়ে, তেমনি ভোট প্রচারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি ৷ ভোট প্রচারের শেষদিনে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে অশান্ত হয়ে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা এক নম্বর ব্লকের হরিচক গ্রাম। এদিন দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন 13 জন। আহতদের চিকিৎসার জন্য এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে এগরা থানার পুলিশের পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা হয়েছে ৷ পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও বাহিনী এলাকায় যায় ৷ ঘটনায় আহত দু'পক্ষের বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
বিজেপি নেতা অরূপ দাস অভিযোগ করে বলেন, "ওই এলাকায় তৃণমূল, বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে এবং আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মীর মাথা ফাটিয়েছে । তাঁরা প্রত্যেকে এই মুহূর্তে এগরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সংখ্যালঘু ভাইয়েরা তৃণমূল থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগদান করছে ৷ সেই কারণেই বিজেপি কর্মীদের উপরে আক্রমণ করা হচ্ছে। হাতে মাত্র আর দু'দিন সময় রয়েছে ৷ তৃণমূলের লোকজন বুঝে গিয়েছে, মানুষ কোন দিকে যেতে চাইছে ৷ তাই বেছে বেছে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে শাসক শিবির।"
অপরদিকে তৃণমূল নেতা শান্তনু নায়ক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তিনি বলেন, "বিজেপি নেতাকর্মীরা আমাদের লোকজনের উপরে যেভাবে অত্যাচার চালিয়েছে তার হিসাব আমরা বুঝে নেব।" তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, "যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, পুলিশ প্রশাসন যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা নিজেরাই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিজেপি কর্মীদেরকে অ্যারেস্ট না করলে আমরা ব্যবস্থা করে নেব ৷"
আরও পড়ুন: ভোটের ফল ঘোষণার পরও 10 দিন বহাল থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের
ঘটনায় এগরা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়ে বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশি টহলদারি রয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় যাতে পুনরায় কোনও আপত্তিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।