ETV Bharat / state

কন্যাসন্তানকে বিক্রির প্রতিবাদ করায় যুবতিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ - khondoghosh

পরপর তিনবারই জন্ম কন্যাসন্তানের। শ্বশুরবাড়ির তরফে ছ'মাসের এক কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর এর প্রতিবাদ করাতেই ওই যুবতিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Mar 11, 2019, 1:10 AM IST

খণ্ডঘোষ, ১১ মার্চ : পরপর তিনবারই জন্ম দিয়েছিলেন কন্যাসন্তানের। তাই শ্বশুরবাড়ির তরফে নাকি তাঁর ছ'মাসের এক কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর এর প্রতিবাদ করাতেই ওই যুবতিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের।

মৃত যুবতির নাম মাধবী রুইদাস। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের লোধনা এলাকায়। অভিযোগ, পরপর তিন কন্যাসন্তান হওয়ায় একজনকে বিক্রি করে দেয় মাধবীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপরই শুরু হয় অশান্তি। সন্তান বিক্রির প্রতিবাদ করেন মাধবী। তারপর তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এরই মাঝে তাঁর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর আসে।

মাধবীর মা বাসন্তী দাস বলেন, "আমার জামাই, জামাইয়ের দাদা, বউদি আমার মেয়েকে ঘরে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলে। ওদের পাঁচ মাসের সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাধবীকে প্রতিদিন মারধর করত। আমি মেয়েটাকে বিক্রি করতে বারণ করেছিলাম। একটু বড় হলে আমি ওর দায়িত্ব নেব। আজ সকালে ওকে মেরে ফেলে।"

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয় মাধবীকে। সেখানেই সে মারা যায়।

খণ্ডঘোষ, ১১ মার্চ : পরপর তিনবারই জন্ম দিয়েছিলেন কন্যাসন্তানের। তাই শ্বশুরবাড়ির তরফে নাকি তাঁর ছ'মাসের এক কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর এর প্রতিবাদ করাতেই ওই যুবতিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের।

মৃত যুবতির নাম মাধবী রুইদাস। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের লোধনা এলাকায়। অভিযোগ, পরপর তিন কন্যাসন্তান হওয়ায় একজনকে বিক্রি করে দেয় মাধবীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপরই শুরু হয় অশান্তি। সন্তান বিক্রির প্রতিবাদ করেন মাধবী। তারপর তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এরই মাঝে তাঁর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর আসে।

মাধবীর মা বাসন্তী দাস বলেন, "আমার জামাই, জামাইয়ের দাদা, বউদি আমার মেয়েকে ঘরে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলে। ওদের পাঁচ মাসের সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাধবীকে প্রতিদিন মারধর করত। আমি মেয়েটাকে বিক্রি করতে বারণ করেছিলাম। একটু বড় হলে আমি ওর দায়িত্ব নেব। আজ সকালে ওকে মেরে ফেলে।"

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয় মাধবীকে। সেখানেই সে মারা যায়।

Intro:স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দু বছরের সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী স্ত্রী
সন্তোষ দাস, পূর্ব বর্ধমান- স্বামীর সঙ্গে এক মহিলার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জানতে পেরেই তার তীব্র প্রতিবাদ জানান স্ত্রী। তারপরই স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় স্বামী। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দু বছরের পুত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান শহরের কালনা গেট এলাকায়। ঘটনাস্থলেই মহিলার মৃত্যু হলেও তার সন্তান গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তাকে প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে কলকাতার পিজিতে পাঠানো হয়েছে। Body:মৃত মহিলার নাম নন্দিতা মির্ধা (২১)। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বর্ধমান শহর লাগোয়া বৈকন্ঠপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়নগর বটতলায়। তাঁর স্বামী বিল্টু মির্ধা একটি গুমটির দোকানদার। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে এই ঘটনার পর মহিলার বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের দায়ী করেছেন। পুলিশ বলেছে, পাড়া-প্রতিবেশীরা বলছেন এদিন সকালে ডাক্তার দেখার নাম করে ছেলেকে নিয়ে ওই মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার স্বামী বিল্টু পুলিশকে জানিয়েছেন, তাকে তার স্ত্রী সরস্বতী প্রতিমা দেখতে যাচ্ছেন বলে জানিয়ে গেছেন। এদিকে মৃতের মামা মনিন্দ্র ঘরামি অভিযোগ করে বলেন, এই ঘটনার জন্য জামাই বিল্টু ও তার বাপের বাড়ির লোকেরাই দায়ী। চার বছর আগে ভাগ্নির বিয়ে দেওয়া হয় দেখাশোনা করেই। কিন্তু তারপর জামাইয়ের সঙ্গে অন্য এক মহিলার অবৈধ সম্পর্কের কথা ভাগনি জানতে পেরে তার প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদ করার পর থেকেই তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় জামাই। গতকাল রাতেও জামাই আমার ভাইয়ের কাছে ফোন করে অশান্তির ঘটনা জানিয়েছিলConclusion:তবে এই অশান্তি গত দুবছর ধরেই ভাগ্নি পোহাচ্ছে। বছর দেড়েক আগে জামাইয়ের ভাই আত্মঘাতী হয়েছিল। এরপর আমার ভাগ্নি ওদের অত্যাচারে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল। ওই ঘটনার পর ওতো সংসার করতেই চাইছিল না। তাও আমরা ওকে বুঝিয়ে সংসার করার জন্য পরামর্শ দেই। এলাকার মানুষ তাদের পরিবারের শান্তি বজায় রাখতে মীমাংসা করে দিয়েছিল। কিন্তু ওই পরিবার ভালো নয়। অত্যন্ত বাজে পরিবার। আমরা ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবো যাতে কঠোর শাস্তি হয়। জামাইবাবু আসার পরে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবো। তবে ওদের কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা আমরা করব। প্রয়োজনে যতদূর যেতে হয় আমরা আইনের সাহায্য নেব বলে তিনি জানিয়েছেন। মৃত মহিলার স্বামী বিল্টু মির্ধা জানান, ঘটনার সময় আমি দোকানে বসেছিলাম। হঠাৎ আমার দাদা এসে বলল, আমার স্ত্রী ট্রেনে কাটা পড়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। স্ত্রী ঠাকুর দেখতে যাচ্ছি বলে বেরিয়ে ছিল। আমি বললাম কাছে পিঠে তাহলে ঘুরে আসো। তারপর ছেলেটাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে আমার নামে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেই অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা বলে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.