ভাতার, 10 জুন: স্ত্রীর সঙ্গে পাড়ার এক ব্যক্তির সম্পর্ক রয়েছে। সেই কথা জানতে পারেন স্বামী ৷ স্ত্রীকে মারতে মারতে তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে নিয়ে গেল স্বামী। এমনকী স্ত্রীর প্রেমিকের মাথাও ফাটিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বড়পোশলা গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর বছর দশেক আগে ডালিম দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের একটা নয় বছরের মেয়ে আছে। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলত। এরমধ্যে পাড়ারই বাসিন্দা সুকুমার দাসের সঙ্গে গৃহবধূর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা নিয়ে অশান্তি আরও তুঙ্গে ওঠে।
এদিকে সুকুমার দাসের স্ত্রী বছর দেড়েক আগে মারা গিয়েছে। ছেলেকে নিয়ে তাঁর ছোট সংসার। অন্যদিকে স্বামীর দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার কথা ভাবেন নির্যাতিতা স্ত্রী ৷ সেই কথা জানতে পারেন বিপত্নীক সুকুমারবাবু ৷ তিনি নির্যাতিতা স্ত্রীর দায়িত্ব নিতে রাজি হন ৷ এই ঘটনাচক্রেই শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূ সুকুমারকে ডেকে পাঠান বাড়িতে। সে কথা কোনওভাবে জানতে পারেন ডালিম দাস ৷ এরপরেই গভীর রাতে গৃহবধূকে মারতে মারতে সুকুমারের বাড়িতে নিয়ে যান ডালিম। অভিযোগ, তারপরেই বচসার মধ্যে ব্যাট দিয়ে সুকুমারের মাথা ফাটিয়ে দেন অভিযুক্ত। শনিবার গৃহবধূ, স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷
এদিন সুকুমার দাস বলেন, "ডালিম ওর স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে। তাই আমাকে ডেকেছিল। আমি গিয়েছিলাম। রাতে আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। আমাকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে মারধর করেছে। মাথায় নটা সেলাই পড়ে।"
আরও পড়ুন: স্ত্রীর গোপনাঙ্গে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আঘাত, নাক কামড়ে ছিঁড়ে নিল স্বামী !
নির্যাতিতা গৃহবধূ বলেন, "আমরা দু'জন দু'জনকে ভালোবাসি। আমার স্বামী সেটা সহ্য করতে পারে না। মাস ছয়েক আগে অশান্তি হয়েছিল। তারপর থেকে আমাদের আর যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু স্বামী মারধর করতে থাকায় আমি আত্মহত্যা করার চিন্তাভাবনা করি। সে বলে স্বামীর সঙ্গে থাকতে হবে না। আমি তোমাকে রেখে দেবো চলে এসো। আমি তাই তাঁকে ডেকেছিলাম। সে এসেছিল। আমার শাশুড়ি দেখে ফেলে। এরপর আমার স্বামী আমাকে বুকে, পেটে মারধর করে সুকুমারের বাড়িতে দিয়ে আসে। বঁটি ও কাটারি নিয়ে যায় তাঁকে মারধর করার জন্য। এরপর সুকুমারকে ব্যাট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।" স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷