বর্ধমান, 14 ডিসেম্বর: বর্ধমান স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের মাঝে জলের ট্যাংক ভেঙে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় আহতদের দেখতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ আর সেখানেই এক বাচ্চার পড়াশোনার খরচ নিজের হাতে তুলে নিলেন রাজ্যপাল ৷ সেখান থেকে বর্ধমান স্টেশনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতেও যান রাজ্যপাল ৷
বুধবার বর্ধমান স্টেশনের 2 ও 3 নং প্ল্যাটফর্মের মাঝে জলের ট্যাংক ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের ৷ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় 34 জন। আহতদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । ঘটনার জেরে বর্ধমান স্টেশনে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। ওইদিন বেলা 12টা আট মিনিটে বর্ধমান স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে ৷ ঘটনার জেরে 1, 2 ও 3 নং প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ৷ সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হতে সময়ও লাগে বেশ কিছুটা ৷ স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ বর্ধমান স্টেশনের 2 ও 3 নং প্ল্যাটফর্মের মাঝে প্রায় দুই লক্ষ লিটারের জলের ট্যাংক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের অনেকেই সেই ট্যাংকের নীচে চাপা পড়ে। স্টেশন চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্টেশনে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা উদ্ধার কাজে হাত লাগায়।
অন্য়দিকে, এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালেও যান রাজ্য়পাল ৷ আর সেখানেই এক আহত বাচ্চার পড়াশোনার খরচও নিয়েছেন তিনি ৷ এদিন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাজ্য়পাল জানান, হাসপাতালে এক মহিলা এবং তাঁর বাচ্চার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে ৷ সেই সময়ই ওই মহিলা রাজ্যপালকে জানান, ঘটনার জেরে তাঁর বাচ্চার পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে অনেকটাই ৷ এদিন রাজ্য়পাল বলেন, "প্রতিমাসে রাজভবন থেকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে ওই শিশুর পড়াশোনার খরচ হিসাবে ৷" একই সঙ্গে, ঘটনার জেরে আহতের ঠিক মতো চিকিৎসা হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এদিন কথা বলেছেন রাজ্যপাল ৷ পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করেছেন, আহতদের সঠিকভাবেই চিকিৎসা চলছে ৷
এদিন রাজ্যপাল আনন্দ বোস বলেন, "অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ৷ আমি এখানে এসেছিলাম ৷ আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ রাজভবন গোটা বিষয়ের উপরে নজর রেখেছে ৷ যাবতীয় সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত ৷"
আরও পড়ুন