বর্ধমান, 8 ফেব্রুয়ারি : "কেন্দ্রীয় সরকারের কিষান সম্মান নিধি একটি বড় ভাঁওতা ৷" গতকাল বর্ধমানে মাটি উৎসবের প্রস্তূতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিকল্যাণের এই প্রকল্পের বিরূদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে দেশের চাষিদের কল্যাণে 'কিষান সম্মান নিধি' প্রকল্প ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার । আর তারপর থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর চলছেই ৷ শেষ পর্যন্ত 'কিষাণ সম্মান নিধি' প্রকল্প চালু করার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু তারপরও এই প্রকল্পের হাজারো একটা খামতি ধরতে ছাড়লেন না রাজ্য কৃষিমন্ত্রী ৷ তিনি বললেন,"মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । বহু কৃষক আছেন যাদের জমি রেকর্ড নেই । স্বাভাবিকভাবেই ওইসব কৃষকেরা মনে করছিলেন তাদের 'কৃষক বন্ধু প্রকল্প' এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে না । মুখ্যমন্ত্রী ক্যাবিনেটের মধ্য দিয়ে পাস করে দিলেন কৃষকেরা স্বঘোষণার মধ্য দিয়ে সেই সুবিধা পাবেন ৷ দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে প্রায় 10 লাখ 60 হাজার কৃষক ফের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন । তারা 'কৃষক বন্ধু প্রকল্প' এর সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন ৷ আশা করা যাচ্ছে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে সব কৃষকরা ও বর্গাদাররা এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হবেন ৷ " অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিকল্যাণের এই প্রকল্পের বিরূদ্ধে তোপ দেগে তারঁ সংযোজন," বর্গাদাররা বা যাদের দুই হেক্টর জমি আছে বা গ্রুপ সি কর্মচারীরা কেউই 'কিষান সম্মান নিধি'র আওতাভুক্ত নন ৷ এমনকী যাঁরা 10 হাজার টাকার বেশি পেনশন পান, তাঁরাও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত নন ৷ সবমিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প একটি বড় ভাঁওতা ৷" মানুষের কাছে তিনি আবেদন করে বলেন," আমরা চাই মানুষ এই প্রকল্পের প্রতিবাদ করুক ৷ "
আরও পড়ুন:উত্তরাখণ্ডে ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে 10, এখনও নিখোঁজ 170
প্রসঙ্গত, বাংলায় ‘কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্প বাস্তবায়ণ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দীর্ঘদিন ধরে চাপানউতোর চলছিল । রাজ্যকে না জানিয়ে কৃষকদের আর্থনৈতিক সাহায্য প্রদানকে ভালোভাবে নেয়নি রাজ্য ৷ বদলে চালু করা হয় ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্প’ ৷ উলটোদিকে রাজনৈতিক কারণে রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী ৷