কাটোয়া, 22 অক্টোবর : ‘‘বিজেপির পতাকা নিয়ে কেউ বিজেপির কোনও অনুষ্ঠানে ভাঙচুর করতে পারে না ৷ আমার বিশ্বাস যারা এই কাজ করেছে তারা বিজেপির কর্মীই নয় । আমার মনে হয় এর পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ইন্ধন আছে ।’’ পূর্ব মেদিনীপুরের কাটোয়ায় দলের গোষ্ঠী-কোন্দল নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ৷
তবে একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘যদি কেউ থেকে থাকেন তাহলে ভবিষ্যতে থাকবেন না । যদি দেখা যায় তাঁরা দলের কোনও নেতৃত্বে আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য দলীয়স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তবে আমার বিশ্বাস তারা বিজেপির কেউ নয় ।’’
আরও পড়ুন : BJP Members Clash: সুকান্ত-দিলীপের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে হাতাহাতি
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, শুক্রবার কাটোয়ার দাঁইহাটে বিজেপির বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা থেকে মারামারি শুরু হয় । কাটোয়া নগর মণ্ডলের সভাপতি ও জেলা সভাপতিকে নিগ্রহ করা হয়েছে । এমনকি বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদেরও ছবি ফেলে দিয়ে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে ।
বিক্ষুব্ধ কর্মীদের অভিযোগ, ‘‘নির্বাচনের আগে আমরা বিজেপির প্রচার করতে গিয়ে মার খেয়েছি অনেকেই ঘরছাড়া হয়ে আছে । অনেকেই জেলবন্দি আছে । কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব পাশে দাঁড়ায়নি ।’’
আরও পড়ুন : Four Die in Accident : ট্রাকের সঙ্গে টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ, পূর্ব বর্ধমানে মৃত 4
এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, এই ধরনের অভিযোগের কোনও সত্যতা থাকে না । কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা কাজ করেন না, শুধু অভিযোগ করেন । যাঁরা অভিযোগ করেছেন, কারও বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করলে সেটা ধোপে টিকবে না । তা প্রমাণ করতে হবে । বিজেপিতে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই ৷ অন্যদিকে আসন্ন উপনির্বাচনে চারটি আসনেই বিজেপি খুব ভালো ফল করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন ৷
আরও পড়ুন : BJP Protest : বাংলাদেশে মণ্ডপ-মন্দিরে হামলা, প্রতিবাদে বর্ধমানে বিজেপির বিক্ষোভ
এদিকে দলের সাংগঠনিক বৈঠকের আগে প্রকাশ্যে দুই গোষ্ঠীর মারামারি নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানে জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের কিছু সাপোর্টার কিছু উটকো লোক আছে, যারা বিজেপি ক্ষমতায় আসছে মনে করে বিজেপিতে এসেছিল । কিন্তু বিরোধী পক্ষের রাজনীতি করা খুব কঠিন । তাই তারা হতাশ হয়ে গিয়েছে । অনেকে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছে । তাই এরকম বিকৃত ধরনের কাজ করছে । আমরা সবাইকে সামলাবো ।’’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন বিজেপির দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন বিজেপি কোথায় ছিল । বিজেপি এখন প্রধান বিরোধী দল । আমাদের বিরোধী দলনেতা খুব লড়াকু । রাজ্য সভাপতি লড়াকু । পুরো পশ্চিমবঙ্গে পার্টি শক্তিশালী হচ্ছে । আগামিদিনে বিজেপি খুব ভালো ফল করবে । যদি তারা দলের কেউ হয়ে থাকে, সেটা তারা ঠিক করেনি । তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’’
আরও পড়ুন : Murder : সন্দেহের বশে ঘুমন্ত স্ত্রীকে শাবল দিয়ে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত