ETV Bharat / state

আছে কবরস্থান; পানাগড় সেনা ছাউনির জন্য জমি দখলে বাধা গ্রামবাসীদের - westbengal

পানাগড় সেনা ছাউনির জন্য প্রাচীর দিতে গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হয় সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনী
author img

By

Published : Feb 23, 2019, 12:57 PM IST

বুদবুদ, ২৩ ফেব্রুয়ারি : পানাগড় সেনা ছাউনির জন্য জমি দখলে বাধা দিল গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার রঘুনাথপুর গ্রামের। গ্রামবাসীদের দাবি, সেনা জমি দখল করলে করুক কিন্তু তাদের সীমানার মধ্যে যে জমি পড়ছে তার সঙ্গে রয়েছে একটি কবরস্থান। সেই এলাকায় যাতে সবাই অবাধে যাতায়াত করতে পারে আগে তা সুনিশ্চিত করা হোক। এর জেরে আজ সকাল থেকেই প্রতিবাদে নামে গ্রামের মানুষ। আপাতত সেনাছাউনির জন্য প্রাচীর দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে।

শেখ আতাউল হক

রঘুনাথপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষকের জমিসহ একটি কবরস্থানকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ করতে আসে সেনাবাহিনী। সেইসময় রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা এসে সেই কাজে বাধা দেয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, "কোনও জমি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করতে হলে আগে তার জন্য নোটিশ দিতে হয়। জমির দাম নির্ধারিত হয়। তারপর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই জমি ঘেরা হচ্ছিল। তাই বাধা দিয়েছে সকলে। আমরা কলকাতায় এই নিয়ে একবার সেনাকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল জেলাশাসকের মাধ্যমে আবেদন করতে।"

স্থানীয়দের কথায়, ওখানে একটি কবরস্থান রয়েছে। পাশেই কিছু চাষজমি রয়েছে। আর তার পাশেই সেনার জমি থাকায়, সেনাকর্মীরা সব জমি ঘিরতে আসে। এই বিষয়ে শেখ আতাউল হক নামে এক গ্রামবাসী বলেন, "জোর করে জমি নিলে আমরা সবাই এক হয়ে থাকব। তাতে যা হবার হবে। আমাদের একটিমাত্র জমি। এই জমির রেকর্ডও আছে। আমরা কাছে গেলেই তাড়িয়ে দিচ্ছে। নিজেদের জায়গায় ওরা কাজ করুক, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কাল কেউ মরে গেলে আমরা কোথায় আসব? আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এর একটি সুরাহা চাই।"

আজ সকাল থেকে এক জোট হয়ে প্রতিবাদে নামে গ্রামের মানুষ। প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় তারা। গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের জেরে আপাতত বন্ধ রয়েছে বাউন্ডারি দেওয়ার কাজ।

undefined

বুদবুদ, ২৩ ফেব্রুয়ারি : পানাগড় সেনা ছাউনির জন্য জমি দখলে বাধা দিল গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার রঘুনাথপুর গ্রামের। গ্রামবাসীদের দাবি, সেনা জমি দখল করলে করুক কিন্তু তাদের সীমানার মধ্যে যে জমি পড়ছে তার সঙ্গে রয়েছে একটি কবরস্থান। সেই এলাকায় যাতে সবাই অবাধে যাতায়াত করতে পারে আগে তা সুনিশ্চিত করা হোক। এর জেরে আজ সকাল থেকেই প্রতিবাদে নামে গ্রামের মানুষ। আপাতত সেনাছাউনির জন্য প্রাচীর দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে।

শেখ আতাউল হক

রঘুনাথপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষকের জমিসহ একটি কবরস্থানকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ করতে আসে সেনাবাহিনী। সেইসময় রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা এসে সেই কাজে বাধা দেয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, "কোনও জমি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করতে হলে আগে তার জন্য নোটিশ দিতে হয়। জমির দাম নির্ধারিত হয়। তারপর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই জমি ঘেরা হচ্ছিল। তাই বাধা দিয়েছে সকলে। আমরা কলকাতায় এই নিয়ে একবার সেনাকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল জেলাশাসকের মাধ্যমে আবেদন করতে।"

স্থানীয়দের কথায়, ওখানে একটি কবরস্থান রয়েছে। পাশেই কিছু চাষজমি রয়েছে। আর তার পাশেই সেনার জমি থাকায়, সেনাকর্মীরা সব জমি ঘিরতে আসে। এই বিষয়ে শেখ আতাউল হক নামে এক গ্রামবাসী বলেন, "জোর করে জমি নিলে আমরা সবাই এক হয়ে থাকব। তাতে যা হবার হবে। আমাদের একটিমাত্র জমি। এই জমির রেকর্ডও আছে। আমরা কাছে গেলেই তাড়িয়ে দিচ্ছে। নিজেদের জায়গায় ওরা কাজ করুক, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কাল কেউ মরে গেলে আমরা কোথায় আসব? আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এর একটি সুরাহা চাই।"

আজ সকাল থেকে এক জোট হয়ে প্রতিবাদে নামে গ্রামের মানুষ। প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় তারা। গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের জেরে আপাতত বন্ধ রয়েছে বাউন্ডারি দেওয়ার কাজ।

undefined
Intro:পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার রঘুনাথপুর গ্রামে পানাগড় সেনা ছাউনির জন্য "জমি দখলে বাধা গ্রামবাসীদের।" গ্রামবাসীদের অভিযোগ সেনা জমি দখল করলে করুক কিন্তু তাদের বাউন্ডারির মধ্যে যে চাষ জমি পড়ছে তার সাথে রয়েছে একটি কবরস্থান সেই এলাকাগুলিতে যাতে সবাই অবাধে যাতায়াত করতে পারে আগে তা সুনিশ্চিত করা হোক। সেনাছাউনির জন্য প্রাচীর দেওয়ার কাজ বন্ধ হোল।

রঘুনাথপুর গ্রামের বহু কৃষকের জমিসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের একটি কবরস্থান কে প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ করতে আসে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।সেইসময় রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা এসে সেই কাজে বাধাদান করে।পুর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষের অভিযোগ "" কোনও জমি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করতে হলে আগে তার জন্য নোটিশ দিতে হয়,শুনানি হয়,জমির দাম নির্ধারিত হয় তারপর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।কিন্তু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই জমি ঘেরা হচ্ছিল।তাই বাধা দিয়েছেন সকলে।আমরা কলকাতায় এই নিয়ে একবার সেনাকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল জেলাশাসক দিয়ে কথা বলাতে।""স্থানীয়রা জানান ওই কবরস্থান টির ও চাষ জমি সাধারণ মানুষের জমি, আর তার পাশেই কিছু কিছু জায়গায় সেনার জমি থাকায় সেনা কর্মীরা সব জমি ঘিরতে আসলে গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ করে দেয়। এলাকায় একটি কবর স্থান থাকায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বে সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পাশাপাশি নিজেদের জমি চাষ করতে যেতেও পারবে না চাষীরা।শনিবার সকাল থেকে এক জোট হয়ে প্রতিবাদে নামে গ্রামের মানুষ। প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েও কোনো সুরাহা হয় নি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন গ্রামের মানুষ। যদিও গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের জেরে আপাতত বাউন্ডারি দেবার কাজ বন্ধ করে দেয় সেনাকর্মীরা।আপাতত জমিজটে বন্ধ থাকল পানাগড় সেনাছাউনির জমি প্রাচীর দেওয়ার কাজ।এখন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহন করে সেটাই দেখার
।Body:পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার রঘুনাথপুর গ্রামে পানাগড় সেনা ছাউনির জন্য "জমি দখলে বাধা গ্রামবাসীদের।" গ্রামবাসীদের অভিযোগ সেনা জমি দখল করলে করুক কিন্তু তাদের বাউন্ডারির মধ্যে যে চাষ জমি পড়ছে তার সাথে রয়েছে একটি কবরস্থান সেই এলাকাগুলিতে যাতে সবাই অবাধে যাতায়াত করতে পারে আগে তা সুনিশ্চিত করা হোক। সেনাছাউনির জন্য প্রাচীর দেওয়ার কাজ বন্ধ হোল।

রঘুনাথপুর গ্রামের বহু কৃষকের জমিসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের একটি কবরস্থান কে প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ করতে আসে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।সেইসময় রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা এসে সেই কাজে বাধাদান করে।পুর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষের অভিযোগ "" কোনও জমি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করতে হলে আগে তার জন্য নোটিশ দিতে হয়,শুনানি হয়,জমির দাম নির্ধারিত হয় তারপর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।কিন্তু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই জমি ঘেরা হচ্ছিল।তাই বাধা দিয়েছেন সকলে।আমরা কলকাতায় এই নিয়ে একবার সেনাকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল জেলাশাসক দিয়ে কথা বলাতে।""স্থানীয়রা জানান ওই কবরস্থান টির ও চাষ জমি সাধারণ মানুষের জমি, আর তার পাশেই কিছু কিছু জায়গায় সেনার জমি থাকায় সেনা কর্মীরা সব জমি ঘিরতে আসলে গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ করে দেয়। এলাকায় একটি কবর স্থান থাকায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বে সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পাশাপাশি নিজেদের জমি চাষ করতে যেতেও পারবে না চাষীরা।শনিবার সকাল থেকে এক জোট হয়ে প্রতিবাদে নামে গ্রামের মানুষ। প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েও কোনো সুরাহা হয় নি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন গ্রামের মানুষ। যদিও গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের জেরে আপাতত বাউন্ডারি দেবার কাজ বন্ধ করে দেয় সেনাকর্মীরা।আপাতত জমিজটে বন্ধ থাকল পানাগড় সেনাছাউনির জমি প্রাচীর দেওয়ার কাজ।এখন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহন করে সেটাই দেখার
।Conclusion:পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানার রঘুনাথপুর গ্রামে পানাগড় সেনা ছাউনির জন্য "জমি দখলে বাধা গ্রামবাসীদের।" গ্রামবাসীদের অভিযোগ সেনা জমি দখল করলে করুক কিন্তু তাদের বাউন্ডারির মধ্যে যে চাষ জমি পড়ছে তার সাথে রয়েছে একটি কবরস্থান সেই এলাকাগুলিতে যাতে সবাই অবাধে যাতায়াত করতে পারে আগে তা সুনিশ্চিত করা হোক। সেনাছাউনির জন্য প্রাচীর দেওয়ার কাজ বন্ধ হোল।

রঘুনাথপুর গ্রামের বহু কৃষকের জমিসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের একটি কবরস্থান কে প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ করতে আসে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।সেইসময় রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা এসে সেই কাজে বাধাদান করে।পুর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষের অভিযোগ "" কোনও জমি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করতে হলে আগে তার জন্য নোটিশ দিতে হয়,শুনানি হয়,জমির দাম নির্ধারিত হয় তারপর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।কিন্তু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই জমি ঘেরা হচ্ছিল।তাই বাধা দিয়েছেন সকলে।আমরা কলকাতায় এই নিয়ে একবার সেনাকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল জেলাশাসক দিয়ে কথা বলাতে।""স্থানীয়রা জানান ওই কবরস্থান টির ও চাষ জমি সাধারণ মানুষের জমি, আর তার পাশেই কিছু কিছু জায়গায় সেনার জমি থাকায় সেনা কর্মীরা সব জমি ঘিরতে আসলে গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ করে দেয়। এলাকায় একটি কবর স্থান থাকায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যায় পড়বে সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পাশাপাশি নিজেদের জমি চাষ করতে যেতেও পারবে না চাষীরা।শনিবার সকাল থেকে এক জোট হয়ে প্রতিবাদে নামে গ্রামের মানুষ। প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েও কোনো সুরাহা হয় নি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন গ্রামের মানুষ। যদিও গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের জেরে আপাতত বাউন্ডারি দেবার কাজ বন্ধ করে দেয় সেনাকর্মীরা।আপাতত জমিজটে বন্ধ থাকল পানাগড় সেনাছাউনির জমি প্রাচীর দেওয়ার কাজ।এখন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহন করে সেটাই দেখার
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.