বর্ধমান, 3 অক্টোবর: একদিকে লাগাতার বৃষ্টি অন্যদিকে ডিভিসি (দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন) থেকে থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ায় দামোদর নদের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দামোদর নদের তীরবর্তী রায়না, জামালপুর, খণ্ডঘোষ-সহ আশেপাশের গ্রামের মানুষরা বন্যা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে রীতিমতো আতঙ্কিত। যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে দামোদর নদের জলস্তর বিপদসীমার অনেক নীচে রয়েছে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।
ডিভিসি থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ার পরে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার বেলা প্রায় বারোটা পর্যন্ত ডিভিসির মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে 90 হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সোমবার ঝাড়খণ্ডে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ডিভিসি 1 লাখ 20 হাজার কিউসেক জল ছেড়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা পর্যন্ত তুলনামূলক কম বৃষ্টি হওয়ায় এদিন বেলা বারোটা পর্যন্ত কিছুটা কম জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড ও বরাকরের দামোদর উপত্যাকায় ভারী বৃষ্টির জেরে ডিভিসি দফায় দফায় জল ছাড়ছে। তাই পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এই সাতটি জেলার প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সমস্ত কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। যদিও পূর্ব জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত দামোদর নদের জলস্তর বিপদসীমার অনেক নীচে রয়েছে। ফলে ভয়ের কোনও কারণ নেই। তবে বিডিওদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ৷
গ্রামবাসী সঞ্জয় ওঁরাও বলেন, "যেভাবে দামোদর নদের জল বাড়ছে তা নিয়ে আমরা ভয়ে আছি। দামোদর নদের বন্যা দেখা দিলে আমাদের ঘরবাড়ি জমি সব জলের তলায় চলে যাবে। তাই আমরা আতঙ্কে রয়েছি।" পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, "ডিভিসি জল ছাড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। দামোদর নদের জলস্তর বিপদসীমার অনেক নীচে আছে। ফলে আপাতত চিন্তার কোনও কারণ নেই।"
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কাঁপল নয়াদিল্লি, এপিসেন্টার নেপাল