বর্ধমান, ২৮ ফেব্রুয়ারি : পর পর তিনদিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষে। আলু জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেছে। তার জেরে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। শুধু আলু চাষ নয়, সরষে, পেঁয়াজসহ সবজি চাষের ক্ষেত্রেও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কৃষিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে ব্লক ভিত্তিক রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে তবেই প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে। রবিবার ও সোমবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের প্রতিটি ব্লকেই কমবেশি বৃষ্টিপাত হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে বর্ধমান, কালনা, মেমারি-২, মন্তেশ্বর ও পূর্বস্থলী-১ এ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল কিছুটা বেশি। পাশাপাশি ওই সব এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বর্ধমানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭৮.২ মিলিমিটার, কালনাতে ৮২.৭ মিলিমিটার, মেমারিতে ৫৪.৮ এবং পূর্বস্থলী-১ এ ৩৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রচুর বৃষ্টিতে চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। আলুর জমিতে জল জমে গেছে। জমি থেকে আলু তুলতে এখনও ২০-২৫দিন বাকি। শিলাবৃষ্টির জেরে অপরিণত আলু মাটির উপরে উঠে এসেছে। জল জমে যাওয়ার কারণে আলু গাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শক্তিগড় এলাকার চাষি কাবুল সাঁতরা বলেন, "জমি থেকে দ্রুত যদি জল বের করা না যায় তাহলে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবে। শুধু তাই নয়, শিলাবৃষ্টির কারণে আলু গাছে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাটির উপরে উঠে এসেছে অনেক আলু। সেই সব নষ্ট হয়ে যাবে। তাই জমি থেকে জল বের করার কাজ চলছে। শিলাবৃষ্টির কারণে আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া পরপর তিনদিন এই বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল জমে যাচ্ছে। ফলে গাছ এবং আলু পচে যাবে। মাঠ থেকে আলু তুলতে এখনও প্রায় ২০-২৫দিন বাকি আছে।"
বর্ধমান জেলা কৃষি আধিকারিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পর পর তিনদিনের বৃষ্টিতে বেশ কিছু চাষের জমিতে জল জমে গেছে। বর্তমানে যে হারে বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে জমিতে জল জমে যাওয়ার কথা। ফলে চাষে ক্ষতি দেখা দিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ব্লক ভিত্তিক খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। সমস্ত রিপোর্ট হাতে এলেই প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।"