মেমারি, 3 এপ্রিল : দুই মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। দুজনেরই মৃতদেহ ঘর থেকে উদ্ধার হয়। এদের মধ্যে একজনের গলায় ফাঁসের দাগ পাওয়া গেছে। অন্যজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দুটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ।
গতকাল মেমারির বোহার-2 পঞ্চায়েতের বড়া গ্রামে নিজেরই বাড়ি থেকে রিতা রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর স্বামী সকালে ঠাকুরনগরে মেলা দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর দুই ছেলে। এক ছেলে গোপালপুর এলাকায় থাকে। আর এক ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকে। স্থানীয়দের বক্তব্য, বিছানার উপর মহিলার মৃতদেহ পড়ে ছিল। ঘরে তখনও টিভি চলছিল। আর ঘরের দরজা-জানালাও খোলা ছিল। তাদের অনুমান, খুন করা হয়েছে মহিলাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় মেমারি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এই ঘটনা কীভাবে ঘটল তা বলা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে আরও এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় মেমারির সাতগেছিয়ার বেগুনিয়া এলাকায়। নাম মমতা কিসকু (৫০)। গতকাল বিকেলে ওই মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই মহিলার স্বামী শ্যামাপদ কিসকুর বক্তব্য, তিনি সকালে কাজে বেরিয়েছিলেন। বিকালে বাড়ি ফিরে দেখেন তার স্ত্রী বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। তার মুখ ও কান দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। মাথায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মমতা কিসকুকে পাহাড়হাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছান মেমারি থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য দিন কয়েক আগেই কালনায় গলায় চেন লাগিয়ে মহিলাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর গতকাল আবার দুই মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু। এই তিনটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।