ETV Bharat / state

"যে CPI(M) নেতার হাতে মার খেয়েছি তাকে নেতা বলে মানতে পারব না" - তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

বর্ধমানের রাজনীতিতে প্রাক্তন CPI(M) নেতা নিরুপম সেনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন আইনুল হক । বর্ধমান পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান ও পরে পৌরপ্রধান হন তিনি ।

TMC inner clash
বর্ধমানে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
author img

By

Published : Nov 30, 2020, 9:53 AM IST

বর্ধমান, 30 নভেম্বর : "যে CPI(M) নেতাদের হাতে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মার খেয়েছে , আজ তারাই আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দলের উপর ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করলে আমরা কিছুতেই মেনে নেব না ।" এক দলীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে এইভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস ।


তিনি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা CPI(M) নেতা আইনুল হকের নেতৃত্বে CPI(M) কর্মীদের হাতে মার খেয়েছে । আর আজ আইনুল হককে মেনে নিতে হবে ? করব না রাজনীতি । আমরা একটা কথা মনে করি, যে মানুষটা 34 বছর আমাদের উপর অত্যাচার করেছে , আমাদের ভোটদানের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল , হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেসের ছেলেদের মেরেছে তাকে মানতে পারব না । আজ যারা ভিতরে ভিতরে আইনুল হকের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে, তারাই আবার তাকে সামনে আনার চেষ্টা করছে । কারণ, আমাকে রুখতে হবে । কিন্তু, মনে রাখতে হবে আমাকে রুখে দেওয়া এত সোজা নয় । লোকসভা ভোটে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গেলেও বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভায় আমরা জিতেছি । যে সব কাউন্সিলর আমার সঙ্গে ছিলেন তাঁরাই জিতেছেন ।"

শুনে নিন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাসের বক্তব্য
বর্ধমানের রাজনীতিতে প্রাক্তন CPI(M) নেতা নিরুপম সেনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন আইনুল হক । বর্ধমান পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান ও পরে পৌরপ্রধান হন তিনি । 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান । পরে দলের শৃঙ্খলা-ভঙ্গের দায়ে তাঁকে CPI(M) থেকে বহিষ্কার করা হয় । প্রায় আড়াই বছর পর তিনি BJP-তে যোগ দেন । কিন্তু, BJP-তে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে বর্ধমান শহরে পোস্টার দেন BJP কর্মীরা । পরে আবার BJP ছেড়ে কলকাতার তৃণমূল ভবনে গিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন । এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভ জমতে থাকে । গত কয়েকদিন ধরে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ শুরু হয়েছে বর্ধমানে ।

বর্ধমান, 30 নভেম্বর : "যে CPI(M) নেতাদের হাতে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মার খেয়েছে , আজ তারাই আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দলের উপর ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করলে আমরা কিছুতেই মেনে নেব না ।" এক দলীয় সম্মেলনে যোগ দিয়ে এইভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস ।


তিনি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা CPI(M) নেতা আইনুল হকের নেতৃত্বে CPI(M) কর্মীদের হাতে মার খেয়েছে । আর আজ আইনুল হককে মেনে নিতে হবে ? করব না রাজনীতি । আমরা একটা কথা মনে করি, যে মানুষটা 34 বছর আমাদের উপর অত্যাচার করেছে , আমাদের ভোটদানের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল , হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেসের ছেলেদের মেরেছে তাকে মানতে পারব না । আজ যারা ভিতরে ভিতরে আইনুল হকের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে, তারাই আবার তাকে সামনে আনার চেষ্টা করছে । কারণ, আমাকে রুখতে হবে । কিন্তু, মনে রাখতে হবে আমাকে রুখে দেওয়া এত সোজা নয় । লোকসভা ভোটে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গেলেও বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভায় আমরা জিতেছি । যে সব কাউন্সিলর আমার সঙ্গে ছিলেন তাঁরাই জিতেছেন ।"

শুনে নিন বর্ধমান শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাসের বক্তব্য
বর্ধমানের রাজনীতিতে প্রাক্তন CPI(M) নেতা নিরুপম সেনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন আইনুল হক । বর্ধমান পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান ও পরে পৌরপ্রধান হন তিনি । 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান । পরে দলের শৃঙ্খলা-ভঙ্গের দায়ে তাঁকে CPI(M) থেকে বহিষ্কার করা হয় । প্রায় আড়াই বছর পর তিনি BJP-তে যোগ দেন । কিন্তু, BJP-তে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে বর্ধমান শহরে পোস্টার দেন BJP কর্মীরা । পরে আবার BJP ছেড়ে কলকাতার তৃণমূল ভবনে গিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন । এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভ জমতে থাকে । গত কয়েকদিন ধরে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ শুরু হয়েছে বর্ধমানে ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.