বর্ধমান, 3 অগস্ট : পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল তৃণমূলের টিকিটে 2019 সালে নির্বাচিত হন ৷ পরে গত বছরের শেষে মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় যোগ দেন বিজেপিতে ৷ রাজ্যে তৃণমূলের বিভিন্ন কার্যকলাপের বিষয়ে সরবও হয়েছিলেন ৷ কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচন শেষে সুর বদলাতে শুরু করেন ৷ গতকাল আবার পেগাসাস নিয়ে সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভে হাজির হয়েছিলেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল । সেখানেই তিনি মন্তব্য করেন, তৃণমূলেই তো আছি, বিজেপিতে কবে গেলাম ৷ সুনীল মণ্ডলের এই মন্তব্য ঘিরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একাংশ।
নেতা-কর্মীদের মতে, যেভাবে নির্বাচনের সময় দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নোংরা ভাষা ও কুমন্তব্য করেছিলেন তারপর তাঁকে আর কোনওভাবেই দলে নেওয়া যায় না । সুনীল মণ্ডল একজন ধান্দাবাজ মানুষ ।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর ইতিহাস মুছতে শূলী পুকুর হল 'জীবন-সায়র'
বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "দলে কেউ আসলে তাঁকে নেওয়া হবে কি না সেটা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই ঠিক করবেন । আমরা দলের কর্মী মাত্র ৷" তবে সুনীল মণ্ডলকে দলে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে অনেকেই নমনীয় মনোভাব দেখাবে না বলেই মত পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের একাংশের ৷
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতাও ৷ পূর্ব বর্ধমান বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, "সুনীল মণ্ডলের মতো মানুষজন ক্ষমতালোভী মানুষ । এইসব লোকের জন্যই তো বিজেপিকে হারতে হয়েছে । মানুষ এদের বিশ্বাস করেনি । এদের দেখেই বিজেপিকে ভোট দেয়নি । সুনীল মণ্ডল একজন নির্বাচিত সাংসদ । সাধারণ মানুষের কোনওদিনই কোন উপকার করেননি । আমরা ভেবেছিলাম বিজেপিতে এসে মানুষের জন্য কাজ করবেন । আর নির্বাচনের আগে এদের মতো চিটিংবাজ লোকেদের কথা আমাদের শুনে চলতে হয়েছিল । এরা দল থেকে গেলে তবেই দলের মঙ্গল হবে । "