বর্ধমান, 4 জুন : সিঙ্গুরের আরওবি রেলের সম্পত্তি । ওই রেল ওভার ব্রিজ তৈরি করতে রেল বেশি টাকা খরচ করেছে । অথচ মুখ্যমন্ত্রী সব অস্বীকার করে এমন প্রচার করছেন যে আরওবিটা তাঁদের সম্পত্তি । সেই কারণে রেলের পক্ষ থেকে 10 জুন সেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের অনুষ্ঠান করা হবে । শুক্রবার রাতে বর্ধমান এসে একথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । পাশাপাশি মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে একহাত নেন তিনি ।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "কামারকুণ্ডু রেলওয়ে ওভার ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । এই রেলওয়ে ওভার ব্রিজ তৈরি করতে মোট 46 কোটি টাকা খরচ হয়েছে । তার মধ্যে 18 কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার । বাকি টাকা ভারত সরকারের রেল দফতর ও রেল কর্পোরেশন মিলে 26 কোটি 70 লক্ষ টাকা দিয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন করেছেন তা দেখে মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরে এই রেলওয়ে ওভার ব্রিজ তৈরি করেছিলেন । তিনি যেমন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করেছেন এবং আমরা মনে করি এই আরওবি-টা রেলের সম্পদ । সে ক্ষেত্রে রেল অনুষ্ঠান করতো । সেই অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারকে আমন্ত্রণ জানাতো । রেল ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই অনুষ্ঠান করতে পারতো । রেলের স্থানীয় উন্নয়ন এবং স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে অস্বীকার করে কার্যত রেলের প্রজেক্ট ছিনিয়ে নিয়ে সিঙ্গুরকে সর্বস্বান্ত করে দেওয়া, সিঙ্গুরে তিন ফসলি জমি গুলিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে । গতবছর সরষে ছিটিয়ে ছিলেন, পরে জেসিবি মেশিন দিয়ে পুকুর খোঁড়া হয়েছিল । পরে সেই সরষে মাছ সব ফেল করে গিয়েছ । কিছুই লাভ হয়নি । সিঙ্গুরের শিক্ষিত যুবকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে । আজ তাদের বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গিয়েছে । তাদের চাকরি দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজটা করে আজ আরওবি-টাও ছিনিয়ে নিয়েছে । আগামী 10 তারিখে রেলের পক্ষ থেকে ওখান থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠান করবে । বিষয়টা নিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি । অনুষ্ঠানে আমি এবং স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন ।
আরও পড়ুন : অধিকারী পরিবার ছিল বলেই পিসিমণি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, মন্তব্য় শুভেন্দুর
শুক্রবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী সব সময় মিথ্যে কথা বলেন ।" এদিন মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, "আজ যিনি মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করেন তার তো জেলে থাকা উচিত। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাঁচ জনের কমিটিতে ছিলেন । অথচ তিনি ফল ঘোষণা করছেন । এটা বাংলার লজ্জা ।"